দেশে দরিদ্রতা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অধিক জনসংখ্যাসহ নানারকম সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা নিজেরাই একটি সমস্যা নয়, এর বিস্তার ঘটাচ্ছে আরো সমস্যা নিয়ে। তার মধ্যে শিশু শ্রম একটি।
বাসাবাড়ি, কল কারখানা, ইটভাটা, বিড়ি সিগারেটের কারখানা, লঞ্চ, ট্রেন, ফেরি যে দিকে তাকানো হোক সর্বত্র শিশুদের কাজ করতে দেখা যায়। সারাদিন পরিশ্রমের বিনিময়ে সামান্য মজুরি পায় তারা। মালিকের মন জোগাতে না পারলে রেহাই নেই শারীরিক নির্যাতন থেকে। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এসব শিশুদের মধ্যে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, কেউ পঙ্গু হয়, কেউ অক্ষম হয়ে পড়ে। অথচ শিশুরাই নাকি আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) শিশু শ্রম রোধে বিভিন্ন স্কুল নির্মাণ করেছে। আমাদের দেশে কর্মমুখী প্রাথমিক শিক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। তাই বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার চেয়েও ক্ষুধা নিবারণের জন্য কাজ হয় জরুরি। সরকারের কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করলে অনেকাংশে কমে যাবে শিশুশ্রম। মালিকপক্ষ যদি হাতুড়ি, যন্ত্রের সঙ্গে শিশুদের হাতে বই তুলে দেন তাহলে পাল্টে যাবে শিশুর জীবন। সরকার, মালিকপক্ষ, ব্যক্তি থেকে শুরু করে সবার সদিচ্ছাই আগামী শিশুদের জীবন সুন্দর করে দিতে পারে।
লিমন আহমেদ
বুধবার, ১১ মে ২০২২ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৮ ০৮ শাওয়াল ১৪৪৩
দেশে দরিদ্রতা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অধিক জনসংখ্যাসহ নানারকম সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা নিজেরাই একটি সমস্যা নয়, এর বিস্তার ঘটাচ্ছে আরো সমস্যা নিয়ে। তার মধ্যে শিশু শ্রম একটি।
বাসাবাড়ি, কল কারখানা, ইটভাটা, বিড়ি সিগারেটের কারখানা, লঞ্চ, ট্রেন, ফেরি যে দিকে তাকানো হোক সর্বত্র শিশুদের কাজ করতে দেখা যায়। সারাদিন পরিশ্রমের বিনিময়ে সামান্য মজুরি পায় তারা। মালিকের মন জোগাতে না পারলে রেহাই নেই শারীরিক নির্যাতন থেকে। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এসব শিশুদের মধ্যে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, কেউ পঙ্গু হয়, কেউ অক্ষম হয়ে পড়ে। অথচ শিশুরাই নাকি আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) শিশু শ্রম রোধে বিভিন্ন স্কুল নির্মাণ করেছে। আমাদের দেশে কর্মমুখী প্রাথমিক শিক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। তাই বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার চেয়েও ক্ষুধা নিবারণের জন্য কাজ হয় জরুরি। সরকারের কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করলে অনেকাংশে কমে যাবে শিশুশ্রম। মালিকপক্ষ যদি হাতুড়ি, যন্ত্রের সঙ্গে শিশুদের হাতে বই তুলে দেন তাহলে পাল্টে যাবে শিশুর জীবন। সরকার, মালিকপক্ষ, ব্যক্তি থেকে শুরু করে সবার সদিচ্ছাই আগামী শিশুদের জীবন সুন্দর করে দিতে পারে।
লিমন আহমেদ