চিঠি : পত্রিকা পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলুন

পত্রিকা পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলুন

পত্রিকা হচ্ছে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যা শুধু দেশ নয়, দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব, এমনকি মহাবিশ্ব সম্পর্কিত তথ্যভান্ডারে পাঠকদের সমৃদ্ধ করে থাকে। সমসাময়িক বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ দেশের প্রতিদিনের হালনাগাদ তথ্য জানতে পত্রিকা পাঠের বিকল্প নেই। সব বয়সি মানুষের জ্ঞান আহরণের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে নিয়মিত পত্রিকা পাঠ। নিয়মিত পত্রিকা পাঠে একজন রাজনীতিক যেমন দেশের রাজনীতির সাম্প্রতিক হালচাল সম্পর্কে অবগত থাকেন, তেমনি একজন শিক্ষার্থী তার পড়াশোনা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানতে পারেন, একজন কৃষক তার চাষাবাদ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন। দেশে পত্রিকা পাঠের চাহিদা থাকলেও তা কেবল বয়স্কদের মাঝে সীমাবদ্ধ। পত্রিকা পাঠের প্রতি নতুন প্রজন্মের বিমুখতা লক্ষ করার মতো। যার ফলে দেশ ও বহির্বিশ্বে কী ঘটছে তা সম্পর্কে তারা কিছুই জানতে পারছে না। এই অজ্ঞতা নতুন প্রজন্মের সৃজনশীলতা বিকাশের অন্যতম অন্তরায়। পত্রিকা পাঠে একদিকে যেমন বহুমুখী জ্ঞান আহরণ করা যায় অন্যদিকে এটি চিন্তা শক্তিকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। পত্রিকার কলাম, নিবন্ধ ব্যক্তিকে দেশে ঘটা ইস্যুসমূহকে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতায় প্রভাবিত করে। নিজের চিন্তা, জ্ঞান ও শিক্ষার পরিধিকে সম্প্রসারিত করতে নিয়মিত পত্রিকা পাঠের বিকল্প নেই। সব বয়সি মানুষের উচিত এ অভ্যাস গড়ে তোলা।

দেওয়ান রহমান

গবেষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয় মানেই গবেষণা। গবেষণা মানেই দেশ জাতির অগ্রগতির সূচনা। একটি দেশ তত বেশি উন্নত হবে, যত বেশি ওই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা উন্নত। আমাদের দেশের অগ্রগতি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু এই অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য কিছু কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। সেরকম একটি বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করা, সক্রিয় করা। এজন্য প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। ফলে একদিকে যেমন গবেষণার প্রতি শিক্ষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মাঝে গবেষণার প্রতি প্রবল ভালোলাগা কাজ কররে। যার ফলে দেশে নতুন নতুন গবেষক তৈরি হবে। তারাই আমাদের দেশকে নিয়ে যাবে উন্নতির চূড়ায়। আশা করি কর্তৃপক্ষ এদিকে দৃষ্টি দিবেন।

শেখ সায়মন পারভেজ হিমেল

রাস্তাটি পাকা করা হোক

টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের দয়াকান্দি গ্রামটি মহাসড়ক (ঢাকা-টাঙ্গাইল-মধুপুর) থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত। এ গ্রামের ৯০ শতাংশ লোকের প্রধান পেশা কৃষি। মহাসড়কের পাশে রয়েছে পাকুটিয়া পাবলিক হাই-স্কুল এন্ড কলেজ এবং পাকুটিয়া বটতলী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। এছাড়াও রয়েছে পাকুটিয়া প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়, একটি বড় বাজার ও সরকারি হাসপাতাল। গ্রামটি পাকুটিয়া বটতলী থেকে একটি কাঁচা রাস্তার সাথে যুক্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাজার কিংবা কৃষিপণ্যের পরিবহনে এ রাস্তাটিই ব্যবহার করা হয়। শুধু দয়াকান্দিই নয় পাশের মন্ডলবাড়ি, ফুলহারা, বানিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারাও এ রাস্তাটি ব্যবহার করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আশপাশের সব রাস্তা পাকা হলেও এ রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। মাঝে-মাঝে মাটি কেটে রাস্তাটি মেরামত করা হলেও তা যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ বয়ে আনে। বর্ষাকালের সামন্য বৃষ্টিতেই চলাচলের বিঘ্ন ঘটায়। এসময় যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। তাই চলাচলের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রাস্তাটি পাকা করার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

