সড়ক থেকে তোরণ অপসারণ করুন

ঢাকার কেরানীগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়কে অর্ধশতাধিক অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের তোরণ রয়েছে বলে জানা গেছে। তোরণগুলোতে সাঁটানো রয়েছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন। এগুলো ভেঙে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংবাদ-এর খবর জানাচ্ছে, কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে গাড়ি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন এসব তোরণ নির্মাণ করে রাখার ফলে কোথাও কোথাও বাঁশ পচে গেছে। আবার কোথাও ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে গেছে। বিভিন্ন সময় ও উপলক্ষে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা এসবের ওপর নতুন করে ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে থাকেন। উপলক্ষ বদলালেও তোরণ যেন আর সরে না। এ ক্ষেত্রে জননিরাপত্তা ও সড়ক নিরাপত্তা দুটিই বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব বাঁশের তোরণ ভেঙে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অতীতে সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণাধীন তোরণের সঙ্গে সংঘর্ষে গাড়ি উল্টে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে দূরপাল্লার বিভিন্ন পরিবহন। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে সড়কে যান চলাচলের।

এটা শুধু কেরানীগঞ্জেরই সমস্যা নয়, বরং রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেরই সমস্যা। সড়ক-মহাসড়কসহ দেশের এমন কোন এলাকার রাস্তা নেই যেখানে তোরণ নির্মাণ করে রাখা হয় না। তোরণ নির্মাণ করে বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানোসহ দলীয় নেতাদের অভ্যর্থনা জানানো একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। অথচ এসব তোরণ নির্মাণ করতে নেয়া হয় না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি, মানা হয় না কোন নিয়মনীতি, তোয়াক্কা করা হয় না কোন আইন-কানুনের। সড়ক-মহাসড়কে মাটি খুঁড়ে বাঁশ পুঁতে নির্মাণ করা হয় এসব তোরণ। এতে সংকীর্ণ হয়ে পড়ে সড়কের প্রশস্ততা, সঙ্গত কারণেই ঘটে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতাসহ দুর্ঘটনা। অথচ এ বিষয়ে উদাসীন যান চলাচল অবাধ করার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, সিটি করপোরেশ বা পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

রাস্তা দখল করে এভাবে তোরণ নির্মাণ করার নজির পৃথিবীর কোথাও আছে কিনা, সেটা গবেষণার বিষয়। আমরা সড়কে সব ধরনের দখলের অপসংস্কৃতির অবসান চাই। সড়ক দখল করে ধান মাড়াই, বাজার বা দোকান বসানো, গাড়ি পার্কিং করে রাখা, তোরণ নির্মাণ-এসবের কোনটাই কাম্য নয়। কেরানীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সড়ক-মহাসড়কে নির্মিত এসব তোরণ দ্রুত অপসারণ করতে হবে। এসব তোরণ যারাই নির্মাণ করুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তোরণ অপসারণে রাজনৈতিক সদিচ্ছাও থাকা জরুরি।

শুক্রবার, ২০ মে ২০২২ , ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৩

সড়ক থেকে তোরণ অপসারণ করুন

ঢাকার কেরানীগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়কে অর্ধশতাধিক অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের তোরণ রয়েছে বলে জানা গেছে। তোরণগুলোতে সাঁটানো রয়েছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন। এগুলো ভেঙে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংবাদ-এর খবর জানাচ্ছে, কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে গাড়ি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন এসব তোরণ নির্মাণ করে রাখার ফলে কোথাও কোথাও বাঁশ পচে গেছে। আবার কোথাও ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে গেছে। বিভিন্ন সময় ও উপলক্ষে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা এসবের ওপর নতুন করে ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে থাকেন। উপলক্ষ বদলালেও তোরণ যেন আর সরে না। এ ক্ষেত্রে জননিরাপত্তা ও সড়ক নিরাপত্তা দুটিই বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব বাঁশের তোরণ ভেঙে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অতীতে সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণাধীন তোরণের সঙ্গে সংঘর্ষে গাড়ি উল্টে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে দূরপাল্লার বিভিন্ন পরিবহন। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে সড়কে যান চলাচলের।

এটা শুধু কেরানীগঞ্জেরই সমস্যা নয়, বরং রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেরই সমস্যা। সড়ক-মহাসড়কসহ দেশের এমন কোন এলাকার রাস্তা নেই যেখানে তোরণ নির্মাণ করে রাখা হয় না। তোরণ নির্মাণ করে বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানোসহ দলীয় নেতাদের অভ্যর্থনা জানানো একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। অথচ এসব তোরণ নির্মাণ করতে নেয়া হয় না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি, মানা হয় না কোন নিয়মনীতি, তোয়াক্কা করা হয় না কোন আইন-কানুনের। সড়ক-মহাসড়কে মাটি খুঁড়ে বাঁশ পুঁতে নির্মাণ করা হয় এসব তোরণ। এতে সংকীর্ণ হয়ে পড়ে সড়কের প্রশস্ততা, সঙ্গত কারণেই ঘটে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতাসহ দুর্ঘটনা। অথচ এ বিষয়ে উদাসীন যান চলাচল অবাধ করার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, সিটি করপোরেশ বা পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

রাস্তা দখল করে এভাবে তোরণ নির্মাণ করার নজির পৃথিবীর কোথাও আছে কিনা, সেটা গবেষণার বিষয়। আমরা সড়কে সব ধরনের দখলের অপসংস্কৃতির অবসান চাই। সড়ক দখল করে ধান মাড়াই, বাজার বা দোকান বসানো, গাড়ি পার্কিং করে রাখা, তোরণ নির্মাণ-এসবের কোনটাই কাম্য নয়। কেরানীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সড়ক-মহাসড়কে নির্মিত এসব তোরণ দ্রুত অপসারণ করতে হবে। এসব তোরণ যারাই নির্মাণ করুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তোরণ অপসারণে রাজনৈতিক সদিচ্ছাও থাকা জরুরি।