২০ দেশের অংশগ্রহণে ঢাকায় অ্যাপারেল সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের গতি বেগবান করতে গতকাল ঢাকায় দেশ-বিদেশের নীতি নির্ধারক, শিল্প খাতের নেতা, ব্র্যান্ডসমূহের প্রতিনিধি এবং ফ্যাশন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একত্রিত হয়েছেন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) কর্তৃক আয়োজিত ৩য় সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম সম্মেলনে ৫০ জনেরও অধিক বক্তা এবং প্রায় ২০টি দেশ থেকে সবুজ প্রবৃদ্ধি নিয়ে কাজ করা ২০টি প্রদর্শনকারী কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে।

সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের (এসএএফ) উদ্বোধনী ও সমাপনী অধিবেশনের পাশাপাশি পাঁচটি প্লেনারি সেশনে বক্তারা পোশাক শিল্পের বর্তমান টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত ইস্যুগুলো, বিশেষ করে জলবায়ু পরিকল্পনা, পরিবেশগত সামাজিক ও সুশাসন এবং সবুজ অর্থায়ন, ক্রয় অনুশীলন, আবশ্যিক প্রচেষ্টা, আইন প্রণয়ন এবং চক্রাকার অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেন।

সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম সম্মেলনে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে ইউরোপিয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইউরোপীয় কমিশনের সামাজিক অর্থনীতি ও সৃজনশীল শিল্প ইউনিটের প্রধান আন্না আথানাসোপোলু, ওইসিডির দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের বিষয়ে আর্থিক খাত অ্যান্ড রেগুলেটরি এনগেজমেন্ট লিড সেন্টার এর বারবারা বিজেলিক, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্লাটফর্ম শেপিং দি ফিউচার অব এডভান্সড ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড ভ্যালু চেইনস-এর কমিউনিটি কিউরেটর ইয়ান ক্রোনিন, ইউএনএফসিসিসির সেক্টরস এনগেজমেন্ট লিড লিন্ডিটা জাফেরি সালিহু, এইচএন্ডএম-এর সাসটেইনিবিলিটি প্রধান প্যাসকাল ব্রুন, ইনডিটেক্স-এর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য আঞ্চলিক প্রধান জেভিয়ার সানতোনজা ওলসিনা, যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর গ্লোবাল ওয়ার্কার্স রাইটসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক অ্যানার, রিমেক-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আয়েশা বারেনব্লাট, বেটার বায়িংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিসার্চ নাজেট ড্রেপার, গুড ফ্যাশন ফান্ডের টিম লিড ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট জেমা ভারহোভেন, ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের হেড অব সাপ্লাই চেইন টান্সফরমেশন অ্যানাবেল মেয়ার্স এবং আইএল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন প্রমুখ।

সম্মেলনে বিশ্বখ্যাত রিসাইক্লিং এবং রিনিউবল এনার্জি কোম্পানিগুলোর সিনিয়র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সাসটেইনেবল ও গ্রিন প্রযুক্তিসমূহ এবং পণ্য ও সমাধানগুলো প্রদর্শন করেন। সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম থেকেও শিল্পের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সবুজ অর্থায়নের সুযোগগুলো তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বেগবান করতে এ বছর আমরা সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের (এসএএফ) সম্মেলনে সব ফ্যাশন স্টেকহোল্ডারকে একই ছাদের নিচে এনেছি, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারী পর এনেছি, যে মহামারিটি বৈশ্বিক পোশাক সরবরাহ চেইনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই ফোরামটি একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার প্লাটফর্ম, যেখানে টেকসই বিষয়ে আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যগুলো কিভাবে অর্থপূর্ণভাবে, বাস্তবসম্মত প্রক্রিয়ায় অর্জন করা যেতে পারে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’

এসএফএ-এর উদ্বোধনী সেশনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, বিশেষ করে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তাবিষয়ক বিধিনিষেধগুলো মেনে চলা ও নিশ্চিতকরণের বিষয়ে সদা সতর্ক হয়েছে।’

তিনি তার বক্তব্যে আরও নৈতিকতাপূর্ণ ও টেকসই শিল্প নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা ও টেকসই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তারপরও শিল্পকে আরও টেকসই করার জন্য আরও করণীয় রয়েছে, যেখানে স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা আর সহযোগিতাই হচ্ছে মূল বিষয়।’

