পদ্মা সেতু উদ্বোধন জুনের শেষ সপ্তাহে

পদ্মা সেতু চালু হলে আগামী ৫ বছরে জিডিপি (গ্রোস ডমেস্টিক প্রডাক্ট) বা মোট দেশজ উৎপাদন প্রায় ২-এর কাছাকাছি চলে যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জুন মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হচ্ছে পদ্মা সেতু। ধারণা ছিল পদ্মা সেতু এক দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আনবে। তবে এটা ২-এর কাছাকাছি চলে যাবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে।’ ১৬ ও ১৭ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠে আসবে বলে জানান তিনি।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এ সময় সাংবাদিকরা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যেই উদ্বোধনের তারিখ ঠিক করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর বিষয়ে আজকের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নিজেই পরিষ্কার করবেন আগামী পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে। পদ্মা সেতু জুন মাসের শেষে উদ্বোধন হচ্ছে, এটা তিনি বলেই দিয়েছেন। আমরাও রেডি আছি। আশা করি শেষ সপ্তাহের আগেই ব্রিজ রেডি হয়ে যাবে।’

পদ্মা সেতুর নাম কী হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পদ্মা সেতুই হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়ত আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে যেকোন সময় ক্লিয়ার করবেন।’

পদ্মা সেতুর নির্ধারিত টোল বেশি হওয়া নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘টোলটা হলো, যখনই যেখানে ব্রিজ করি এর স্ট্যান্ডার্ড হল ফেরির দেড় গুণ। সেটা ধরেই করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ব্রিজ হল প্রায় ৫ কিলোমিটার আর এটা হলো ৯ দশমিক ৮৬ (সংযোগ সড়কসহ) অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ। তাছাড়া ফেরির যে চরিত্র, সেটা কিন্তু এক ছিল না। বঙ্গবন্ধু ব্রিজ যখন টোল ধরা হয়েছে, ১৯৯৫-৯৬ এর টোল ধরে করা হয়েছে। তারপর দুইবার বাড়ানো হয়েছে। পদ্মায় তো প্রেজেন্ট টোলের রেট ধরে করা হচ্ছে। ফেরির যে রেটটা, এটাই হল জেনারেল প্র্যাকটিস, এক দশমিক ৫ গুণ, এই জিনিসটা একটু খেয়াল রাখতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পদ্মা সেতুর টাকা সেতু কর্তৃপক্ষকে এক শতাংশ হার সুদে সরকারকে ফেরত দিতে হবে। সুতরাং সেতু কর্তৃপক্ষকে ওই জায়গা থেকে টাকা উপার্জন করতে হবে। পৃথিবীর কোথাও এই ধরনের স্থাপনার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় পয়সা না দিয়ে যাওয়ার কোন সিস্টেম নেই।’

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘ফিজিবিলিটি স্টাডিতে যেমন ছিল যে, ২৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে টাকাটা (পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়) উঠে আসবে। এখন মনে হচ্ছে ১৬/১৭ বছরের মধ্যেই টাকাটা উঠে আসবে। ওই পাড়ের যেসব কাজকর্ম এবং যেগুলো আছে সেগুলো ফিজিবিলিটি স্টাডিতে আসেনি। মোংলা পোর্ট যে এত স্ট্রং হবে, পায়রা বন্দর হবে, এত শিল্পায়ন হবে- এগুলো কিন্তু আসেনি।’

পদ্মা নদীর বুকে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর কাজ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা। সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়েছে বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল।

উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে পদ্মা সেতু

জুনের শেষ সপ্তাহে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে সেতু বিভাগ। আবহাওয়ার কারণে তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে না। কারণ দেখা গেলো একটি তারিখ ঘোষণা করা হলো, কিন্তু সেদিন আবহাওয়া খারাপ। তাই সবকিছু চিন্তাভাবনা করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ঘোষণা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই তারিখ চূড়ান্ত করবেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকতারা জানান।

চূড়ান্ত না হলেও সম্ভাব্য উদ্বোধনের তারিখ হিসেবে ২৫ জুন আলোচনায় রয়েছে। বহুল প্রতীক্ষার এই সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এর মধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনে সেতু বিভাগ ১৮টি উপকমিটি গঠন করেছে। চলতি মে মাসের মধ্যেই সেতুতে আলো জ্বালানোর জন্য পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে সেতু বিভাগের সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। তিনি যেদিন সময় দিবেন সেদিন সেতু উদ্বোধন করা হবে।’ আগামী জুনের মধ্যে সেতু চালু হবে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু উদ্বোধন করে গাড়িতে চড়ে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাবেন। সেখানে আরেক দফা আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবেন। পরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে জনসভা করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে গত ১৫ মে সেতু বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের জন্য ম্যুরাল ও ফলক নির্মাণের কাজ চলছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৪০ ফুট উচ্চতার দুটি ম্যুরাল নির্মিত হচ্ছে। দুটি ম্যুরালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি থাকবে। এর পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে উদ্বোধনী ফলক।

পদ্মা সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট) ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট ও এর মধ্যে বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। এরপর পুরো সেতুতে কেবল টানা হয়েছে। গত বছর ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

