উন্মুক্ত গোসলখানায় ঝুঁকিতে নিম্ন আয়ের এলাকার নারীরা

উন্মুক্ত স্থানে গোসলের ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ নিম্নআয়ের এলাকার কিশোরী ও যুব নারীরা। দিনে বা রাতে পানি নিয়ে আসতে অনেক দূরে যাওয়া, টয়লেট কিংবা গোসলখানায় পর্যাপ্ত সুবিধা যেমন দরজার লক করা বা ছাদ না থাকার কারণেও যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ঝুঁকিতে থাকেন সারাক্ষণ। সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। প্রতিবেদনে উন্মুক্ত গোসলখানায় গোসল করতে গিয়ে ৭৯.২ শতাংশ তরুণী মৌখিক সহিংসতা এবং ১৩.৪ শতাংশ যৌন নিপীড়নের শিকার হন বলেও উল্লেখ করা হয়।

গতকাল ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ’। জরিপের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থাটির ওয়াশ স্পেশালিস্ট এস এম তারিকুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রচার ব্যবস্থাপক সেমন্তী মঞ্জরী। ধন্যবাদ জানান সংস্থার কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলের প্রধান আশিক বিল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ধলপুর এলাকার একটি বস্তিতে থাকা এক কিশোরী তার অসুবিধার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘যখন আমাদের গোসলখানা ছিল না, খোলা জায়গায় গোসলের সময় লোকজন তাকিয়ে থাকত। খুব অস্বস্তি হতো। সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হতো মাসিকের সময়।’ তবে, সেখানে টয়লেট হওয়ার কারণে এখন সে স্বস্তিতে গোসল করতে পারবে। কারণ, একটি প্রকল্পের আওতায় তার বস্তিতে মেয়েদের জন্য ছাদযুক্ত পাকা গোসলের জায়গা করে দেয়া হয়েছে।

এস এম তারিকুজ্জামান বলেন, ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ একটি মডেল প্রজেক্ট শুরু করে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। এই প্রজেক্টের আওতায় ঢাকা শহরের চারটি কলোনিতে ১৫টি গোসলখানা স্থাপনের কাজ করে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি)। কলোনিগুলো হলোÑ ধলপুর, মালেক মেম্বর কলোনি, আই জি গেট কলোনি এবং ম্যাচ কলোনি।’ এতে সহযোগী সংস্থা ছিল পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি)। নিরাপদ গোসলখানার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও সমীক্ষা পরিচালনায় সহায়তা করে যুব সংগঠন বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটি (বিওয়াইএস)।

‘নিরাপদ গোসলখানা সবার জন্য সবখানে’ স্লোগান নিয়ে রাজধানীর ধলপুর, মালেক মেম্বার, আইজি গেট এবং ম্যাচ কলোনি বস্তিতে এ বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে অংশ নেয় ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৪১৭ জন কিশোরী ও তরুণী।

জরিপের অন্তর্ভুক্ত চারটি স্থানের তথ্যে জানা গেছে, ৭২ শতাংশ কিশোরী-তরুণী উন্মুক্ত গোসলখানায় তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকে। গোসলের সময় ওইসব এলাকার কেউ বা আশপাশের উঁচু ভবন থেকে, কেউ উন্মুক্ত গোসলখানায় গোসলের দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে কি-না, তা নিয়ে ভয়ে থাকে অনেক মেয়ে। এছাড়া উন্মুক্ত গোসলখানায় পুরুষ ও বয়স্ক নারীদের বকাঝকা, যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনাও ঘটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপকৃত ৯৯ শতাংশ গোসলখানাই উন্মুক্ত। ওই সব গোসলখানার মাত্র ১৫ শতাংশ মেয়েদের জন্য আলাদা। বাকিগুলো নারী-পুরুষকে একসঙ্গেই ব্যবহার করতে হয়। গোসলখানাগুলোতে ছাদ ও দেয়াল না থাকায় মেয়েদের কোন গোপনীয়তা থাকে না। অনেক কিশোরী বয়স্ক নারীদের অশোভন মন্তব্যের শিকার হয়। গোসলের সময় পুরুষেরা থাকায় অস্বস্তিতে ভোগে তারা। ৬৮.৬ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছেন, তারা টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে কোন না কোন সময় সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

জরিপ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একটি গোসলখানা ৩৫ থেকে ৪৫ জন ব্যবহার করে থাকে। ফলে দীর্ঘ সারি থাকে গোসলের জন্য। ৭৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মেয়ে জানিয়েছে, তারা সহজে জায়গা পায় না। কিছুটা বেশি সময় লাগলে অন্যদের গালমন্দ শুনতে হয়। মাসিকের সময় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। রাতের বেলায় গোসলের জন্য তারা অপেক্ষা করে। সেটা তাদের জন্য আরও নিরাপত্তাহীন। ৮ জন মেয়ে জানিয়েছে, ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে তারা ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হয়েছে।

