কমেছে শিক্ষার্থী, কমেছে পাঠ্যপুস্তক ও মুদ্রণ

করোনা মহামারীর প্রভাবে নিয়মিত কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। কমছে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণও। এনসিটিবির দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে পাঁচ শতাংশ বেশি ‘বাফার স্টক’ বা আপদকালীন মজুদের বই না ছাপানোর কারণে এই সংখ্যা কমছে। তাছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে বইয়ের চাহিদাপত্র পাঠাত, সেটিও দুই বছর ধরে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে এনসিটিবির দাবি।

এনসিটিবির গত তিন বছরের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সরকার ২০২১ শিক্ষাবর্ষে রেকর্ড সংখ্যক ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ কপি পাঠ্যবই ছেপে বিতরণ করেছিল। চলতি শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে বিতরণ হয়েছে ৩৫ কোটি ১৬ লাখের মতো বই। এ হিসাবে ২০২১ থেকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত-এক বছরে প্রায় ৭৭ লাখ কপি পাঠ্যবই মুদ্রণ ও বিতরণ কমেছে।

আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৩) জন্য ৩৪ কোটি ৬২ লাখ কপি বই মুদ্রণ ও বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এ হিসাবে চলতি শিক্ষাবর্ষের তুলনায় আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য আরও ৫২ লাখ কপি পাঠ্যবই কম ছাপা হচ্ছে।

শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের কারণে টানা দুই বছর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এই সময়ে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ঝরে পড়ছে। এ কারণে পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা কমেছে।

শিক্ষার্থী কমার কারণে বই ছাপা কমছে কি-না জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মশিউজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী আমরা পাঠ্যবই ছেপে থাকি। তবে গত দুই বছরে আমরা বইয়ের অপচয় রোধ করেছি। অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে বইয়ের চাহিদা পাঠানো সেটি কমানো হয়েছে।’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও ভর্তি কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিপিই এনসিটিবিকে জানিয়েছে, অনেক স্কুলেও শিক্ষার্থী আসলে এখনও ভর্তি নেয়া হচ্ছে। এ কারণে শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে আরও সময় লাগবে বলে জানান ড. মশিউজ্জামান।

এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মোট দুই কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮২২ জন শিক্ষার্থীর কাছে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে।

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এনসিটিবি সম্প্রতি তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্যবই ছাপার দরপত্র আহ্বান করেছে। তবে চলতি বছর সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে সেই তথ্য এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

এ কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ধরে নিয়েই আগামী শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যপুস্তক ছাপার কার্যক্রম চলছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মোট ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার কপি বই ছাপার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে তাদের শিক্ষার্থীর মোট তথ্য এনসিটিবিকে সরবরাহ করেছে। দুই বিভাগ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম-দশম এবং সমমানের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষায় মোট এক কোটি ৮৯ লাখের মতো শিক্ষার্থীর তথ্য দেয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক স্তরের এক কোটি ৮৯ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মোট ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি পাঠ্যপুস্তক ছাপার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ।

সবমিলিয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শিক্ষার স্তর পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় চার কোটি ১৭ লাখের মতো। তাদের জন্য আগামী শিক্ষাবর্ষে মোট পাঠ্যপুস্তক ছাপা হচ্ছে ৩৪ কোটি ৬২ লাখের বেশি।

এনসিটিবির প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারাদেশের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখনও নির্ণয় হয়নি। এই সংখ্যা কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। এর ফলে পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যাও কম-বেশি হতে পারে। শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা পেতে বিলম্ব হওয়ায় সেই আলোকেই বই ছাপার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ১৭ মার্চ থেকে টানা প্রায় দুই বছর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এর আগে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের জন্য ২০১৯ সালে সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের মোট চার কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ৩৫ কোটি ৩১ লাখের বেশি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছিল।

২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকেই সরকার ধারাবাহিক সাফল্য হিসেবে নতুন বছরের শুরুতেই সারাদেশের শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করে আসছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রতিবছর সরকারের বিশাল এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করছে। নতুন বছরের প্রথমদিনই সারাদেশের শিক্ষার্থী হাতে পায় বিনামূল্যের পাঠ্যবই।

বুধবার, ১১ মে ২০২২ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৮ ০৮ শাওয়াল ১৪৪৩

