বজ্রপাত থেকে বাঁচতে করণীয়
ঝড়বৃষ্টি হলেই শোনা যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। তাই এ সময় সতর্কভাবে চলাচল করতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতে প্রাণহানি ঘটেছে ২০১৮ সালে, ৩৫৯ জন।
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু জায়গায় থাকা যাবে না- এ অবস্থায় সবচেয়ে ভালো হয়, কোনো দালানের নিচে আশ্রয় নিতে পারলে। উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকতে হবে। সাধারণত উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে; তাই এসব জায়গায় যাবেন না বা কাছাকাছি থাকবেন না।
ফাঁকা জায়গায় কোনো যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। জানালা থেকে দূরে থাকুন, বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না, জানালা বন্ধ করে ঘরের ভেতর থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না।
এসব বিষয়ে সচেতন হলে এ বজ্রপাত থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। তাই নিজে সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করুন।
আল-আমিন আহমেদ
রাস্তায় খড় শুকানোর বিপদ
বোরো আর আমনের এই মৌসুমে চাষিদের অনেক ব্যস্ত দেখা যায় দেশের সবখানে। তারা ধান কাটা থেকে শুরু করে ধান মাড়াই করা, খড় শুকানো ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত সময় পড়ছেন। তবে খড় শুকানোর জন্য অনেকাংশেই তারা বেছে নিয়েছে গ্রামের ছোট-বড় কাঁচা-পাকা রাস্তা। সড়কে শুকাতে দেয়া খড়ের কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহনসহ পথচারীকে। বর্ষা, ওভার লোডের গাড়ি ইত্যাদির কারণে দেখা যায় রাস্তার কোথাও না কোথাও কম বেশি গর্ত তৈরি হয়। সময়মতো সেগুলো সংস্কার করা হয় না। ফলে গর্ত থেকেই যায়।
এসব গর্তের উপর দিয়ে যখন সমানতালে খড় বিছিয়ে দেয় হয় তখন কোনক্রমেই বোঝা সম্ভব হয় না কোথায় গর্ত রয়েছে। মোটরসাইকেলের আরোহী ছাড়াও ছোট-বড় সব যানবাহন সেই গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। খড় পিচ্ছিল হওয়াতে সাধারণ চলাচলেও বেগ পেতে হয়। বর্ষার আগমনীতে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বেশ বৃষ্টি হয়। ধান মাড়াইয়ের পর রাস্তায় ফেলে রাখা হয় খড়। বৃষ্টির পানিতে খড় ভিজে রাস্তাগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। এতে প্রতি নিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
তাই পথচারীদের সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরি এবং চাষিদের এমনভাবে বন্দোবস্ত করা প্রয়োজন যাতে অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটার পূর্বেই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
রাকিব হাসান
তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি : এর শেষ কোথায়
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত দেশের মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি আজ আর কোনো বিশেষ সংবাদ নয়। প্রতি বছর বা প্রতি মাসে তো বটেই, প্রায় প্রতিদিনই দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ এখন চরম দুঃসময় অতিবহিত করছে। ধানের ভরা মৌসুমেও দাম বাড়ছে চালের। শুধু চাল নয় ডাল, তেল, আটা ও চিনিসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যে দাম এখন বাড়তি। বর্তমান সময়ে সয়াবিন তেলের দাম আকাশ ছোঁয়া। বৈশ্বিক বজারে তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশে কয়েক দফাই বাড়ানো হয়েছে সয়াবিন তেলের দাম। সর্বশেষ প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম এখন ১৯৮ টাকা।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ভোজ্যতেল হিসেবে সয়াবিনের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয় সূর্যমুখী তেল। আবার বিশ্ববাজারে এই তেলের এক তৃতীয়াংশ জোগান দেয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধের কারণে সরবরাহ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে সয়াবিন ও পাম অয়েলের ওপর। ফলে সয়াবিনসহ পাম তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। তাই ভবিষ্যতে সয়াবিন তেলের দামের শেষ কোথায়- সেটা ভাবার বিষয়।
সালমা আক্তার
শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২ , ৩০ বৈশাখ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪৩
