গৃহকর্মীদের জন্য আইন তৈরির আহ্বান

জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দেশের প্রায় ১২ লাখ গৃহকর্মী রয়েছে। তাদের অনেক নির্যাতনের শিকার হয়। তাই তাদের জন্য একটি আইন তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ রইলো। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ২০১৫ সালে আমি যখন শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। এই হলে (বিআইসিসি) আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলাম বাংলাদেশে ১২ লাখ গৃহশ্রমিক রয়েছে। এদের ওপর এত অত্যাচার হয়। ১০/১২ বছরের বাচ্চা ছেলে-মেয়েরা কাজ করে। বেশিরভাগ গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে। কাজের নির্দিষ্ট ঘণ্টা নেই। একটা নীতিমালা আমরা করেছিলাম, আপনি অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেই অনুমোদন দেয়ার সাত বছরেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। তাই গৃহকর্মীদের জন্য আইন তৈরি করার জন্য অনুরোধ করছি।

মুজিবুল হক বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মসংস্থানের বিষয় নেই। কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন, সেটার ম্যান্ডেট হলো শ্রম মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেই কাজটি শ্রম মন্ত্রণালয় করতে পারছে না, করছে অন্য মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) তৈরি করা হচ্ছে। সেটার মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কোন অবদান ও কাজ নেই। যা করছে অন্য মন্ত্রণালয়। যে মন্ত্রণালয় এ কাজটি করছে তারা কিন্তু বিদেশে জনশক্তি পাঠায়। তাদের অনেক কাজ, এ কাজ করার জন্য ওই মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি নেই। যেটা শ্রম মন্ত্রণালয়ের শ্রম অধিদপ্তরের রয়েছে। তাই টিটিসিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করার অনুরোধ করেন তিনি।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে তেজগাঁও, আশুগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, লালমনিরহাট, মোংলাসহ এই সমস্ত জায়গায় ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল থেকে দামি জমি রয়েছে বলে জানান সংসদীয় কমিটির এ সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘এটা পতিত আছে। এটাতে যদি আয়ের কোন প্রকল্প করা যায়, তাহলে এই মন্ত্রণালয়ের শত শত কোটি টাকা আয় হবে, শ্রমিকের কল্যাণে ব্যয় করা যাবে। এই বিষয়ে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা থাকলে, শ্রম মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিতে পারবে।’

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গিতে শ্রমিকদের জন্য বিশেয়াষিত হাসপাতাল নির্মাণ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার, ০৯ মে ২০২২ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ০৬ শাওয়াল ১৪৪৩

গৃহকর্মীদের জন্য আইন তৈরির আহ্বান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দেশের প্রায় ১২ লাখ গৃহকর্মী রয়েছে। তাদের অনেক নির্যাতনের শিকার হয়। তাই তাদের জন্য একটি আইন তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ রইলো। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ২০১৫ সালে আমি যখন শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। এই হলে (বিআইসিসি) আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলাম বাংলাদেশে ১২ লাখ গৃহশ্রমিক রয়েছে। এদের ওপর এত অত্যাচার হয়। ১০/১২ বছরের বাচ্চা ছেলে-মেয়েরা কাজ করে। বেশিরভাগ গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে। কাজের নির্দিষ্ট ঘণ্টা নেই। একটা নীতিমালা আমরা করেছিলাম, আপনি অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেই অনুমোদন দেয়ার সাত বছরেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। তাই গৃহকর্মীদের জন্য আইন তৈরি করার জন্য অনুরোধ করছি।

মুজিবুল হক বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মসংস্থানের বিষয় নেই। কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন, সেটার ম্যান্ডেট হলো শ্রম মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেই কাজটি শ্রম মন্ত্রণালয় করতে পারছে না, করছে অন্য মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) তৈরি করা হচ্ছে। সেটার মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কোন অবদান ও কাজ নেই। যা করছে অন্য মন্ত্রণালয়। যে মন্ত্রণালয় এ কাজটি করছে তারা কিন্তু বিদেশে জনশক্তি পাঠায়। তাদের অনেক কাজ, এ কাজ করার জন্য ওই মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি নেই। যেটা শ্রম মন্ত্রণালয়ের শ্রম অধিদপ্তরের রয়েছে। তাই টিটিসিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করার অনুরোধ করেন তিনি।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে তেজগাঁও, আশুগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, লালমনিরহাট, মোংলাসহ এই সমস্ত জায়গায় ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল থেকে দামি জমি রয়েছে বলে জানান সংসদীয় কমিটির এ সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘এটা পতিত আছে। এটাতে যদি আয়ের কোন প্রকল্প করা যায়, তাহলে এই মন্ত্রণালয়ের শত শত কোটি টাকা আয় হবে, শ্রমিকের কল্যাণে ব্যয় করা যাবে। এই বিষয়ে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা থাকলে, শ্রম মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিতে পারবে।’

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গিতে শ্রমিকদের জন্য বিশেয়াষিত হাসপাতাল নির্মাণ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।