কমেছে শিক্ষার্থী, কমেছে পাঠ্যপুস্তক ও মুদ্রণ

রাকিব উদ্দিন

করোনা মহামারীর প্রভাবে নিয়মিত কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। কমছে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণও। এনসিটিবির দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে পাঁচ শতাংশ বেশি ‘বাফার স্টক’ বা আপদকালীন মজুদের বই না ছাপানোর কারণে এই সংখ্যা কমছে। তাছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে বইয়ের চাহিদাপত্র পাঠাত, সেটিও দুই বছর ধরে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে এনসিটিবির দাবি।

এনসিটিবির গত তিন বছরের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সরকার ২০২১ শিক্ষাবর্ষে রেকর্ড সংখ্যক ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ কপি পাঠ্যবই ছেপে বিতরণ করেছিল। চলতি শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে বিতরণ হয়েছে ৩৫ কোটি ১৬ লাখের মতো বই। এ হিসাবে ২০২১ থেকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত-এক বছরে প্রায় ৭৭ লাখ কপি পাঠ্যবই মুদ্রণ ও বিতরণ কমেছে।

আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৩) জন্য ৩৪ কোটি ৬২ লাখ কপি বই মুদ্রণ ও বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এ হিসাবে চলতি শিক্ষাবর্ষের তুলনায় আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য আরও ৫২ লাখ কপি পাঠ্যবই কম ছাপা হচ্ছে।

শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের কারণে টানা দুই বছর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এই সময়ে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ঝরে পড়ছে। এ কারণে পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা কমেছে।

শিক্ষার্থী কমার কারণে বই ছাপা কমছে কি-না জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মশিউজ্জামান সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী আমরা পাঠ্যবই ছেপে থাকি। তবে গত দুই বছরে আমরা বইয়ের অপচয় রোধ করেছি। অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে বইয়ের চাহিদা পাঠানো সেটি কমানো হয়েছে।’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও ভর্তি কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিপিই এনসিটিবিকে জানিয়েছে, অনেক স্কুলেও শিক্ষার্থী আসলে এখনও ভর্তি নেয়া হচ্ছে। এ কারণে শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে আরও সময় লাগবে বলে জানান ড. মশিউজ্জামান।

এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মোট দুই কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮২২ জন শিক্ষার্থীর কাছে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে।

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এনসিটিবি সম্প্রতি তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্যবই ছাপার দরপত্র আহ্বান করেছে। তবে চলতি বছর সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে সেই তথ্য এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

এ কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ধরে নিয়েই আগামী শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যপুস্তক ছাপার কার্যক্রম চলছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মোট ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার কপি বই ছাপার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে তাদের শিক্ষার্থীর মোট তথ্য এনসিটিবিকে সরবরাহ করেছে। দুই বিভাগ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম-দশম এবং সমমানের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষায় মোট এক কোটি ৮৯ লাখের মতো শিক্ষার্থীর তথ্য দেয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক স্তরের এক কোটি ৮৯ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মোট ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি পাঠ্যপুস্তক ছাপার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ।

সবমিলিয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শিক্ষার স্তর পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় চার কোটি ১৭ লাখের মতো। তাদের জন্য আগামী শিক্ষাবর্ষে মোট পাঠ্যপুস্তক ছাপা হচ্ছে ৩৪ কোটি ৬২ লাখের বেশি।

এনসিটিবির প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারাদেশের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখনও নির্ণয় হয়নি। এই সংখ্যা কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। এর ফলে পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যাও কম-বেশি হতে পারে। শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা পেতে বিলম্ব হওয়ায় সেই আলোকেই বই ছাপার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ১৭ মার্চ থেকে টানা প্রায় দুই বছর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এর আগে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের জন্য ২০১৯ সালে সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের মোট চার কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ৩৫ কোটি ৩১ লাখের বেশি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছিল।

২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকেই সরকার ধারাবাহিক সাফল্য হিসেবে নতুন বছরের শুরুতেই সারাদেশের শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করে আসছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রতিবছর সরকারের বিশাল এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করছে। নতুন বছরের প্রথমদিনই সারাদেশের শিক্ষার্থী হাতে পায় বিনামূল্যের পাঠ্যবই।