চট্টগ্রামের সীতাকু-ে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকা-ে রাসায়নিক বিস্ফোরণ হয়েছে। মুহূর্তে আগুনের উত্তাপে লাল হয়ে ওঠে ডিপো এলাকার আকাশ। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডবাহী কনটেইনার বিস্ফোরণে আশেপাশে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকায় কম্পন হয়। বাড়ি ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে সবদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন কর্মীসহ প্রায় অর্ধশত শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বহুলোক। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন, তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছে। বিপুল পরিমাণ রপ্তানি পণ্য পুড়ে ছাই। কনটেইন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীতাকু-ের অগ্নিকা-ের লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছু শ্রমিক অতি উৎসাহিত হয়ে আগুনের ভয়াবহতা আঁচ করতে না পেরে কাছাকাছি গিয়ে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও, ছবি তুলছেন। বেশ কিছুক্ষণ লাইভ চলাকালীন সময়ে বিস্ফোরণের শব্দে মোবাইলের স্ক্রিন কালো হয়ে যায়। কোন কিছু বুঝার আগে ফায়ার সার্ভিস কর্মী, পুলিশ, শ্রমিক উৎসুক জনতা অগ্নিকা-ের শিকার হন। সোস্যাল মিডিয়ার যুগে আমরা এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছি, যেখানে সেখানে ছবি, ভিডিও ধারণ করছি। মানুষের প্রাণ যাচ্ছে যাক, তাতে কিছু যায় আসে না। ফেসবুকে লাইভ কিংবা মোবাইলে ছবি, ভিডিও করা যেন তাদের দায়িত্ব।
সাধারণত বাড়িঘর, দোকানে আগুন লাগলে মানুষ প্রাণ বাঁচতে ছোটাছুটি করে। এই দুর্ঘটনাই ঠিক ভিন্নরূপ দেখা গেছে, উৎসুক জনতা আগুনে সামনে গিয়ে ভিড় করছে। এই অসতর্ক ভুলে হতাহতের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি অনেক সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কাজে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়। যে কোন দুর্ঘটনায় ফেসবুকে লাইভ ভিডিও, ছবি তোলার চেয়ে নিজে সর্তকতা অবলম্বন করে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা উচিত।
তাই পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে লাইভ বা ভিডিও করাই কাম্য। সীতাকু-ের মতো এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যেন আর না ঘটে। সেজন্য আমাদের সবার সচেতন হতে হবে। জীবনের বিনিময়ে লাইভে যেন ভাইরাল হতে না হয়।
মো. সাইমুন
সৌদি আরব প্রবাসী
শনিবার, ১১ জুন ২০২২ , ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১০ জিলকদ ১৪৪৩
চট্টগ্রামের সীতাকু-ে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকা-ে রাসায়নিক বিস্ফোরণ হয়েছে। মুহূর্তে আগুনের উত্তাপে লাল হয়ে ওঠে ডিপো এলাকার আকাশ। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডবাহী কনটেইনার বিস্ফোরণে আশেপাশে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকায় কম্পন হয়। বাড়ি ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে সবদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন কর্মীসহ প্রায় অর্ধশত শ্রমিক নিহত হয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বহুলোক। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন, তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছে। বিপুল পরিমাণ রপ্তানি পণ্য পুড়ে ছাই। কনটেইন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীতাকু-ের অগ্নিকা-ের লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছু শ্রমিক অতি উৎসাহিত হয়ে আগুনের ভয়াবহতা আঁচ করতে না পেরে কাছাকাছি গিয়ে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও, ছবি তুলছেন। বেশ কিছুক্ষণ লাইভ চলাকালীন সময়ে বিস্ফোরণের শব্দে মোবাইলের স্ক্রিন কালো হয়ে যায়। কোন কিছু বুঝার আগে ফায়ার সার্ভিস কর্মী, পুলিশ, শ্রমিক উৎসুক জনতা অগ্নিকা-ের শিকার হন। সোস্যাল মিডিয়ার যুগে আমরা এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছি, যেখানে সেখানে ছবি, ভিডিও ধারণ করছি। মানুষের প্রাণ যাচ্ছে যাক, তাতে কিছু যায় আসে না। ফেসবুকে লাইভ কিংবা মোবাইলে ছবি, ভিডিও করা যেন তাদের দায়িত্ব।
সাধারণত বাড়িঘর, দোকানে আগুন লাগলে মানুষ প্রাণ বাঁচতে ছোটাছুটি করে। এই দুর্ঘটনাই ঠিক ভিন্নরূপ দেখা গেছে, উৎসুক জনতা আগুনে সামনে গিয়ে ভিড় করছে। এই অসতর্ক ভুলে হতাহতের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি অনেক সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কাজে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়। যে কোন দুর্ঘটনায় ফেসবুকে লাইভ ভিডিও, ছবি তোলার চেয়ে নিজে সর্তকতা অবলম্বন করে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা উচিত।
তাই পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে লাইভ বা ভিডিও করাই কাম্য। সীতাকু-ের মতো এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যেন আর না ঘটে। সেজন্য আমাদের সবার সচেতন হতে হবে। জীবনের বিনিময়ে লাইভে যেন ভাইরাল হতে না হয়।
মো. সাইমুন
সৌদি আরব প্রবাসী