জরিপে গোসলখানার ব্যবহারকারী নারীরা জানিয়েছেন, তারা বেশ দূর থেকে পানি আনতে যান এবং ৫৮.৭ শতাংশ নারী জানিয়েছেন বেশ দূর থেকে তাদের পানি আনতে হয়, এ কাজে তাদের অনেক বেশি সময় লাগে ও সন্ধ্যা হয়ে যায়। এতে ৩৮.২ শতাংশ কিশোরী ও যুব নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। ৭৯.২ শতাংশ নারী মৌখিক সহিংসতা ও ১৩.৪ শতাংশ যৌন নিপীড়নের শিকার হন।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মানিক কুমার সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশে পাঁচ হাজারের মতো বস্তি এলাকা রয়েছে। সেসব এলাকায় মেয়েদের একটি নিরাপদ গোসলখানার প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবা হয় না। নীতিনির্ধারকদের কাছে সমস্যাটি তুলে ধরে স্থায়ী সমাধানের জন্য আলোচনাটি অব্যাহত থাকা জরুরি।’

পিএসটিসির প্রকল্প সমন্বয়কারী শিরোপা কুলসুম বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে, মাসিকের সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে একটি মেয়েকে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত চারবার প্যাড বা কাপড় পরিবর্তন করতে হবে। ওই সব এলাকায় উন্মুক্ত গোসলখানার কারণে মেয়েরা সারাদিন একটি প্যাড বা কাপড় পরে থাকতে বাধ্য হয়। পরিষ্কার করার জন্য তারা রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে। এতে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।’ বিওয়াইএসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ফায়েজ বেলাল বলেন, ‘নিম্নআয়ের এলাকার মেয়েদের ভোগান্তির বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে হবে এবং নিরাপদ গোসলখানার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আওয়াজ তুলতে হবে।

আরও খবর
জেল থেকে নেতাকর্মীদের চিঠির মাধ্যমে নির্দেশনা দিতাম : প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস পালিত
পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলে প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের
পত্রিকার ডিজিটাল কনটেন্ট নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই সম্পাদক পরিষদ
বুয়েটের গবেষণা ঢাকা শহরের তুলনায় বস্তিগুলো মাত্র ১ শতাংশ জায়গায়
২০২২-২৩ অর্থবছর খুবই চ্যালেঞ্জিং : আতিউর রহমান
১৯ জনসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের নামে মামলা
‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতাই গণতন্ত্রের সঠিক ভিত্তি’
দুই গ্রুপের গোলাগুলি হতাহতের হিসাব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না
পরিকল্পিত হত্যা, নিজেরাই লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়
‘নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে আসতে মানা’

রবিবার, ১২ জুন ২০২২ , ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১১ জিলকদ ১৪৪৩

উন্মুক্ত গোসলখানায় ঝুঁকিতে নিম্ন আয়ের এলাকার নারীরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

উন্মুক্ত স্থানে গোসলের ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ নিম্নআয়ের এলাকার কিশোরী ও যুব নারীরা। দিনে বা রাতে পানি নিয়ে আসতে অনেক দূরে যাওয়া, টয়লেট কিংবা গোসলখানায় পর্যাপ্ত সুবিধা যেমন দরজার লক করা বা ছাদ না থাকার কারণেও যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ঝুঁকিতে থাকেন সারাক্ষণ। সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। প্রতিবেদনে উন্মুক্ত গোসলখানায় গোসল করতে গিয়ে ৭৯.২ শতাংশ তরুণী মৌখিক সহিংসতা এবং ১৩.৪ শতাংশ যৌন নিপীড়নের শিকার হন বলেও উল্লেখ করা হয়।

গতকাল ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ’। জরিপের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থাটির ওয়াশ স্পেশালিস্ট এস এম তারিকুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রচার ব্যবস্থাপক সেমন্তী মঞ্জরী। ধন্যবাদ জানান সংস্থার কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলের প্রধান আশিক বিল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ধলপুর এলাকার একটি বস্তিতে থাকা এক কিশোরী তার অসুবিধার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘যখন আমাদের গোসলখানা ছিল না, খোলা জায়গায় গোসলের সময় লোকজন তাকিয়ে থাকত। খুব অস্বস্তি হতো। সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হতো মাসিকের সময়।’ তবে, সেখানে টয়লেট হওয়ার কারণে এখন সে স্বস্তিতে গোসল করতে পারবে। কারণ, একটি প্রকল্পের আওতায় তার বস্তিতে মেয়েদের জন্য ছাদযুক্ত পাকা গোসলের জায়গা করে দেয়া হয়েছে।

