ট্রেনের টিকিট সোনার হরিণ

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা বিভিন্ন পেশার মানুষ এখন কর্মস্থলে ফিরছেন। কিন্তু সেই ট্রেনের টিকিট পাওয়া এখন যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিকিট কাউন্টার খোলার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যাচ্ছে সব টিকিট। ঈদের পরদিন বুধবার থেকে ফিরতি যাত্রার আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। শনিবার আগামী ১১ ও ১২ মের ও রোববার আগামী ১৩ ও ১৪ মে’র টিকিট বিক্রি করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে। তবে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ফিরতি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পেতেও যাত্রীদের সমান ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকেই টিকিট বিক্রি শুরু হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে একমাত্র বনলতা ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আর চাপ বেশি থাকায় এ ট্রেনটির সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর এ ট্রেনে টিকেট বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৯৮টি। এরমধ্যে শোভন চেয়ার ৭৮টি, এসি ১০ টি, এসি কেবিন ১০টি। ফিরতি যাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়ে যায় টিকিট। অনেকেই টিকেট না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। টিকিট কাটতে আসা জিয়াউল হক বলেন, একমাত্র ঢাকাগামী বনলতা ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে টিকেট শেষ হয়ে গেছে। এরকম শত শত লোক ফিরে যাচ্ছে। চাহিদার বিপরীতে এ ট্রেনের টিকিট বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন। এ অঞ্চলের বাসের পাশাপাশি ট্রেনে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে যাত্রীদের। সফিকুল আলম নামে আরেকজন বলেন, রেলবিভাগ পদ্মা ও ধুমকেতুর ট্রেনটি চালু করলে এ অঞ্চলের মানুষকে বাড়তি বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। ইতোপূর্বে পদ্মা ও ধুমকেতুর টিকিট এ জেলার যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪০টি। সেটিও বন্ধ করে দিয়েছে। এটি এক ধরনের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়া ছাড়া কিছু না। তাই রেল কর্তৃপক্ষকে এ অঞ্চলের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এদিকে জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির বলেন, করোনার সময় থেকে অদ্যাবধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন বন্ধ রয়েছে। সেগুলো আর চালুর উদ্যোগ নেয়নি। সরকার সেই বন্ধ ট্রেনগুলো চালুর উদ্যোগ নিলে ভুক্তভোগী যাত্রীদের অনেকাংশে কষ্ট লাঘব হবে। সেই সাথে সরকারের ভাবমূর্তি আরো উজ্জল হবে। বর্তমানে ট্রেনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। যাত্রীদের বিমুখ না করতে কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। ঢাকা যাওয়ার একমাত্র ভরসা বনলতা ট্রেন। সেটিতেও টিকেট বরাদ্দ মাত্র ৯৮টি। এক্ষেত্রে ট্রেনের টিকেটের বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। এছাড়া পদ্মা ও ধুমকেতু ট্রেনের টিকেট পুনরায় চালু করতে হবে। অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ জানান, যথাসময়ে নিয়মানুযায়ী কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। যৎসামান্য টিকেট, সেক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সোমবার, ০৯ মে ২০২২ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ০৬ শাওয়াল ১৪৪৩

ট্রেনের টিকিট সোনার হরিণ

জেলা বার্তা পরিবেশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা বিভিন্ন পেশার মানুষ এখন কর্মস্থলে ফিরছেন। কিন্তু সেই ট্রেনের টিকিট পাওয়া এখন যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিকিট কাউন্টার খোলার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যাচ্ছে সব টিকিট। ঈদের পরদিন বুধবার থেকে ফিরতি যাত্রার আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। শনিবার আগামী ১১ ও ১২ মের ও রোববার আগামী ১৩ ও ১৪ মে’র টিকিট বিক্রি করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে। তবে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ফিরতি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পেতেও যাত্রীদের সমান ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকেই টিকিট বিক্রি শুরু হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে একমাত্র বনলতা ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আর চাপ বেশি থাকায় এ ট্রেনটির সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর এ ট্রেনে টিকেট বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৯৮টি। এরমধ্যে শোভন চেয়ার ৭৮টি, এসি ১০ টি, এসি কেবিন ১০টি। ফিরতি যাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়ে যায় টিকিট। অনেকেই টিকেট না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। টিকিট কাটতে আসা জিয়াউল হক বলেন, একমাত্র ঢাকাগামী বনলতা ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়ানো হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে টিকেট শেষ হয়ে গেছে। এরকম শত শত লোক ফিরে যাচ্ছে। চাহিদার বিপরীতে এ ট্রেনের টিকিট বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন। এ অঞ্চলের বাসের পাশাপাশি ট্রেনে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে যাত্রীদের। সফিকুল আলম নামে আরেকজন বলেন, রেলবিভাগ পদ্মা ও ধুমকেতুর ট্রেনটি চালু করলে এ অঞ্চলের মানুষকে বাড়তি বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। ইতোপূর্বে পদ্মা ও ধুমকেতুর টিকিট এ জেলার যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪০টি। সেটিও বন্ধ করে দিয়েছে। এটি এক ধরনের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়া ছাড়া কিছু না। তাই রেল কর্তৃপক্ষকে এ অঞ্চলের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এদিকে জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির বলেন, করোনার সময় থেকে অদ্যাবধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন বন্ধ রয়েছে। সেগুলো আর চালুর উদ্যোগ নেয়নি। সরকার সেই বন্ধ ট্রেনগুলো চালুর উদ্যোগ নিলে ভুক্তভোগী যাত্রীদের অনেকাংশে কষ্ট লাঘব হবে। সেই সাথে সরকারের ভাবমূর্তি আরো উজ্জল হবে। বর্তমানে ট্রেনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। যাত্রীদের বিমুখ না করতে কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। ঢাকা যাওয়ার একমাত্র ভরসা বনলতা ট্রেন। সেটিতেও টিকেট বরাদ্দ মাত্র ৯৮টি। এক্ষেত্রে ট্রেনের টিকেটের বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। এছাড়া পদ্মা ও ধুমকেতু ট্রেনের টিকেট পুনরায় চালু করতে হবে। অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ জানান, যথাসময়ে নিয়মানুযায়ী কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। যৎসামান্য টিকেট, সেক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হচ্ছে।