কাবিননামায় জালিয়াতি কাজি কারাগারে

একই বিয়েতে দুই ধরনের কাবিননামা দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অবশেষে শ্রীঘরে পাঠানো হয়েছে আব্দুর রহমান নামের এক নিকাহ্ রেজিস্ট্রারকে। ঘটনাটি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, কাবিননামা জালিয়াতির ঘটনায় বর পক্ষের দায়ের করা মামলায় দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন বিয়ের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) আব্দুর রহমান। বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চরহোগলপাতিয়া গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের মেয়ে হাফিজা বেগমের সঙ্গে পার্শবর্তী গৌরনদী উপজেলার পূর্বগরঙ্গল গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে আবু বকর হাওলাদারের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর দাস্পত্য কলহের কারণে স্বামী আবু বকরের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট তার স্ত্রী বরিশাল আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিকাহ রেজিষ্ট্রার আব্দুর রহমানের কাছ থেকে দেন মোহরের ৫৩ হাজার টাকার কাবিননামা উত্তোলন করে আদালতে দাখিল করেন স্ত্রী হাফিজা। ২০১৫ সালের ২৪ মে স্ত্রীর দায়ের করা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পায় স্বামী আবু বকর। পরবর্তীতে একই নিকাহ রেজিষ্ট্রারের কাছ থেকে ৫৩ হাজার টাকার কাবিননামার জায়গায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার ভূয়া কাবিননামা উত্তোলন করে পুনরায় গৌরনদী পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন হাফিজা। একই বিয়ের কাবিননামায় প্রতারনার মাধ্যমে দুই ধরনের দেনমোহরের টাকার অংক দুরকমের উল্লেখ করে দেবার ঘটনায় অবশেষে হাফিজার স্বামী আবু বকর হাওলাদার বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাতেই হাজির হয়ে জামিনের জন্য নিকাহ্ রেজিস্ট্রার জামিন চাইলে তা প্রত্যাখ্যান করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার, ১৪ মে ২০২২ , ৩১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ শাওয়াল ১৪৪৩

কাবিননামায় জালিয়াতি কাজি কারাগারে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

একই বিয়েতে দুই ধরনের কাবিননামা দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অবশেষে শ্রীঘরে পাঠানো হয়েছে আব্দুর রহমান নামের এক নিকাহ্ রেজিস্ট্রারকে। ঘটনাটি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, কাবিননামা জালিয়াতির ঘটনায় বর পক্ষের দায়ের করা মামলায় দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন বিয়ের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার (কাজী) আব্দুর রহমান। বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চরহোগলপাতিয়া গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের মেয়ে হাফিজা বেগমের সঙ্গে পার্শবর্তী গৌরনদী উপজেলার পূর্বগরঙ্গল গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে আবু বকর হাওলাদারের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর দাস্পত্য কলহের কারণে স্বামী আবু বকরের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট তার স্ত্রী বরিশাল আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিকাহ রেজিষ্ট্রার আব্দুর রহমানের কাছ থেকে দেন মোহরের ৫৩ হাজার টাকার কাবিননামা উত্তোলন করে আদালতে দাখিল করেন স্ত্রী হাফিজা। ২০১৫ সালের ২৪ মে স্ত্রীর দায়ের করা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পায় স্বামী আবু বকর। পরবর্তীতে একই নিকাহ রেজিষ্ট্রারের কাছ থেকে ৫৩ হাজার টাকার কাবিননামার জায়গায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার ভূয়া কাবিননামা উত্তোলন করে পুনরায় গৌরনদী পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন হাফিজা। একই বিয়ের কাবিননামায় প্রতারনার মাধ্যমে দুই ধরনের দেনমোহরের টাকার অংক দুরকমের উল্লেখ করে দেবার ঘটনায় অবশেষে হাফিজার স্বামী আবু বকর হাওলাদার বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাতেই হাজির হয়ে জামিনের জন্য নিকাহ্ রেজিস্ট্রার জামিন চাইলে তা প্রত্যাখ্যান করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।