শুক্রবার, ২০ মে ২০২২ , ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৩

পদ্মা সেতু উদ্বোধন জুনের শেষ সপ্তাহে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পদ্মা সেতু চালু হলে আগামী ৫ বছরে জিডিপি (গ্রোস ডমেস্টিক প্রডাক্ট) বা মোট দেশজ উৎপাদন প্রায় ২-এর কাছাকাছি চলে যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জুন মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হচ্ছে পদ্মা সেতু। ধারণা ছিল পদ্মা সেতু এক দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আনবে। তবে এটা ২-এর কাছাকাছি চলে যাবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে।’ ১৬ ও ১৭ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠে আসবে বলে জানান তিনি।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এ সময় সাংবাদিকরা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যেই উদ্বোধনের তারিখ ঠিক করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর বিষয়ে আজকের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নিজেই পরিষ্কার করবেন আগামী পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে। পদ্মা সেতু জুন মাসের শেষে উদ্বোধন হচ্ছে, এটা তিনি বলেই দিয়েছেন। আমরাও রেডি আছি। আশা করি শেষ সপ্তাহের আগেই ব্রিজ রেডি হয়ে যাবে।’

পদ্মা সেতুর নাম কী হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পদ্মা সেতুই হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়ত আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে যেকোন সময় ক্লিয়ার করবেন।’

পদ্মা সেতুর নির্ধারিত টোল বেশি হওয়া নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘টোলটা হলো, যখনই যেখানে ব্রিজ করি এর স্ট্যান্ডার্ড হল ফেরির দেড় গুণ। সেটা ধরেই করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ব্রিজ হল প্রায় ৫ কিলোমিটার আর এটা হলো ৯ দশমিক ৮৬ (সংযোগ সড়কসহ) অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ। তাছাড়া ফেরির যে চরিত্র, সেটা কিন্তু এক ছিল না। বঙ্গবন্ধু ব্রিজ যখন টোল ধরা হয়েছে, ১৯৯৫-৯৬ এর টোল ধরে করা হয়েছে। তারপর দুইবার বাড়ানো হয়েছে। পদ্মায় তো প্রেজেন্ট টোলের রেট ধরে করা হচ্ছে। ফেরির যে রেটটা, এটাই হল জেনারেল প্র্যাকটিস, এক দশমিক ৫ গুণ, এই জিনিসটা একটু খেয়াল রাখতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পদ্মা সেতুর টাকা সেতু কর্তৃপক্ষকে এক শতাংশ হার সুদে সরকারকে ফেরত দিতে হবে। সুতরাং সেতু কর্তৃপক্ষকে ওই জায়গা থেকে টাকা উপার্জন করতে হবে। পৃথিবীর কোথাও এই ধরনের স্থাপনার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় পয়সা না দিয়ে যাওয়ার কোন সিস্টেম নেই।’

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘ফিজিবিলিটি স্টাডিতে যেমন ছিল যে, ২৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে টাকাটা (পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়) উঠে আসবে। এখন মনে হচ্ছে ১৬/১৭ বছরের মধ্যেই টাকাটা উঠে আসবে। ওই পাড়ের যেসব কাজকর্ম এবং যেগুলো আছে সেগুলো ফিজিবিলিটি স্টাডিতে আসেনি। মোংলা পোর্ট যে এত স্ট্রং হবে, পায়রা বন্দর হবে, এত শিল্পায়ন হবে- এগুলো কিন্তু আসেনি।’

পদ্মা নদীর বুকে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর কাজ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা। সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়েছে বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল।

উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে পদ্মা সেতু

জুনের শেষ সপ্তাহে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে সেতু বিভাগ। আবহাওয়ার কারণে তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে না। কারণ দেখা গেলো একটি তারিখ ঘোষণা করা হলো, কিন্তু সেদিন আবহাওয়া খারাপ। তাই সবকিছু চিন্তাভাবনা করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ঘোষণা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই তারিখ চূড়ান্ত করবেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকতারা জানান।

চূড়ান্ত না হলেও সম্ভাব্য উদ্বোধনের তারিখ হিসেবে ২৫ জুন আলোচনায় রয়েছে। বহুল প্রতীক্ষার এই সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এর মধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনে সেতু বিভাগ ১৮টি উপকমিটি গঠন করেছে। চলতি মে মাসের মধ্যেই সেতুতে আলো জ্বালানোর জন্য পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে সেতু বিভাগের সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। তিনি যেদিন সময় দিবেন সেদিন সেতু উদ্বোধন করা হবে।’ আগামী জুনের মধ্যে সেতু চালু হবে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু উদ্বোধন করে গাড়িতে চড়ে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাবেন। সেখানে আরেক দফা আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবেন। পরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে জনসভা করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে গত ১৫ মে সেতু বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের জন্য ম্যুরাল ও ফলক নির্মাণের কাজ চলছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৪০ ফুট উচ্চতার দুটি ম্যুরাল নির্মিত হচ্ছে। দুটি ম্যুরালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি থাকবে। এর পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে উদ্বোধনী ফলক।

পদ্মা সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট) ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট ও এর মধ্যে বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। এরপর পুরো সেতুতে কেবল টানা হয়েছে। গত বছর ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।