সম্রাটের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করবে দুদক

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অবৈধ সম্পদের যে মামলায় জামিন দিয়েছে নিম্ম আদালত তা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি, আগামী সোমবার আদালতে এ আবেদন দাখিল করতে পারব।

সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর গত বুধবার মুক্তি পান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে জামিন দেন।

তবে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আগামী এক সপ্তাহ তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা হবে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম। গতকাল তিনি বিএসএমএমইউয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

এর আগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। মামলাটি তদন্তকরে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

গত ২২ মার্চ দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো হয়। গত বুবধার অভিযোগ গঠনের উপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সম্রাটের আইনজীবী অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর পাশাপাশি তার জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত ৩ শর্তে জামিন আবেদন মঞ্জুর করে।

শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২ , ৩০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪৩

সম্রাটের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করবে দুদক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অবৈধ সম্পদের যে মামলায় জামিন দিয়েছে নিম্ম আদালত তা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি, আগামী সোমবার আদালতে এ আবেদন দাখিল করতে পারব।

সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর গত বুধবার মুক্তি পান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে জামিন দেন।

তবে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আগামী এক সপ্তাহ তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা হবে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম। গতকাল তিনি বিএসএমএমইউয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

এর আগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। মামলাটি তদন্তকরে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

গত ২২ মার্চ দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো হয়। গত বুবধার অভিযোগ গঠনের উপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সম্রাটের আইনজীবী অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর পাশাপাশি তার জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত ৩ শর্তে জামিন আবেদন মঞ্জুর করে।