রফিকুল ইসলাম আকাশ

আরও খবর

সোমবার, ০৯ মে ২০২২ , ২৬ বৈশাখ ১৪২৮ ০৬ শাওয়াল ১৪৪৩

চিঠি : পত্রিকা পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলুন

পত্রিকা পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলুন

পত্রিকা হচ্ছে এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যা শুধু দেশ নয়, দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব, এমনকি মহাবিশ্ব সম্পর্কিত তথ্যভান্ডারে পাঠকদের সমৃদ্ধ করে থাকে। সমসাময়িক বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ দেশের প্রতিদিনের হালনাগাদ তথ্য জানতে পত্রিকা পাঠের বিকল্প নেই। সব বয়সি মানুষের জ্ঞান আহরণের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে নিয়মিত পত্রিকা পাঠ। নিয়মিত পত্রিকা পাঠে একজন রাজনীতিক যেমন দেশের রাজনীতির সাম্প্রতিক হালচাল সম্পর্কে অবগত থাকেন, তেমনি একজন শিক্ষার্থী তার পড়াশোনা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানতে পারেন, একজন কৃষক তার চাষাবাদ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন। দেশে পত্রিকা পাঠের চাহিদা থাকলেও তা কেবল বয়স্কদের মাঝে সীমাবদ্ধ। পত্রিকা পাঠের প্রতি নতুন প্রজন্মের বিমুখতা লক্ষ করার মতো। যার ফলে দেশ ও বহির্বিশ্বে কী ঘটছে তা সম্পর্কে তারা কিছুই জানতে পারছে না। এই অজ্ঞতা নতুন প্রজন্মের সৃজনশীলতা বিকাশের অন্যতম অন্তরায়। পত্রিকা পাঠে একদিকে যেমন বহুমুখী জ্ঞান আহরণ করা যায় অন্যদিকে এটি চিন্তা শক্তিকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। পত্রিকার কলাম, নিবন্ধ ব্যক্তিকে দেশে ঘটা ইস্যুসমূহকে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতায় প্রভাবিত করে। নিজের চিন্তা, জ্ঞান ও শিক্ষার পরিধিকে সম্প্রসারিত করতে নিয়মিত পত্রিকা পাঠের বিকল্প নেই। সব বয়সি মানুষের উচিত এ অভ্যাস গড়ে তোলা।

দেওয়ান রহমান

গবেষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয় মানেই গবেষণা। গবেষণা মানেই দেশ জাতির অগ্রগতির সূচনা। একটি দেশ তত বেশি উন্নত হবে, যত বেশি ওই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা উন্নত। আমাদের দেশের অগ্রগতি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু এই অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য কিছু কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। সেরকম একটি বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করা, সক্রিয় করা। এজন্য প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। ফলে একদিকে যেমন গবেষণার প্রতি শিক্ষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মাঝে গবেষণার প্রতি প্রবল ভালোলাগা কাজ কররে। যার ফলে দেশে নতুন নতুন গবেষক তৈরি হবে। তারাই আমাদের দেশকে নিয়ে যাবে উন্নতির চূড়ায়। আশা করি কর্তৃপক্ষ এদিকে দৃষ্টি দিবেন।

শেখ সায়মন পারভেজ হিমেল

রাস্তাটি পাকা করা হোক

টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের দয়াকান্দি গ্রামটি মহাসড়ক (ঢাকা-টাঙ্গাইল-মধুপুর) থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত। এ গ্রামের ৯০ শতাংশ লোকের প্রধান পেশা কৃষি। মহাসড়কের পাশে রয়েছে পাকুটিয়া পাবলিক হাই-স্কুল এন্ড কলেজ এবং পাকুটিয়া বটতলী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। এছাড়াও রয়েছে পাকুটিয়া প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়, একটি বড় বাজার ও সরকারি হাসপাতাল। গ্রামটি পাকুটিয়া বটতলী থেকে একটি কাঁচা রাস্তার সাথে যুক্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাজার কিংবা কৃষিপণ্যের পরিবহনে এ রাস্তাটিই ব্যবহার করা হয়। শুধু দয়াকান্দিই নয় পাশের মন্ডলবাড়ি, ফুলহারা, বানিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারাও এ রাস্তাটি ব্যবহার করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আশপাশের সব রাস্তা পাকা হলেও এ রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। মাঝে-মাঝে মাটি কেটে রাস্তাটি মেরামত করা হলেও তা যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ বয়ে আনে। বর্ষাকালের সামন্য বৃষ্টিতেই চলাচলের বিঘ্ন ঘটায়। এসময় যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। তাই চলাচলের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রাস্তাটি পাকা করার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

রফিকুল ইসলাম আকাশ