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো শুধুমাত্র নিরাপদই নয় বরং সেগুলো আরও গতিশীল, আধুনিক, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ এখন সর্বোচ্চ সংখ্যক সবুজ কারখানার আবাসস্থল। আমরা বিশ্বাস করি যে, টেকসই উন্নয়ন কোন স্প্রিন্ট নয়, এটি একটি ম্যারাথন। আমরা শিল্পে সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষেত্রে যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছি, তা বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি, আমরা ব্যবসায় সক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও নজর দিয়েছি।’

কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের ইউরোপিয় ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের পরিচালক, স্টেফানি দেয়ারস-র‌্যাটক্লিফ বলেন, ‘সাসটেইনেবিলিটির কোন বিকল্প নেই, এটি এখন ফ্যাশন শিল্পের জন্য অপরিহার্য। কটন কাউন্সিল শিল্পে টেকসই তুলার সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।’

বিজিএমইএ-এর পরিচালক এবং বিএই (বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক নতুন বাস্তবতায় বিশ্বব্যাপী ব্যবসার দৃশ্যপটের রূপান্তর ঘটেছে এবং সব উদ্বেগের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে টেকসই উন্নয়ন। সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম টেক্সটাইল ও পোশাক সাপ্লাই চেইনকে টেকসই করতে টেকসই উন্নয়ন ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করার লক্ষ্য নিয়ে একটি বৈশ্বিক ফোরাম হিসেবে কাজ করছে।’

ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাস ৩য় সাসটেইনিবিলিটি অ্যাপারেল ফোরামে টাইটল স্পন্সর হিসেবে সহযোগিতা প্রদান করেছে। প্যাসিফিক জিনস, কটন ইউএসএ ও কেডিএস প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে; ইপিক, লাউডেস ফাউন্ডেশন, হিগ ও এইচঅ্যান্ডএম গোল্ড স্পন্সর হিসেবে; বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ ও প্রাইম ব্যাংক সিলভার স্পন্সর হিসেবে এবং বিকাশ, ব্র্যাক, প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েটস ও রহিমআফরোজ সোলার ব্রোঞ্জ স্পন্সর হিসেবে সাসটেইনিবিলিটি অ্যাপারেল ফোরাম আয়োজনে সহযোগিতা প্রদান করেছে।

বুধবার, ১১ মে ২০২২ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৮ ০৮ শাওয়াল ১৪৪৩

২০ দেশের অংশগ্রহণে ঢাকায় অ্যাপারেল সম্মেলন অনুষ্ঠিত

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের গতি বেগবান করতে গতকাল ঢাকায় দেশ-বিদেশের নীতি নির্ধারক, শিল্প খাতের নেতা, ব্র্যান্ডসমূহের প্রতিনিধি এবং ফ্যাশন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একত্রিত হয়েছেন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) কর্তৃক আয়োজিত ৩য় সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম সম্মেলনে ৫০ জনেরও অধিক বক্তা এবং প্রায় ২০টি দেশ থেকে সবুজ প্রবৃদ্ধি নিয়ে কাজ করা ২০টি প্রদর্শনকারী কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে।

সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের (এসএএফ) উদ্বোধনী ও সমাপনী অধিবেশনের পাশাপাশি পাঁচটি প্লেনারি সেশনে বক্তারা পোশাক শিল্পের বর্তমান টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত ইস্যুগুলো, বিশেষ করে জলবায়ু পরিকল্পনা, পরিবেশগত সামাজিক ও সুশাসন এবং সবুজ অর্থায়ন, ক্রয় অনুশীলন, আবশ্যিক প্রচেষ্টা, আইন প্রণয়ন এবং চক্রাকার অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেন।

সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম সম্মেলনে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে ইউরোপিয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইউরোপীয় কমিশনের সামাজিক অর্থনীতি ও সৃজনশীল শিল্প ইউনিটের প্রধান আন্না আথানাসোপোলু, ওইসিডির দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের বিষয়ে আর্থিক খাত অ্যান্ড রেগুলেটরি এনগেজমেন্ট লিড সেন্টার এর বারবারা বিজেলিক, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্লাটফর্ম শেপিং দি ফিউচার অব এডভান্সড ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড ভ্যালু চেইনস-এর কমিউনিটি কিউরেটর ইয়ান ক্রোনিন, ইউএনএফসিসিসির সেক্টরস এনগেজমেন্ট লিড লিন্ডিটা জাফেরি সালিহু, এইচএন্ডএম-এর সাসটেইনিবিলিটি প্রধান প্যাসকাল ব্রুন, ইনডিটেক্স-এর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য আঞ্চলিক প্রধান জেভিয়ার সানতোনজা ওলসিনা, যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর গ্লোবাল ওয়ার্কার্স রাইটসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক অ্যানার, রিমেক-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আয়েশা বারেনব্লাট, বেটার বায়িংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিসার্চ নাজেট ড্রেপার, গুড ফ্যাশন ফান্ডের টিম লিড ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট জেমা ভারহোভেন, ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের হেড অব সাপ্লাই চেইন টান্সফরমেশন অ্যানাবেল মেয়ার্স এবং আইএল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন প্রমুখ।

