রংপুরে ইভ্যালির রাসেলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রংপুরের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অমিত এন্টারপ্রাইজের মালিক অমিত বনিকের দায়ের করা মামলায় অনলাইন মার্কেট প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রাসেল, তার স্ত্রী নাসরিন আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহসানুল হক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে এ আদেশ প্রদান করেছেন। মামলায় বাকি ৫ জন আসামি হলেন ইভ্যালির সোশ্যাল কমিউনিকেশন কর্মকর্তা কপল দেবনাথ, সবুজ সাইক, মারুফ হোসেন ও খুরশীদ হোসেন। সব আসামিদের ঠিকানা দেয়া হয়েছে বাসা নম্বর ৮, রোড নম্বর ১৪ ধানমন্ডি ঢাকা।

রংপুর আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শিপন সাহা অ্যাডভোকেট মামলা দায়ের এবং আসামিদের বিরুদ্ধে বিচারক কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ১২ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

দায়ের করা মামলায় বাদী অমিত বনিক, পিতা মনোজ বনিক থানা রোড কোতয়ালি রংপুর অভিযোগ করেন, তিনি অমিত ইন্টারপ্রাইজ এবং তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন। তিনি জেলার একজন উচ্চ পর্যায়ের আয়কর প্রদানকারী ব্যক্তি। ইভ্যালি পরস্পর যোগসাজশে অনলাইনে লোভনীয় পণ্য কম দামে বিক্রি করার কথা প্রচার করে ছলচাতুরির আশ্রয় নেয়া প্রতারক ঠকবাজ আইন অমান্যকারী।

বাদী ইভ্যালি কম বিডির পণ্য ক্রয় করলে তিন মাসের মধ্যে শতভাগ নিশ্চয়তায় পণ্য সরবরাহ করবে মর্মে বিভিন্ন জনকে ডেলিভারি দেয়ার উদাহরণ দেন এবং বিশ্বাস না হলে তাদের সঙ্গে বলতে বলেন। এই মর্মে আসামি রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া, দৈনিক পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে তা প্রচার করতেন।

বাদী মামলার আরজিতে অভিযোগ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাদীর কাছ থেকে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৫ টাকা গ্রহণ করে পণ্য প্রদান না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারণা করেছে। সে কারণ দন্ডবিধি আইনের ৪০৬/৪২০ ধারা এবং ভোক্তা সংরক্ষণ আইনের ৪৫ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা দায়ের করেন।

এদিকে বাদী অমিত বনিকের জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচারক আসামি রাসেল তার স্ত্রী নাসরিন আক্তারসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২ , ৩০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪৩

রংপুরে ইভ্যালির রাসেলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

রংপুরের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অমিত এন্টারপ্রাইজের মালিক অমিত বনিকের দায়ের করা মামলায় অনলাইন মার্কেট প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রাসেল, তার স্ত্রী নাসরিন আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহসানুল হক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে এ আদেশ প্রদান করেছেন। মামলায় বাকি ৫ জন আসামি হলেন ইভ্যালির সোশ্যাল কমিউনিকেশন কর্মকর্তা কপল দেবনাথ, সবুজ সাইক, মারুফ হোসেন ও খুরশীদ হোসেন। সব আসামিদের ঠিকানা দেয়া হয়েছে বাসা নম্বর ৮, রোড নম্বর ১৪ ধানমন্ডি ঢাকা।

রংপুর আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শিপন সাহা অ্যাডভোকেট মামলা দায়ের এবং আসামিদের বিরুদ্ধে বিচারক কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ১২ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

দায়ের করা মামলায় বাদী অমিত বনিক, পিতা মনোজ বনিক থানা রোড কোতয়ালি রংপুর অভিযোগ করেন, তিনি অমিত ইন্টারপ্রাইজ এবং তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন। তিনি জেলার একজন উচ্চ পর্যায়ের আয়কর প্রদানকারী ব্যক্তি। ইভ্যালি পরস্পর যোগসাজশে অনলাইনে লোভনীয় পণ্য কম দামে বিক্রি করার কথা প্রচার করে ছলচাতুরির আশ্রয় নেয়া প্রতারক ঠকবাজ আইন অমান্যকারী।

বাদী ইভ্যালি কম বিডির পণ্য ক্রয় করলে তিন মাসের মধ্যে শতভাগ নিশ্চয়তায় পণ্য সরবরাহ করবে মর্মে বিভিন্ন জনকে ডেলিভারি দেয়ার উদাহরণ দেন এবং বিশ্বাস না হলে তাদের সঙ্গে বলতে বলেন। এই মর্মে আসামি রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া, দৈনিক পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে তা প্রচার করতেন।

বাদী মামলার আরজিতে অভিযোগ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাদীর কাছ থেকে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৫ টাকা গ্রহণ করে পণ্য প্রদান না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারণা করেছে। সে কারণ দন্ডবিধি আইনের ৪০৬/৪২০ ধারা এবং ভোক্তা সংরক্ষণ আইনের ৪৫ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা দায়ের করেন।

এদিকে বাদী অমিত বনিকের জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচারক আসামি রাসেল তার স্ত্রী নাসরিন আক্তারসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।