পেরেক ঠুকে গাছে বিজ্ঞাপন টাঙানো বন্ধ হোক

গাছের প্রাণ আছে। গাছ মানুষকে অক্সিজেন, ফুল, ফল, ছায়া ও কাঠ দিয়ে সহযোগিতা করে। আবার ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও রক্ষা করে। গাছ নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই গাছেই আমরা নানাভাবে অত্যাচার, নির্যাতন করি। ফুল, ফল ও পাতা ছিড়ে দেই। আবার ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড টাঙানোর পেরেক ঠুকে দেই।

টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার কাকরাইদ, ইদিলপুর, নতুন বাজার, জয়বাংলা বাজার, মোটেরবাজার, আউশনারা উচ্চ বিদ্যালয় ও আউশনারা কলেজ এলাকায় সড়কের পাশের গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার অসংখ্য ফেস্টুন ও ব্যানার, যা গাছে পেরেক ঠুকে আটকানো হয়েছে। গাছের বাকশক্তি ও প্রতিবাদ করবার ক্ষমতা নেই তাই যে যার ইচ্ছে মতো পেরেক মেরে এসব ফেস্টুন টাঙিয়েছে।

প্রায় সারাবছরই টাঙানো হয় এসব ফেস্টুন, ব্যানার। তবে সাম্প্রতিক ফেস্টুন লাগানোর পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তাছাড়া আগামী ১৫ জুন মধুপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার জন্য ফেস্টুন বানিয়েছে। যেগুলো পেরেক মেরে টাঙানো হচ্ছে রাস্তার পাশের ও স্কুল-কলেজের সামনের গাছে। প্রতিটি গাছে ১৫-২০ টি করে পেরেক বিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বিচারে পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র হচ্ছে। সেই ছিদ্র দিয়ে পানি ও বাতাস ঢুকে গাছে পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে।

গাছে পেরেক মেরে বিজ্ঞাপন টাঙানো বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনেরও কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। অথচ জীবন্ত গাছে পেরেক মারা আইনত দ-নীয়। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরিভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

তরিকুল ইসলাম

আউশনারা, মধুপুর, টাঙ্গাইল

শনিবার, ১৪ মে ২০২২ , ৩১ বৈশাখ ১৪২৮ ১২ শাওয়াল ১৪৪৩

পেরেক ঠুকে গাছে বিজ্ঞাপন টাঙানো বন্ধ হোক

গাছের প্রাণ আছে। গাছ মানুষকে অক্সিজেন, ফুল, ফল, ছায়া ও কাঠ দিয়ে সহযোগিতা করে। আবার ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও রক্ষা করে। গাছ নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই গাছেই আমরা নানাভাবে অত্যাচার, নির্যাতন করি। ফুল, ফল ও পাতা ছিড়ে দেই। আবার ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড টাঙানোর পেরেক ঠুকে দেই।

টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার কাকরাইদ, ইদিলপুর, নতুন বাজার, জয়বাংলা বাজার, মোটেরবাজার, আউশনারা উচ্চ বিদ্যালয় ও আউশনারা কলেজ এলাকায় সড়কের পাশের গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার অসংখ্য ফেস্টুন ও ব্যানার, যা গাছে পেরেক ঠুকে আটকানো হয়েছে। গাছের বাকশক্তি ও প্রতিবাদ করবার ক্ষমতা নেই তাই যে যার ইচ্ছে মতো পেরেক মেরে এসব ফেস্টুন টাঙিয়েছে।

প্রায় সারাবছরই টাঙানো হয় এসব ফেস্টুন, ব্যানার। তবে সাম্প্রতিক ফেস্টুন লাগানোর পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তাছাড়া আগামী ১৫ জুন মধুপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার জন্য ফেস্টুন বানিয়েছে। যেগুলো পেরেক মেরে টাঙানো হচ্ছে রাস্তার পাশের ও স্কুল-কলেজের সামনের গাছে। প্রতিটি গাছে ১৫-২০ টি করে পেরেক বিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বিচারে পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র হচ্ছে। সেই ছিদ্র দিয়ে পানি ও বাতাস ঢুকে গাছে পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে।

গাছে পেরেক মেরে বিজ্ঞাপন টাঙানো বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনেরও কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। অথচ জীবন্ত গাছে পেরেক মারা আইনত দ-নীয়। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরিভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

তরিকুল ইসলাম

আউশনারা, মধুপুর, টাঙ্গাইল