জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়ার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই। বর্তমান কমিশন সর্বোচ্চ ১০০ সংসদীয় আসনে ইভিএমে ভোট করতে পারবে। ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নিতে নতুন ২ লাখ মেশিন এবং ভোটের সময় এগুলো চালাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে হবে জানিয়েছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোন ফরমাল বা ইনফরমাল প্রস্তাব আসেনি। তারা প্রস্তাব দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।’
কমিশনের সক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে এক সময় ইসির সচিবের দায়িত্বে থাকা এই কমিশনার বলেন, ‘৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সক্ষমতা কমিশনের এনই। বর্তমানে ইসির কাছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম আছে। এগুলো দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কেননা, জাতীয় নির্বাচনে ৪৩ হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি কেন্দ্রে তিনটি করে ভোটকক্ষের বিপরীতে ব্যাকআপসহ আরও প্রায় ২ লাখ মেশিনের প্রয়োজন। এছাড়া প্রশিক্ষিত জনবলও নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আস্থার জায়গা ঠিক হয়ে গেলে ১০০ বা ২০০ অথবা ২৫০ আসনে ভোট করা সম্ভব। ৩০০ আসনেই যে করতে হবে এমন কোন কথা নেই। এছাড়া সব আসনে ইভিএমে ভোট করতে হলে প্রকল্প নিতে হবে। তারপর ইভিএম কেনা সম্ভব হবে।’
মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন আলোচনা হয়নি। কারণ আমরা কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ও পৌরসভা এবং ইউপি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছি। জাতীয় নির্বাচন অনেক দূরে।’
ইভিএমের মান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের ইভিএম ভারতের ইভিএমের চেয়ে অনেক আপডেট এবং মানের দিক থেকেও অনেক উন্নত। এটা অবিশ্বাস করার মতো না। ভারত যেভাবে অবিশ্বাস কাটিয়ে উঠেছে, আমরাও সেভাবে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব।’
মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২ , ২৭ বৈশাখ ১৪২৮ ০৭ শাওয়াল ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়ার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই। বর্তমান কমিশন সর্বোচ্চ ১০০ সংসদীয় আসনে ইভিএমে ভোট করতে পারবে। ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নিতে নতুন ২ লাখ মেশিন এবং ভোটের সময় এগুলো চালাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে হবে জানিয়েছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোন ফরমাল বা ইনফরমাল প্রস্তাব আসেনি। তারা প্রস্তাব দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।’
কমিশনের সক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে এক সময় ইসির সচিবের দায়িত্বে থাকা এই কমিশনার বলেন, ‘৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সক্ষমতা কমিশনের এনই। বর্তমানে ইসির কাছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম আছে। এগুলো দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কেননা, জাতীয় নির্বাচনে ৪৩ হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি কেন্দ্রে তিনটি করে ভোটকক্ষের বিপরীতে ব্যাকআপসহ আরও প্রায় ২ লাখ মেশিনের প্রয়োজন। এছাড়া প্রশিক্ষিত জনবলও নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আস্থার জায়গা ঠিক হয়ে গেলে ১০০ বা ২০০ অথবা ২৫০ আসনে ভোট করা সম্ভব। ৩০০ আসনেই যে করতে হবে এমন কোন কথা নেই। এছাড়া সব আসনে ইভিএমে ভোট করতে হলে প্রকল্প নিতে হবে। তারপর ইভিএম কেনা সম্ভব হবে।’
মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন আলোচনা হয়নি। কারণ আমরা কয়েকদিন আগে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ও পৌরসভা এবং ইউপি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছি। জাতীয় নির্বাচন অনেক দূরে।’
ইভিএমের মান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের ইভিএম ভারতের ইভিএমের চেয়ে অনেক আপডেট এবং মানের দিক থেকেও অনেক উন্নত। এটা অবিশ্বাস করার মতো না। ভারত যেভাবে অবিশ্বাস কাটিয়ে উঠেছে, আমরাও সেভাবে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব।’