শিল্প খাতে নিরাপদ ও কর্ম উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রমসচিব মো. এহছানে এলাহী। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের শিল্প খাতে নিরাপত্তা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ্রমসচিব বলেন, প্রস্তাবিত শ্রম আইনে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সব শিল্প খাতের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিধান থাকছে। এজন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ কমিটি কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি ভালো আইন হবে। আইনটি কার্যকর হলে শ্রমিক-মালিকসহ সবার স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল ওয়ার্কিং প্ল্যান করা হচ্ছে। এতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসহ অন্য কল্যাণকর বিষয়গুলো নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
সচিব জানান, কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল ওয়ার্কিং প্ল্যান করা হচ্ছে। এতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসহ অন্য কল্যাণকর বিষয়গুলো নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্প স্থাপন করতে হলে নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। চাকরিদাতা, কর্মজীবীসহ সবাই একসঙ্গে কাজ করলে যেকোন সমস্যার সমাধান সম্ভব। এখন পরিকল্পনা ছাড়া নতুন কোন শিল্পের অনুমোদন দেয়া হয় না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর তমো পোতাইনেন। তিনি বলেন, শিল্প খাতে কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে প্রত্যেক শিল্প ইউনিটে আলাদা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি জোন গঠন করা আবশ্যক।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবীর বলেন, আগে বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি খাতের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এখন তার পরিবর্তে শিল্পের অবদান বাড়ছে। শিল্পায়ন ছাড়া দেশের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য শিল্পে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা ছিল, সে ধারণা পাল্টে গেছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের মনোভাব এখন ইতিবাচক। তবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, শিল্পে দুর্ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। শুধু পোশাক শিল্পে নয়, সব খাতেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। শিল্পকারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রত্যেক কারখানায় নিরাপত্তা কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দেন তিনি।
শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২ , ৩০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
শিল্প খাতে নিরাপদ ও কর্ম উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রমসচিব মো. এহছানে এলাহী। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের শিল্প খাতে নিরাপত্তা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ্রমসচিব বলেন, প্রস্তাবিত শ্রম আইনে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সব শিল্প খাতের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিধান থাকছে। এজন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ কমিটি কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি ভালো আইন হবে। আইনটি কার্যকর হলে শ্রমিক-মালিকসহ সবার স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল ওয়ার্কিং প্ল্যান করা হচ্ছে। এতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসহ অন্য কল্যাণকর বিষয়গুলো নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
সচিব জানান, কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল ওয়ার্কিং প্ল্যান করা হচ্ছে। এতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসহ অন্য কল্যাণকর বিষয়গুলো নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্প স্থাপন করতে হলে নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। চাকরিদাতা, কর্মজীবীসহ সবাই একসঙ্গে কাজ করলে যেকোন সমস্যার সমাধান সম্ভব। এখন পরিকল্পনা ছাড়া নতুন কোন শিল্পের অনুমোদন দেয়া হয় না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর তমো পোতাইনেন। তিনি বলেন, শিল্প খাতে কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে প্রত্যেক শিল্প ইউনিটে আলাদা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি জোন গঠন করা আবশ্যক।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবীর বলেন, আগে বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি খাতের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এখন তার পরিবর্তে শিল্পের অবদান বাড়ছে। শিল্পায়ন ছাড়া দেশের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য শিল্পে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা ছিল, সে ধারণা পাল্টে গেছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের মনোভাব এখন ইতিবাচক। তবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, শিল্পে দুর্ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। শুধু পোশাক শিল্পে নয়, সব খাতেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। শিল্পকারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রত্যেক কারখানায় নিরাপত্তা কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দেন তিনি।