সরকার ছাত্রদের ধ্বংস করছে ফখরুল

আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারা দেশকে মাফিয়ার রাজত্বে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, ছাত্রদের ধ্বংস করছে। আর এসব কারণেই তাদের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না।’

গতকাল দুপুরে ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। জেলা সদর উপজেলার ডাকবাংলো আবদুর রউফ ডিগ্রি কলেজে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

‘আমরা যখন চুরি-চামারির কথা বলি, তাদের (আওয়ামী লীগ) গায়ে লাগে। গায়ে লাগার কিছু নাই, চুরি করলে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। সময় আসছে, যখন তাদের মাথা নিচু করে এ দেশ থেকে চলে যেতে হবে বলেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর।’

মির্জা ফখরুল বলেন, অতীতে যেভাবে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন করা হয়েছিল, আগামীতেও ঠিক তাই করা হবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। সত্যিকার অর্থে দেশকে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করবো।

বিএনপির মহাসচিবের ভাষ্য, ‘আওয়ামী লীগ কোন নির্বাচিত সরকার নয়। তারা কোন নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেনি। শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিভিন্ন আধিপত্যবাদী, পরাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।’

তিনি জানান, তাদের (বিএনপি) সমস্ত স্বপ্ন, আশা-আকাক্সক্ষা তা ধ্বংস করে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা (আওয়ামী লীগ) বিএনপির ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ সরকারের অধীনে আর কোন জাতীয় নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর সেই সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে তাদের অধীনে সবদলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা কোথাও চাকরি পাই না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা পাস করে যায় কিন্তু তাদের চাকরি দেয়া হয় না। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, বিনা পয়সায় সার দেবে। যেখানে যাবে শুধু পয়সা। পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেতে হলে ২০ লাখ টাকা কমপক্ষে লাগে, তাও পাবেন না যদি আওয়ামী লীগ না হন। এ দেশকে তারা লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এম এ মজিদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।

আরও খবর
দেশে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গ করেন ১৬১ বাংলাদেশি
সব নির্বাচনকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে ইসি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শেষ বিদায় একুশের গানের কবিকে
পদ্মা সেতু, দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পর বিশ্বব্যাংক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ দেয় : দাবি মসিউরের
বিশ্বের ৪০ শতাংশ দুগ্ধ উৎপাদন হয় এশিয়ায়
বর্ষার আগে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে, ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন ঠেকাতে ৩৬০ কোটি টাকার প্রকল্প, কাজ শেষ পর্যায়ে
খোমেনি স্টাইলে বিপ্লব করার স্বপ্ন দেখছে বিএনপি : কাদের
ক্ষমতার পরিবর্তন ২০২৩ সালের আগেই : নূর
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের সুমন মিয়া হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট শীঘ্রই

রবিবার, ২৯ মে ২০২২ , ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪৩

সরকার ছাত্রদের ধ্বংস করছে ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারা দেশকে মাফিয়ার রাজত্বে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, ছাত্রদের ধ্বংস করছে। আর এসব কারণেই তাদের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না।’

গতকাল দুপুরে ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। জেলা সদর উপজেলার ডাকবাংলো আবদুর রউফ ডিগ্রি কলেজে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

‘আমরা যখন চুরি-চামারির কথা বলি, তাদের (আওয়ামী লীগ) গায়ে লাগে। গায়ে লাগার কিছু নাই, চুরি করলে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। সময় আসছে, যখন তাদের মাথা নিচু করে এ দেশ থেকে চলে যেতে হবে বলেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর।’

মির্জা ফখরুল বলেন, অতীতে যেভাবে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন করা হয়েছিল, আগামীতেও ঠিক তাই করা হবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। সত্যিকার অর্থে দেশকে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করবো।

বিএনপির মহাসচিবের ভাষ্য, ‘আওয়ামী লীগ কোন নির্বাচিত সরকার নয়। তারা কোন নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেনি। শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিভিন্ন আধিপত্যবাদী, পরাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।’

তিনি জানান, তাদের (বিএনপি) সমস্ত স্বপ্ন, আশা-আকাক্সক্ষা তা ধ্বংস করে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা (আওয়ামী লীগ) বিএনপির ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ সরকারের অধীনে আর কোন জাতীয় নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর সেই সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে তাদের অধীনে সবদলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা কোথাও চাকরি পাই না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা পাস করে যায় কিন্তু তাদের চাকরি দেয়া হয় না। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, বিনা পয়সায় সার দেবে। যেখানে যাবে শুধু পয়সা। পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেতে হলে ২০ লাখ টাকা কমপক্ষে লাগে, তাও পাবেন না যদি আওয়ামী লীগ না হন। এ দেশকে তারা লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এম এ মজিদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।