চিঠি : প্রবাসী নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা

প্রবাসী নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা

জীবন-জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ দেশের বাইরে কর্মরত আছেন। তাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু এই নারীরা প্রবাসে কতটা নিরাপদে আছেন? এই নিয়ে আমরা কখনো ভাবি না। প্রবাসী নারী শ্রমিকরা খুবই পরিশ্রম করেন, অথচ ঠিকমতো তাদের খেতে দেয়া হয় না, এমনকি বিশ্রামের সময় পর্যন্ত দেয়া হয় না। মাস শেষে বেতন চাইলে তাদের ওপর চালানো হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

অনেক নারীর অভিযোগ তারা নিয়মিত দেশে থাকা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগও পান না। গণমাধ্যমে আমরা প্রায়ই দেখি প্রবাসী নারীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা। এসব নির্যাতনের কারণে অনেককে প্রাণও হারাতে হয়েছে। কেউ কেউ আবার দেশে ফিরে আত্মহননের পথও বেছে নেন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে নারীরা বিদেশ যান; তাহলে সেখানে কী এমন ঘটে যার জন্য তাদের আত্মহত্যা করতে হয়? তাই সরকারের উচিত এ বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা, যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া।

আল-আমিন আহমেদ

ফেসবুক ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের মধ্যে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এখন আকাশছোঁয়া। কিন্তু আমাদের জীবন থেকে অনেক মূল্যবান সময় কেড়ে নিচ্ছে। যে সময়ে আমাদের প্রয়োজন প্রকৃতির মুগ্ধতায় আকৃষ্ট থাকা, আপনজনদের সঙ্গে সময় কাটানো- ঠিক সেই সময়ে আমরা ডুবে আছি যান্ত্রিকতার গভীরতায়। আমাদের চারপাশে তৈরি হচ্ছে এক কৃত্রিম ঘনিষ্ঠতা।

সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে ফেসবুক আত্মসম্মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর ফলে নষ্ট হয় সময়, তৈরি হয় বিষন্নতা, মানুষ ডুবে যাচ্ছে হতাশায়। পরশ্রীকাতর হয়ে উঠছে মানুষ। নানারকম ভ্রান্ত ধারণা, গুজবের ফলে তৈরি হচ্ছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। এর ফলে এক প্রকার একাকীত্বের সৃষ্টি হচ্ছে, যা পরবর্তীতে নানারকম অসঙ্গতির সৃষ্টি করছে।

প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আমরা অনেক উন্নতির পথে যাত্রা শুরু করলেও অবক্ষয় হচ্ছে নৈতিকতার। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বা ফেসবুকের ভালো দিকও রয়েছে। কিন্তু তা নির্ভর করে ব্যবহারকারীর ওপর। ভালো কাজে ব্যবহার করলে এটি আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে এবং আমরা সর্বোচ্চ উপকার নিশ্চিত করতে পারব। তাই সকলের এটি ইতিবাচকভাবে, সচেতন হয়ে ব্যবহার করা উচিত।

সাফা আক্তার নোলক

সরকারি সহায়তা পেতে ভোগান্তি দূর করুন

গ্রামগঞ্জের অসহায় লোকের কষ্টের শেষ নাই। সরকার তাদের সহায়তা জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মুল উদ্দেশ্য তাদের সাবলীল করে তোলা, অসহায়ত্ব দূর করা, মৌলিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা। এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, করোনাকালিন ভাতা, ভিজিডি কার্ড, শিশু ভাতাসহ বাসস্থানের জন্য বসতবাড়ি তৈরি, নারীদের বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য।

কিন্তু এলাকার কিছু দুষ্কৃত লোকের কারণে তারা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় একশ্রেণীর অসাধু জনপ্রতিনিধিরাও এর সঙ্গে জড়িত থাকছে। বিভিন্ন সময় সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। টাকার বিনিময়ে অসহায় মানুষদের সরকার প্রদত্ত এসব সুবিধা ভোগ করতে হয়। তাই সঠিক সময় সঠিক সেবা যেন গরীব অসহায় এবং অক্ষম মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি কঠোর হওয়া উচিত। এসব অসাধু লোকদের দমন করতে যথাযথ ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

