শিশুদের অংশগ্রহণে পালিত হলো বিশ্বস্ক্র্যাচ সপ্তাহ

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল শিশুদের জন্য স্ক্র্যাচ ব্যবহার করে প্রকল্প তৈরির প্রতিযোগিতা। শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ জন শিশু শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

স্ক্র্যাচ হল একটি উচ্চ-স্তরের ব্লক-ভিত্তিক ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। যা মূলত শিশুদের জন্য প্রোগ্রামিংয়ের জন্য একটি শিক্ষামূলক টুল। ৮ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা স্ক্র্যাচ টুলটি সবচেয়ে ভালো ব্যবহার করতে পারে। এমআইটি-র তৈরি সাইটে (scratch.mit.edu) ব্যবহারকারীরা স্ক্র্যাচ ব্যবহার করে প্রকল্প তৈরি করতে পারে। এই সাইটে ব্লক ইন্টারফেস ব্যবহার করে স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং করা হয়।

এ বছর স্ক্র্যাচ সপ্তাহ ১৬-২০ মে পর্যন্ত পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন), স্ক্র্যাচ বাংলাদেশ, কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট এই সপ্তাহ উদযাপন করে। এর অংশ হিসেবে শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্ক্র্যাচ প্রকল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীর হাতে প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান শিক্ষার্থীদের বলেন, দশ বছর পর সব অটোমেশন হবে। ঘরে খাবার শেষ হলে ফ্রিজ থেকে এসএমএস চলে যাবে দোকানদারের কাছে। দোকানদার সেগুলো বাসায় পৌঁছে দেবে ড্রোন ব্যবহার করে। আজ যারা প্রোগ্রামিং শিখছে, তারা এগুলো তোমরা তৈরি করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন ও কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামলুক ছাবির আহমেদ।

এই প্রতিযোগিতায় শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ক্যাটাগরিতে এবং ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সিনিয়র ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা স্প্রাইট, ব্লক, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং অন্যান্য স্ক্র্যাচ উপাদান ব্যবহার করে প্রকল্প তৈরি করে। অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

রবিবার, ২৯ মে ২০২২ , ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪৩

শিশুদের অংশগ্রহণে পালিত হলো বিশ্বস্ক্র্যাচ সপ্তাহ

image

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল শিশুদের জন্য স্ক্র্যাচ ব্যবহার করে প্রকল্প তৈরির প্রতিযোগিতা। শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ জন শিশু শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

স্ক্র্যাচ হল একটি উচ্চ-স্তরের ব্লক-ভিত্তিক ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। যা মূলত শিশুদের জন্য প্রোগ্রামিংয়ের জন্য একটি শিক্ষামূলক টুল। ৮ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা স্ক্র্যাচ টুলটি সবচেয়ে ভালো ব্যবহার করতে পারে। এমআইটি-র তৈরি সাইটে (scratch.mit.edu) ব্যবহারকারীরা স্ক্র্যাচ ব্যবহার করে প্রকল্প তৈরি করতে পারে। এই সাইটে ব্লক ইন্টারফেস ব্যবহার করে স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং করা হয়।

এ বছর স্ক্র্যাচ সপ্তাহ ১৬-২০ মে পর্যন্ত পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন), স্ক্র্যাচ বাংলাদেশ, কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেড এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট এই সপ্তাহ উদযাপন করে। এর অংশ হিসেবে শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্ক্র্যাচ প্রকল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীর হাতে প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান শিক্ষার্থীদের বলেন, দশ বছর পর সব অটোমেশন হবে। ঘরে খাবার শেষ হলে ফ্রিজ থেকে এসএমএস চলে যাবে দোকানদারের কাছে। দোকানদার সেগুলো বাসায় পৌঁছে দেবে ড্রোন ব্যবহার করে। আজ যারা প্রোগ্রামিং শিখছে, তারা এগুলো তোমরা তৈরি করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন ও কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামলুক ছাবির আহমেদ।

এই প্রতিযোগিতায় শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ক্যাটাগরিতে এবং ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সিনিয়র ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা স্প্রাইট, ব্লক, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং অন্যান্য স্ক্র্যাচ উপাদান ব্যবহার করে প্রকল্প তৈরি করে। অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।