এস এম তারিকুজ্জামান বলেন, ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ একটি মডেল প্রজেক্ট শুরু করে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। এই প্রজেক্টের আওতায় ঢাকা শহরের চারটি কলোনিতে ১৫টি গোসলখানা স্থাপনের কাজ করে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি)। কলোনিগুলো হলোÑ ধলপুর, মালেক মেম্বর কলোনি, আই জি গেট কলোনি এবং ম্যাচ কলোনি।’ এতে সহযোগী সংস্থা ছিল পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি)। নিরাপদ গোসলখানার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও সমীক্ষা পরিচালনায় সহায়তা করে যুব সংগঠন বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটি (বিওয়াইএস)।

‘নিরাপদ গোসলখানা সবার জন্য সবখানে’ স্লোগান নিয়ে রাজধানীর ধলপুর, মালেক মেম্বার, আইজি গেট এবং ম্যাচ কলোনি বস্তিতে এ বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে অংশ নেয় ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৪১৭ জন কিশোরী ও তরুণী।

জরিপের অন্তর্ভুক্ত চারটি স্থানের তথ্যে জানা গেছে, ৭২ শতাংশ কিশোরী-তরুণী উন্মুক্ত গোসলখানায় তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকে। গোসলের সময় ওইসব এলাকার কেউ বা আশপাশের উঁচু ভবন থেকে, কেউ উন্মুক্ত গোসলখানায় গোসলের দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে কি-না, তা নিয়ে ভয়ে থাকে অনেক মেয়ে। এছাড়া উন্মুক্ত গোসলখানায় পুরুষ ও বয়স্ক নারীদের বকাঝকা, যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনাও ঘটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপকৃত ৯৯ শতাংশ গোসলখানাই উন্মুক্ত। ওই সব গোসলখানার মাত্র ১৫ শতাংশ মেয়েদের জন্য আলাদা। বাকিগুলো নারী-পুরুষকে একসঙ্গেই ব্যবহার করতে হয়। গোসলখানাগুলোতে ছাদ ও দেয়াল না থাকায় মেয়েদের কোন গোপনীয়তা থাকে না। অনেক কিশোরী বয়স্ক নারীদের অশোভন মন্তব্যের শিকার হয়। গোসলের সময় পুরুষেরা থাকায় অস্বস্তিতে ভোগে তারা। ৬৮.৬ শতাংশ কিশোরী ও তরুণী জানিয়েছেন, তারা টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে কোন না কোন সময় সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

জরিপ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একটি গোসলখানা ৩৫ থেকে ৪৫ জন ব্যবহার করে থাকে। ফলে দীর্ঘ সারি থাকে গোসলের জন্য। ৭৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মেয়ে জানিয়েছে, তারা সহজে জায়গা পায় না। কিছুটা বেশি সময় লাগলে অন্যদের গালমন্দ শুনতে হয়। মাসিকের সময় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। রাতের বেলায় গোসলের জন্য তারা অপেক্ষা করে। সেটা তাদের জন্য আরও নিরাপত্তাহীন। ৮ জন মেয়ে জানিয়েছে, ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে তারা ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হয়েছে।

জরিপে গোসলখানার ব্যবহারকারী নারীরা জানিয়েছেন, তারা বেশ দূর থেকে পানি আনতে যান এবং ৫৮.৭ শতাংশ নারী জানিয়েছেন বেশ দূর থেকে তাদের পানি আনতে হয়, এ কাজে তাদের অনেক বেশি সময় লাগে ও সন্ধ্যা হয়ে যায়। এতে ৩৮.২ শতাংশ কিশোরী ও যুব নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। ৭৯.২ শতাংশ নারী মৌখিক সহিংসতা ও ১৩.৪ শতাংশ যৌন নিপীড়নের শিকার হন।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মানিক কুমার সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশে পাঁচ হাজারের মতো বস্তি এলাকা রয়েছে। সেসব এলাকায় মেয়েদের একটি নিরাপদ গোসলখানার প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবা হয় না। নীতিনির্ধারকদের কাছে সমস্যাটি তুলে ধরে স্থায়ী সমাধানের জন্য আলোচনাটি অব্যাহত থাকা জরুরি।’

পিএসটিসির প্রকল্প সমন্বয়কারী শিরোপা কুলসুম বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে, মাসিকের সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে একটি মেয়েকে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত চারবার প্যাড বা কাপড় পরিবর্তন করতে হবে। ওই সব এলাকায় উন্মুক্ত গোসলখানার কারণে মেয়েরা সারাদিন একটি প্যাড বা কাপড় পরে থাকতে বাধ্য হয়। পরিষ্কার করার জন্য তারা রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে। এতে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।’ বিওয়াইএসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ফায়েজ বেলাল বলেন, ‘নিম্নআয়ের এলাকার মেয়েদের ভোগান্তির বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে হবে এবং নিরাপদ গোসলখানার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আওয়াজ তুলতে হবে।