আওয়ামী লীগ করে যারা কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে তাদের প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। অর্থপাচারকারী, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ীদের কোনভাবেই দলে রাখা যাবে না।’

বৃহস্পতিবার ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

আগামী জাতীয় নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন থেকেই দলকে সুসংগঠিত ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

ফরিদপুরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরে বিগত কয়েক বছরে দলের সাংগঠনিক অবস্থা, রাজনৈতিক অবস্থা ভালো নেই। খুবই খারাপ।’ তিনি বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে, তাদেরও আওয়ামী লীগের কমিটিতে স্থান দেয়া যাবে না’।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাহজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

জনগণ মনে করে আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ‘টপ টু বটম’ নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত- বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হুংকার দিয়ে লাভ নেই। দেশের জনগণকে দেখাবার মতো আপনাদের এমন কোন উন্নয়ন নেই। তাই সরকারের পদত্যাগ দাবি না করে নিজেরা পদত্যাগ করুন।’

১৩ বছর আগের বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশের তুলনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এত উন্নয়ন- অর্জন, শুধুমাত্র শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই সম্ভব হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এতসব উন্নয়ন অর্জন বিএনপি চোখে দেখে না, তারা দিনের আলোয় রাতের অন্ধকার দেখতে পায়।’

বিএনপির শাসনামলে দেশে ২৪ ঘণ্টাই লোডশেডিং ছিল, বিএনপি নেতাদের এমন তথ্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সারাদেশ আলোয় আলোকিত করেছেন। বিএনপি নেতাদের চোখে ঠুলি পড়েছে।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে সম্মেলনে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।