বাংলাদেশের অবস্থান অনেক নিচে
বিশ্বের ৪০ শতাংশ দুগ্ধ উৎপাদন হয় এশিয়া মহাদেশ থেকে। এর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনকারী দেশ ভারত। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, চীন, পাকিস্তান, ব্রাজিল ও রাশিয়া। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক নিচে। তবে প্রাণিসম্পদের সঠিব ব্যবহার ও খামারিদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদনে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে আনা সম্ভব্য বলে মনে করেন প্রাণী গবেষকরা।
গতকাল রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন ও সম্ভাবনা : গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় একটি খাত প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এর উপকারভোগী আমরা সবাই। এ খাতে উৎপাদন না হলে দেশে খাদ্য ও পুষ্টির সংকট তৈরি হবে। এ খাত পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বেকারদের স্বাবলম্বী করে, উদ্যোক্তা তৈরি করে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করে। খাবারের একটি বড় যোগান আসে মাংস, দুধ ও ডিম থেকে। তাই এ খাতকে সামনে এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন। সৃজনশীলতা নিয়ে এগিয়ে গেলে এ খাতে ভালো কিছু করা সম্ভব। এ খাতকে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গণমাধ্যমের বড় সহায়ক শক্তি।’
প্রাণিসম্পদ খাতকে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গণমাধ্যম বড় সহায়ক শক্তি বলে মন্তব্য করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের একটি লেখা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি ও সাহস যোগায়। একটি ভালো সংবাদ থেকে মানুষ উদ্দীপ্ত হয়, উৎসাহিত হয়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভাবনীয় শক্তি সঞ্চার করে।’
তিনি করেন, ‘দেশের বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এখন মানুষ চাইলে তিন বেলাও মাংস খেতে পারে। প্রাণিসম্পদ খাতের এ বিকাশ সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে।’
রবিবার, ২৯ মে ২০২২ , ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪৩
বাংলাদেশের অবস্থান অনেক নিচে
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বিশ্বের ৪০ শতাংশ দুগ্ধ উৎপাদন হয় এশিয়া মহাদেশ থেকে। এর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনকারী দেশ ভারত। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, চীন, পাকিস্তান, ব্রাজিল ও রাশিয়া। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক নিচে। তবে প্রাণিসম্পদের সঠিব ব্যবহার ও খামারিদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদনে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে আনা সম্ভব্য বলে মনে করেন প্রাণী গবেষকরা।
গতকাল রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন ও সম্ভাবনা : গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় একটি খাত প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এর উপকারভোগী আমরা সবাই। এ খাতে উৎপাদন না হলে দেশে খাদ্য ও পুষ্টির সংকট তৈরি হবে। এ খাত পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বেকারদের স্বাবলম্বী করে, উদ্যোক্তা তৈরি করে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করে। খাবারের একটি বড় যোগান আসে মাংস, দুধ ও ডিম থেকে। তাই এ খাতকে সামনে এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন। সৃজনশীলতা নিয়ে এগিয়ে গেলে এ খাতে ভালো কিছু করা সম্ভব। এ খাতকে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গণমাধ্যমের বড় সহায়ক শক্তি।’
প্রাণিসম্পদ খাতকে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গণমাধ্যম বড় সহায়ক শক্তি বলে মন্তব্য করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের একটি লেখা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি ও সাহস যোগায়। একটি ভালো সংবাদ থেকে মানুষ উদ্দীপ্ত হয়, উৎসাহিত হয়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভাবনীয় শক্তি সঞ্চার করে।’
তিনি করেন, ‘দেশের বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এখন মানুষ চাইলে তিন বেলাও মাংস খেতে পারে। প্রাণিসম্পদ খাতের এ বিকাশ সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে।’