মানব পাচার প্রতিরোধ করতে হবে

মানব পাচার একটি দেশের অভ্যন্তরে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সংঘটিত একটি অপরাধ, যা মানুষের মুক্ত চলাচলের অধিকারকে হরণ করে। মানব পাচার মূলত নারী এবং শিশু পাচারকে ইঙ্গিত করে। মধ্যযুগের মানবতাবিরোধী জঘন্য অপকর্ম দাস প্রথার আধুনিক সংস্করণ ‘মানব পাচার’। এটি বর্তমানে সামাজিক ব্যধিতে পরিণত হয়েছে।

একশ্রেণীর সমাজবিরোধী দুর্বৃত্তরা অর্থ উপার্জনের জন্য মানব পাচারকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। তাদের প্রলোভনে পড়ে অনেক অবৈধ অভিবাসী মানব পাচারকারী চক্রের হাতে জিম্মি ও আটক হয়ে করুণ জীবনযাপন করছে। তাদের জীবন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। মানব পাচার রোধে দরকার জাতীয় ও গ্রাম পর্যায়ে সভা, সমাবেশ, মত বিনিময় সভা করা। এতে মসজিদের ইমাম, খতিব, শিক্ষক ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকবে। তারা নিজ নিজ এলাকায় এ বিষয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। মানব পাচার রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মানুষকে সদুপদেশের মাধ্যমে ইহকালিন ও পরকালীন ভয়াবহ পরিণতির কথা স্মরণ করে সচেতন থাকতে উদ্বুদ্ধ করা দরকার। তা ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে অবৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে।

এ জাতীয় জঘন্য অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বদা তৎপর ও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় মানব পাচার বন্ধ হবে না। মানুষের প্রতি মানুষের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও মানবতাবোধ জাগ্রত হোক। জয় হোক মানবতার।

সালমা আক্তার

বুধবার, ১১ মে ২০২২ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৮ ০৮ শাওয়াল ১৪৪৩

মানব পাচার প্রতিরোধ করতে হবে

মানব পাচার একটি দেশের অভ্যন্তরে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সংঘটিত একটি অপরাধ, যা মানুষের মুক্ত চলাচলের অধিকারকে হরণ করে। মানব পাচার মূলত নারী এবং শিশু পাচারকে ইঙ্গিত করে। মধ্যযুগের মানবতাবিরোধী জঘন্য অপকর্ম দাস প্রথার আধুনিক সংস্করণ ‘মানব পাচার’। এটি বর্তমানে সামাজিক ব্যধিতে পরিণত হয়েছে।

একশ্রেণীর সমাজবিরোধী দুর্বৃত্তরা অর্থ উপার্জনের জন্য মানব পাচারকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। তাদের প্রলোভনে পড়ে অনেক অবৈধ অভিবাসী মানব পাচারকারী চক্রের হাতে জিম্মি ও আটক হয়ে করুণ জীবনযাপন করছে। তাদের জীবন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। মানব পাচার রোধে দরকার জাতীয় ও গ্রাম পর্যায়ে সভা, সমাবেশ, মত বিনিময় সভা করা। এতে মসজিদের ইমাম, খতিব, শিক্ষক ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকবে। তারা নিজ নিজ এলাকায় এ বিষয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। মানব পাচার রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মানুষকে সদুপদেশের মাধ্যমে ইহকালিন ও পরকালীন ভয়াবহ পরিণতির কথা স্মরণ করে সচেতন থাকতে উদ্বুদ্ধ করা দরকার। তা ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে অবৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে।

এ জাতীয় জঘন্য অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বদা তৎপর ও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় মানব পাচার বন্ধ হবে না। মানুষের প্রতি মানুষের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও মানবতাবোধ জাগ্রত হোক। জয় হোক মানবতার।

সালমা আক্তার