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে করণীয়
ঝড়বৃষ্টি হলেই শোনা যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। তাই এ সময় সতর্কভাবে চলাচল করতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বজ্রপাতে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতে প্রাণহানি ঘটেছে ২০১৮ সালে, ৩৫৯ জন।
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু জায়গায় থাকা যাবে না- এ অবস্থায় সবচেয়ে ভালো হয়, কোনো দালানের নিচে আশ্রয় নিতে পারলে। উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকতে হবে। সাধারণত উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে; তাই এসব জায়গায় যাবেন না বা কাছাকাছি থাকবেন না।
ফাঁকা জায়গায় কোনো যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। জানালা থেকে দূরে থাকুন, বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না, জানালা বন্ধ করে ঘরের ভেতর থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না।
এসব বিষয়ে সচেতন হলে এ বজ্রপাত থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। তাই নিজে সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করুন।
আল-আমিন আহমেদ
রাস্তায় খড় শুকানোর বিপদ
বোরো আর আমনের এই মৌসুমে চাষিদের অনেক ব্যস্ত দেখা যায় দেশের সবখানে। তারা ধান কাটা থেকে শুরু করে ধান মাড়াই করা, খড় শুকানো ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত সময় পড়ছেন। তবে খড় শুকানোর জন্য অনেকাংশেই তারা বেছে নিয়েছে গ্রামের ছোট-বড় কাঁচা-পাকা রাস্তা। সড়কে শুকাতে দেয়া খড়ের কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহনসহ পথচারীকে। বর্ষা, ওভার লোডের গাড়ি ইত্যাদির কারণে দেখা যায় রাস্তার কোথাও না কোথাও কম বেশি গর্ত তৈরি হয়। সময়মতো সেগুলো সংস্কার করা হয় না। ফলে গর্ত থেকেই যায়।
এসব গর্তের উপর দিয়ে যখন সমানতালে খড় বিছিয়ে দেয় হয় তখন কোনক্রমেই বোঝা সম্ভব হয় না কোথায় গর্ত রয়েছে। মোটরসাইকেলের আরোহী ছাড়াও ছোট-বড় সব যানবাহন সেই গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। খড় পিচ্ছিল হওয়াতে সাধারণ চলাচলেও বেগ পেতে হয়। বর্ষার আগমনীতে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বেশ বৃষ্টি হয়। ধান মাড়াইয়ের পর রাস্তায় ফেলে রাখা হয় খড়। বৃষ্টির পানিতে খড় ভিজে রাস্তাগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। এতে প্রতি নিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
তাই পথচারীদের সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরি এবং চাষিদের এমনভাবে বন্দোবস্ত করা প্রয়োজন যাতে অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটার পূর্বেই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
রাকিব হাসান
তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি : এর শেষ কোথায়
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত দেশের মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি আজ আর কোনো বিশেষ সংবাদ নয়। প্রতি বছর বা প্রতি মাসে তো বটেই, প্রায় প্রতিদিনই দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ এখন চরম দুঃসময় অতিবহিত করছে। ধানের ভরা মৌসুমেও দাম বাড়ছে চালের। শুধু চাল নয় ডাল, তেল, আটা ও চিনিসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যে দাম এখন বাড়তি। বর্তমান সময়ে সয়াবিন তেলের দাম আকাশ ছোঁয়া। বৈশ্বিক বজারে তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশে কয়েক দফাই বাড়ানো হয়েছে সয়াবিন তেলের দাম। সর্বশেষ প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম এখন ১৯৮ টাকা।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ভোজ্যতেল হিসেবে সয়াবিনের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয় সূর্যমুখী তেল। আবার বিশ্ববাজারে এই তেলের এক তৃতীয়াংশ জোগান দেয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধের কারণে সরবরাহ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে সয়াবিন ও পাম অয়েলের ওপর। ফলে সয়াবিনসহ পাম তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। তাই ভবিষ্যতে সয়াবিন তেলের দামের শেষ কোথায়- সেটা ভাবার বিষয়।
সালমা আক্তার