ফের বেড়েছে ডলারের দাম

কয়েক মাস ধরে চড়া ডলারের দাম। গত সপ্তাহ সর্বোচ্চ ৯২ টাকায় ডলার বিক্রি করছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর একটু কমলেও আবারও বেড়েছে ডলারের দাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেছেন, করোনার পরে আমদানি ব্যয় অধিক হারে বেড়ে গেছে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাজারের চাহিদা সামলাতে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে সর্বশেষ গত ৭ জুন ডলারের দাম ৫ পয়সা বাড়িয়ে ৯২ টাকা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে ডলারের বিপরীতে দুদিনে টাকার মান কমলো তিনবার। এ নিয়ে এক মাসে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৫ টাকা ৫ পয়সা কমেছে। চলতি বছর শুধু ডলারের বিপরীতে অন্তত ১০ বার মান হারিয়েছে টাকা।

গত ২ জুন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করেছিল, যা তার আগে ছিল ৮৯ টাকা। পরে ডলারের বেঁধে দেয়া দাম থেকে সরে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দাম নির্ধারণে ব্যাংকগুলোর হাতেই ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাজার বিশ্লেষণ বলছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ৩ আগস্ট থেকে দু-এক পয়সা করে বাড়তে বাড়তে গত বছরের ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ৮৫ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এ বছরের ৯ জানুয়ারি এটি বেড়ে ৮৬ টাকায় পৌঁছে। এরপর ২২ মার্চ পর্যন্ত এ দরেই স্থির ছিল।

পরে গত ২৩ মার্চ আন্তঃব্যাংকে আরও ২০ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। ২৭ এপ্রিল আরও ২৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ১০ মে বাড়ে আরও ২৫ পয়সা। ১৬ মে বাড়ে ৮০ পয়সা। ২৩ মে বাড়ে ৪০ পয়সা।

২৯ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে ৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপরও বাজার স্থিতিশীল হয়নি। পরে সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশের (এবিবি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলার ৮৯ টাকা বেঁধে দেয়।

সোমবার, ১৩ জুন ২০২২ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১২ জিলকদ ১৪৪৩

ফের বেড়েছে ডলারের দাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

কয়েক মাস ধরে চড়া ডলারের দাম। গত সপ্তাহ সর্বোচ্চ ৯২ টাকায় ডলার বিক্রি করছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর একটু কমলেও আবারও বেড়েছে ডলারের দাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেছেন, করোনার পরে আমদানি ব্যয় অধিক হারে বেড়ে গেছে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাজারের চাহিদা সামলাতে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে সর্বশেষ গত ৭ জুন ডলারের দাম ৫ পয়সা বাড়িয়ে ৯২ টাকা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে ডলারের বিপরীতে দুদিনে টাকার মান কমলো তিনবার। এ নিয়ে এক মাসে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৫ টাকা ৫ পয়সা কমেছে। চলতি বছর শুধু ডলারের বিপরীতে অন্তত ১০ বার মান হারিয়েছে টাকা।

গত ২ জুন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করেছিল, যা তার আগে ছিল ৮৯ টাকা। পরে ডলারের বেঁধে দেয়া দাম থেকে সরে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দাম নির্ধারণে ব্যাংকগুলোর হাতেই ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাজার বিশ্লেষণ বলছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ৩ আগস্ট থেকে দু-এক পয়সা করে বাড়তে বাড়তে গত বছরের ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ৮৫ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এ বছরের ৯ জানুয়ারি এটি বেড়ে ৮৬ টাকায় পৌঁছে। এরপর ২২ মার্চ পর্যন্ত এ দরেই স্থির ছিল।

পরে গত ২৩ মার্চ আন্তঃব্যাংকে আরও ২০ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। ২৭ এপ্রিল আরও ২৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ১০ মে বাড়ে আরও ২৫ পয়সা। ১৬ মে বাড়ে ৮০ পয়সা। ২৩ মে বাড়ে ৪০ পয়সা।

২৯ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে ৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপরও বাজার স্থিতিশীল হয়নি। পরে সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশের (এবিবি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলার ৮৯ টাকা বেঁধে দেয়।