আবু সুফিয়ান সরকার শুভ

আরও খবর

শুক্রবার, ২০ মে ২০২২ , ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৩

চিঠি : প্রবাসী নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা

প্রবাসী নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা

জীবন-জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ দেশের বাইরে কর্মরত আছেন। তাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু এই নারীরা প্রবাসে কতটা নিরাপদে আছেন? এই নিয়ে আমরা কখনো ভাবি না। প্রবাসী নারী শ্রমিকরা খুবই পরিশ্রম করেন, অথচ ঠিকমতো তাদের খেতে দেয়া হয় না, এমনকি বিশ্রামের সময় পর্যন্ত দেয়া হয় না। মাস শেষে বেতন চাইলে তাদের ওপর চালানো হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

অনেক নারীর অভিযোগ তারা নিয়মিত দেশে থাকা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগও পান না। গণমাধ্যমে আমরা প্রায়ই দেখি প্রবাসী নারীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা। এসব নির্যাতনের কারণে অনেককে প্রাণও হারাতে হয়েছে। কেউ কেউ আবার দেশে ফিরে আত্মহননের পথও বেছে নেন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে নারীরা বিদেশ যান; তাহলে সেখানে কী এমন ঘটে যার জন্য তাদের আত্মহত্যা করতে হয়? তাই সরকারের উচিত এ বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা, যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া।

আল-আমিন আহমেদ

ফেসবুক ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের মধ্যে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এখন আকাশছোঁয়া। কিন্তু আমাদের জীবন থেকে অনেক মূল্যবান সময় কেড়ে নিচ্ছে। যে সময়ে আমাদের প্রয়োজন প্রকৃতির মুগ্ধতায় আকৃষ্ট থাকা, আপনজনদের সঙ্গে সময় কাটানো- ঠিক সেই সময়ে আমরা ডুবে আছি যান্ত্রিকতার গভীরতায়। আমাদের চারপাশে তৈরি হচ্ছে এক কৃত্রিম ঘনিষ্ঠতা।

সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে ফেসবুক আত্মসম্মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর ফলে নষ্ট হয় সময়, তৈরি হয় বিষন্নতা, মানুষ ডুবে যাচ্ছে হতাশায়। পরশ্রীকাতর হয়ে উঠছে মানুষ। নানারকম ভ্রান্ত ধারণা, গুজবের ফলে তৈরি হচ্ছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। এর ফলে এক প্রকার একাকীত্বের সৃষ্টি হচ্ছে, যা পরবর্তীতে নানারকম অসঙ্গতির সৃষ্টি করছে।

প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আমরা অনেক উন্নতির পথে যাত্রা শুরু করলেও অবক্ষয় হচ্ছে নৈতিকতার। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বা ফেসবুকের ভালো দিকও রয়েছে। কিন্তু তা নির্ভর করে ব্যবহারকারীর ওপর। ভালো কাজে ব্যবহার করলে এটি আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে এবং আমরা সর্বোচ্চ উপকার নিশ্চিত করতে পারব। তাই সকলের এটি ইতিবাচকভাবে, সচেতন হয়ে ব্যবহার করা উচিত।

সাফা আক্তার নোলক

সরকারি সহায়তা পেতে ভোগান্তি দূর করুন

গ্রামগঞ্জের অসহায় লোকের কষ্টের শেষ নাই। সরকার তাদের সহায়তা জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মুল উদ্দেশ্য তাদের সাবলীল করে তোলা, অসহায়ত্ব দূর করা, মৌলিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা। এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, করোনাকালিন ভাতা, ভিজিডি কার্ড, শিশু ভাতাসহ বাসস্থানের জন্য বসতবাড়ি তৈরি, নারীদের বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য।

কিন্তু এলাকার কিছু দুষ্কৃত লোকের কারণে তারা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় একশ্রেণীর অসাধু জনপ্রতিনিধিরাও এর সঙ্গে জড়িত থাকছে। বিভিন্ন সময় সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। টাকার বিনিময়ে অসহায় মানুষদের সরকার প্রদত্ত এসব সুবিধা ভোগ করতে হয়। তাই সঠিক সময় সঠিক সেবা যেন গরীব অসহায় এবং অক্ষম মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি কঠোর হওয়া উচিত। এসব অসাধু লোকদের দমন করতে যথাযথ ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

আবু সুফিয়ান সরকার শুভ