ডলারের ঊর্ধ্বগতিতে রাশ, দাম আরও কমবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা

খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে হঠাৎ করে লাগামহীন হয়ে পড়েছিল ডলারের দাম। অতি মুনাফার আশায় অনেকেই উচ্চ দামে ডলার কিনেছিল। কিন্তু দুই দিনের ব্যবধানে উল্টো রথে ছুটছে ডলার। মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা বলছে, অতিদ্রুতই ডলারের দাম আরও কমবে।

গতকাল খোলাবাজারে ডলারের দর ৯৬ থেকে ৯৭.৫ টাকায় নেমে এসেছে। কিছু কিছু মানি এক্সচেঞ্জ ডলার কিনতে আগ্রহই দেখাই নাই। কিন্তু এর আগে মঙ্গলবার হঠাৎ করেই ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে ১০৪ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। পরবর্তীতে বুধবার তা ১০০ টাকায় নেমে আসে। গতকাল দাম আরও কমেছে। তবে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার ও ব্যাংকগুলো গতকাল আগের দামেই ডলার বিক্রি করেছে।

মাহমুদ মানি এক্সচেঞ্জের আবদুল বাছির বলেন, ৯৭.৫০ টাকায় ডলার বিক্রি করছেন তারা। কিন্তু তারা নতুন করে ডলার কিনছেন না। কেন ডলার কিনছেন না এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, অতিদ্রুতই ডলারের দাম কমবে।

এদিকে একাধিক মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তার বলেন, হঠাৎ করেই অনেকই ডলার কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তাদের প্রয়োজন নাই। ধারণা করেছিল, দাম বাড়লে বিক্রি করবে। দাম পড়ে যাওয়ায় তারাই আবার বিক্রি করছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। সোমবার বড় দরপতন হয়। এক দিনেই আমেরিকান ডলারের বিপরীতে ৮০ পয়সা দর হারায় টাকা। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক দিনে টাকার এত বড় দরপতন হয়নি। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে সোমবার ১ ডলারের জন্য ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা খরচ করতে হয়। গতকালও এই একই দামে বাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই একই জায়গায় স্থির ছিল ডলারের দর। গত ১২ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ৭০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছিল।

এদিকে, ঈদের ছুটির আগে ২৭ এপ্রিল ডলারের বিপরীতে টাকার মান ২৫ পয়সা কমিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তার আগে প্রতি ডলারের জন্য ৮৬ টাকা ২০ পয়সা লাগত। এরপর ১০ এপ্রিল আরও ২৫ পয়সা কমিয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত সোমবার (১৬ মে) এক লাফে ৮০ পয়সা কমিয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর থেকে বাড়তে শুরু করে ডলারের দাম।

শুক্রবার, ২০ মে ২০২২ , ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৩

ডলারের ঊর্ধ্বগতিতে রাশ, দাম আরও কমবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে হঠাৎ করে লাগামহীন হয়ে পড়েছিল ডলারের দাম। অতি মুনাফার আশায় অনেকেই উচ্চ দামে ডলার কিনেছিল। কিন্তু দুই দিনের ব্যবধানে উল্টো রথে ছুটছে ডলার। মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা বলছে, অতিদ্রুতই ডলারের দাম আরও কমবে।

গতকাল খোলাবাজারে ডলারের দর ৯৬ থেকে ৯৭.৫ টাকায় নেমে এসেছে। কিছু কিছু মানি এক্সচেঞ্জ ডলার কিনতে আগ্রহই দেখাই নাই। কিন্তু এর আগে মঙ্গলবার হঠাৎ করেই ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে ১০৪ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। পরবর্তীতে বুধবার তা ১০০ টাকায় নেমে আসে। গতকাল দাম আরও কমেছে। তবে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার ও ব্যাংকগুলো গতকাল আগের দামেই ডলার বিক্রি করেছে।

মাহমুদ মানি এক্সচেঞ্জের আবদুল বাছির বলেন, ৯৭.৫০ টাকায় ডলার বিক্রি করছেন তারা। কিন্তু তারা নতুন করে ডলার কিনছেন না। কেন ডলার কিনছেন না এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, অতিদ্রুতই ডলারের দাম কমবে।

এদিকে একাধিক মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তার বলেন, হঠাৎ করেই অনেকই ডলার কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তাদের প্রয়োজন নাই। ধারণা করেছিল, দাম বাড়লে বিক্রি করবে। দাম পড়ে যাওয়ায় তারাই আবার বিক্রি করছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। সোমবার বড় দরপতন হয়। এক দিনেই আমেরিকান ডলারের বিপরীতে ৮০ পয়সা দর হারায় টাকা। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক দিনে টাকার এত বড় দরপতন হয়নি। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে সোমবার ১ ডলারের জন্য ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা খরচ করতে হয়। গতকালও এই একই দামে বাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই একই জায়গায় স্থির ছিল ডলারের দর। গত ১২ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ৭০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছিল।

এদিকে, ঈদের ছুটির আগে ২৭ এপ্রিল ডলারের বিপরীতে টাকার মান ২৫ পয়সা কমিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তার আগে প্রতি ডলারের জন্য ৮৬ টাকা ২০ পয়সা লাগত। এরপর ১০ এপ্রিল আরও ২৫ পয়সা কমিয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত সোমবার (১৬ মে) এক লাফে ৮০ পয়সা কমিয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর থেকে বাড়তে শুরু করে ডলারের দাম।