দুই গ্রুপের গোলাগুলি হতাহতের হিসাব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না

খাগড়াছড়ি প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চুক্তিবিরোধী আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ ও পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী সাবেক গেরিলা নেতা এবং আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-পিসিজেএসএস এর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

গতকাল ভোরে পার্বত্য এ জেলার পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের দুর্গম হরণসিং পাড়া এলাকা পার্শ্ববর্তী দীঘিনালা উপজেলার নাড়েইছড়ির দুর্গম সিরেন্দি পাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয় বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি সূত্রটি। অন্য একটি অসমর্থিত সূত্র বলছে, গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৩-৫ জন সশস্ত্র কর্মী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে এবং তাৎক্ষণিক মৃতদেহগুলো সরিয়ে নিয়েছে অজ্ঞাত কর্মীরা। তবে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেনি।

জানা যায়, ২০১৫-১৬ সালের ইউপিডিএফ (প্রসিত) ও পিসিজেএসএস (সন্তু) গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির শর্ত ছিল একে অপরের সাংগঠনিক এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ধরে পিসিজেএসএস (সন্তু) দলের সশস্ত্র গ্রুপ ইউপিডিএফ (প্রসিত) দলের সাংগঠনিক এলাকায় অবস্থান করে আসছে। এ নিয়ে দু’দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি ছিল। পিসিজেএসএস সদস্যদের পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার দাবি জানিয়ে সাধারণ জনগণকে দিয়ে বহুবার মিছিল-সমাবেশ করিয়েছিল ইউপিডিএফ (প্রসিত)। ফলশ্রুতিতে রেষারেষি চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ইউপিডিএফ (প্রসিত) সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলামের কাছে চুক্তি আকারে তাদের ৬৬ পৃষ্ঠার ৮৭টি দাবিনামা পেশ করে। দাবিনামায় বেশিরভাগ চুক্তির সংশোধন বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। উপরন্তু চুক্তি স্বাক্ষরকারী সন্তু লারমাদের সঙ্গে আলোচনা ব্যতীত উক্ত দাবিনামা পেশ করার ফলে পিসিজেএসএস (সন্তু) ইউপিডিএফ (প্রসিত) গ্রুপের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে দু’দলের মধ্যকার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু কোন সুরাহা ছাড়াই বৈঠক সমাপ্ত হয়। ফলশ্রুতিতে গতকাল ভোর রাতে এ বন্দুকযুদ্ধ সংগঠিত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। পানছড়ি থানার ওসি আনচারুল করিম মুঠোফোনে জানিয়েছেন, এমন একটি ঘটনার কথা তারা শুনেছেন তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি। এছাড়া দীঘিনালা থানার ওসির মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরও খবর
জেল থেকে নেতাকর্মীদের চিঠির মাধ্যমে নির্দেশনা দিতাম : প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস পালিত
পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলে প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের
পত্রিকার ডিজিটাল কনটেন্ট নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই সম্পাদক পরিষদ
বুয়েটের গবেষণা ঢাকা শহরের তুলনায় বস্তিগুলো মাত্র ১ শতাংশ জায়গায়
২০২২-২৩ অর্থবছর খুবই চ্যালেঞ্জিং : আতিউর রহমান
১৯ জনসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের নামে মামলা
উন্মুক্ত গোসলখানায় ঝুঁকিতে নিম্ন আয়ের এলাকার নারীরা
‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতাই গণতন্ত্রের সঠিক ভিত্তি’
পরিকল্পিত হত্যা, নিজেরাই লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়
‘নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে আসতে মানা’

রবিবার, ১২ জুন ২০২২ , ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১১ জিলকদ ১৪৪৩

খাগড়াছড়িতে

দুই গ্রুপের গোলাগুলি হতাহতের হিসাব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না

প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ি প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চুক্তিবিরোধী আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ ও পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী সাবেক গেরিলা নেতা এবং আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-পিসিজেএসএস এর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

গতকাল ভোরে পার্বত্য এ জেলার পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের দুর্গম হরণসিং পাড়া এলাকা পার্শ্ববর্তী দীঘিনালা উপজেলার নাড়েইছড়ির দুর্গম সিরেন্দি পাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয় বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি সূত্রটি। অন্য একটি অসমর্থিত সূত্র বলছে, গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৩-৫ জন সশস্ত্র কর্মী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে এবং তাৎক্ষণিক মৃতদেহগুলো সরিয়ে নিয়েছে অজ্ঞাত কর্মীরা। তবে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেনি।

জানা যায়, ২০১৫-১৬ সালের ইউপিডিএফ (প্রসিত) ও পিসিজেএসএস (সন্তু) গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির শর্ত ছিল একে অপরের সাংগঠনিক এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ধরে পিসিজেএসএস (সন্তু) দলের সশস্ত্র গ্রুপ ইউপিডিএফ (প্রসিত) দলের সাংগঠনিক এলাকায় অবস্থান করে আসছে। এ নিয়ে দু’দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি ছিল। পিসিজেএসএস সদস্যদের পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার দাবি জানিয়ে সাধারণ জনগণকে দিয়ে বহুবার মিছিল-সমাবেশ করিয়েছিল ইউপিডিএফ (প্রসিত)। ফলশ্রুতিতে রেষারেষি চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ইউপিডিএফ (প্রসিত) সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলামের কাছে চুক্তি আকারে তাদের ৬৬ পৃষ্ঠার ৮৭টি দাবিনামা পেশ করে। দাবিনামায় বেশিরভাগ চুক্তির সংশোধন বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। উপরন্তু চুক্তি স্বাক্ষরকারী সন্তু লারমাদের সঙ্গে আলোচনা ব্যতীত উক্ত দাবিনামা পেশ করার ফলে পিসিজেএসএস (সন্তু) ইউপিডিএফ (প্রসিত) গ্রুপের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে দু’দলের মধ্যকার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু কোন সুরাহা ছাড়াই বৈঠক সমাপ্ত হয়। ফলশ্রুতিতে গতকাল ভোর রাতে এ বন্দুকযুদ্ধ সংগঠিত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। পানছড়ি থানার ওসি আনচারুল করিম মুঠোফোনে জানিয়েছেন, এমন একটি ঘটনার কথা তারা শুনেছেন তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি। এছাড়া দীঘিনালা থানার ওসির মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।