ছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারীর বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিটের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে উত্যক্তকারী সাব্বির বিশ^াসের বিচার দাবিতে গত শনিবার বিক্ষোভ মিছিল করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত সাব্বির একই ইউনিয়নের ডাঙ্গাহাতি মোহন গ্রামের ইলিয়াস বিশ^াসের ছেলে।

ছাত্রীর চাচা জানান, তার ভাতিজির বাবা নেই। একারণে তার কাছে থেকেই পড়াশোনা করে। স্কুলে যাওয়া আসার পথে সাব্বির প্রায়ই তার ভাতিজিকে উত্যক্ত করে। গত ৭ জুন তারিখে সাব্বির তার এক বন্ধুকে নিয়ে প্রকাশ্যে ভাতিজিকে যৌন হয়রানী করে। ঘটনার পর তার ভাতিজি বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ বিষয়ে গত ৯ জুন তারিখে বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঐ পরিবারের ভয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

সাব্বিরের বাবা ইলিয়াস হোসেন বিশ^াসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার ছেলেকে গত বুধবার বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক পিটিয়েছেন। তার ছেলের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। পেটানোর অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে উল্টো এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, থানা থেকে তাকে ডেকে নিয়ে তার কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নিয়েছে তার ছেলে যেন এধরণের কাজ না করে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারান চন্দ্র মনডল ও আব্দুস সবুর দুলু উভয়েই জানান, সাব্বিরের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তাদের কাছে রয়েছে। জনসমুখে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার ঘটনায় তারা সাব্বিরকে শাসন করতে বাধ্য হয়েছেন।

নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিটের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মিয়া জানান, তিনি বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল (রোববার) সবাইকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সোমবার, ১৩ জুন ২০২২ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১২ জিলকদ ১৪৪৩

ছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারীর বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিটের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে উত্যক্তকারী সাব্বির বিশ^াসের বিচার দাবিতে গত শনিবার বিক্ষোভ মিছিল করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত সাব্বির একই ইউনিয়নের ডাঙ্গাহাতি মোহন গ্রামের ইলিয়াস বিশ^াসের ছেলে।

ছাত্রীর চাচা জানান, তার ভাতিজির বাবা নেই। একারণে তার কাছে থেকেই পড়াশোনা করে। স্কুলে যাওয়া আসার পথে সাব্বির প্রায়ই তার ভাতিজিকে উত্যক্ত করে। গত ৭ জুন তারিখে সাব্বির তার এক বন্ধুকে নিয়ে প্রকাশ্যে ভাতিজিকে যৌন হয়রানী করে। ঘটনার পর তার ভাতিজি বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ বিষয়ে গত ৯ জুন তারিখে বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঐ পরিবারের ভয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

সাব্বিরের বাবা ইলিয়াস হোসেন বিশ^াসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার ছেলেকে গত বুধবার বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক পিটিয়েছেন। তার ছেলের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। পেটানোর অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে উল্টো এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, থানা থেকে তাকে ডেকে নিয়ে তার কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নিয়েছে তার ছেলে যেন এধরণের কাজ না করে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারান চন্দ্র মনডল ও আব্দুস সবুর দুলু উভয়েই জানান, সাব্বিরের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তাদের কাছে রয়েছে। জনসমুখে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার ঘটনায় তারা সাব্বিরকে শাসন করতে বাধ্য হয়েছেন।

নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিটের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মিয়া জানান, তিনি বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল (রোববার) সবাইকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।