সম্মেলনে বিশ্বখ্যাত রিসাইক্লিং এবং রিনিউবল এনার্জি কোম্পানিগুলোর সিনিয়র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সাসটেইনেবল ও গ্রিন প্রযুক্তিসমূহ এবং পণ্য ও সমাধানগুলো প্রদর্শন করেন। সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম থেকেও শিল্পের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সবুজ অর্থায়নের সুযোগগুলো তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বেগবান করতে এ বছর আমরা সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের (এসএএফ) সম্মেলনে সব ফ্যাশন স্টেকহোল্ডারকে একই ছাদের নিচে এনেছি, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারী পর এনেছি, যে মহামারিটি বৈশ্বিক পোশাক সরবরাহ চেইনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই ফোরামটি একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার প্লাটফর্ম, যেখানে টেকসই বিষয়ে আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যগুলো কিভাবে অর্থপূর্ণভাবে, বাস্তবসম্মত প্রক্রিয়ায় অর্জন করা যেতে পারে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’

এসএফএ-এর উদ্বোধনী সেশনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, বিশেষ করে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তাবিষয়ক বিধিনিষেধগুলো মেনে চলা ও নিশ্চিতকরণের বিষয়ে সদা সতর্ক হয়েছে।’

তিনি তার বক্তব্যে আরও নৈতিকতাপূর্ণ ও টেকসই শিল্প নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা ও টেকসই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তারপরও শিল্পকে আরও টেকসই করার জন্য আরও করণীয় রয়েছে, যেখানে স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা আর সহযোগিতাই হচ্ছে মূল বিষয়।’

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো শুধুমাত্র নিরাপদই নয় বরং সেগুলো আরও গতিশীল, আধুনিক, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ এখন সর্বোচ্চ সংখ্যক সবুজ কারখানার আবাসস্থল। আমরা বিশ্বাস করি যে, টেকসই উন্নয়ন কোন স্প্রিন্ট নয়, এটি একটি ম্যারাথন। আমরা শিল্পে সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষেত্রে যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছি, তা বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি, আমরা ব্যবসায় সক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও নজর দিয়েছি।’

কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের ইউরোপিয় ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের পরিচালক, স্টেফানি দেয়ারস-র‌্যাটক্লিফ বলেন, ‘সাসটেইনেবিলিটির কোন বিকল্প নেই, এটি এখন ফ্যাশন শিল্পের জন্য অপরিহার্য। কটন কাউন্সিল শিল্পে টেকসই তুলার সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।’

বিজিএমইএ-এর পরিচালক এবং বিএই (বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক নতুন বাস্তবতায় বিশ্বব্যাপী ব্যবসার দৃশ্যপটের রূপান্তর ঘটেছে এবং সব উদ্বেগের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে টেকসই উন্নয়ন। সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম টেক্সটাইল ও পোশাক সাপ্লাই চেইনকে টেকসই করতে টেকসই উন্নয়ন ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করার লক্ষ্য নিয়ে একটি বৈশ্বিক ফোরাম হিসেবে কাজ করছে।’

ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাস ৩য় সাসটেইনিবিলিটি অ্যাপারেল ফোরামে টাইটল স্পন্সর হিসেবে সহযোগিতা প্রদান করেছে। প্যাসিফিক জিনস, কটন ইউএসএ ও কেডিএস প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে; ইপিক, লাউডেস ফাউন্ডেশন, হিগ ও এইচঅ্যান্ডএম গোল্ড স্পন্সর হিসেবে; বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ ও প্রাইম ব্যাংক সিলভার স্পন্সর হিসেবে এবং বিকাশ, ব্র্যাক, প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েটস ও রহিমআফরোজ সোলার ব্রোঞ্জ স্পন্সর হিসেবে সাসটেইনিবিলিটি অ্যাপারেল ফোরাম আয়োজনে সহযোগিতা প্রদান করেছে।