বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে দায় নিতে হবে। আল্লাহ না করুক দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার যদি কোন অঘটন ঘটে, তাহলে এই দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। টেনে-হিঁচড়ে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে নেবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার জন্য উন্নত চিকিৎসা, উন্নত মেডিকেল সেন্টার দরকার এবং সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই আমাদের চিকিৎসকরা বলছেন উনার উন্নত ট্রিটমেন্ট দরকার। উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া দরকার, যা বিদেশে আছে। তিনি বলেন, আমাদের শেষ কথা অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। অন্যথায় তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, কারণ আপনারা এ দেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধুমাত্র লুটে নেয়ার জন্য কর্মকা- পরিচালনা করছেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ যখন ক্ষমতা দখল করে ৮২ সালে, তখন তিনি বলেছিলেন উই আর নট আনহ্যাপি আমরাও অখুশি নই। আবার এক-এগারোর অবৈধ সরকারের সময় যখন ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল, তখন বিমানবন্দরে আপনি ঘোষণা দিয়েছিলেন এই সেনা সমর্থিত অবৈধ সরকারের সমস্ত কার্যক্রম আপনি বৈধ করে দেবেন। আমাদের মেমোরি এখনো এত ‘শর্ট’ হয়নি। এজন্য আমরা বলি আপনি বরাবরই আঁতাত করে ক্ষমতায় এসেছেন, আপনারা বরাবরই ওই শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছেন যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান করে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, যেখানে জনগণ তাদের পছন্দমতো মানুষদের নির্বাচিত করবেন। পছন্দমতো পার্টি নির্বাচন করে সংসদ গঠন করবেন। এর বাইরে কোন কিছুই মেনে নিতে এ দেশের মানুষ প্রস্তুত নয় মানবে না।
তিনি বলেন, এখনও সময় আছে, এখনও বাঁচতে পারবেন, সময় আছে কিছুটা রক্ষা পেতে পারেন। এরপর আর পালাবার সময় পাবেন না। পরিষ্কার করে বলতে চাই, সমস্ত রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। দেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, যে দুর্বার গণআন্দোলন শুরু হবে তার মাধ্যমে এ ভয়াবহ সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ।
সোমবার, ১৩ জুন ২০২২ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১২ জিলকদ ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে দায় নিতে হবে। আল্লাহ না করুক দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার যদি কোন অঘটন ঘটে, তাহলে এই দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। টেনে-হিঁচড়ে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে নেবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার জন্য উন্নত চিকিৎসা, উন্নত মেডিকেল সেন্টার দরকার এবং সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই আমাদের চিকিৎসকরা বলছেন উনার উন্নত ট্রিটমেন্ট দরকার। উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া দরকার, যা বিদেশে আছে। তিনি বলেন, আমাদের শেষ কথা অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। অন্যথায় তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, কারণ আপনারা এ দেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধুমাত্র লুটে নেয়ার জন্য কর্মকা- পরিচালনা করছেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ যখন ক্ষমতা দখল করে ৮২ সালে, তখন তিনি বলেছিলেন উই আর নট আনহ্যাপি আমরাও অখুশি নই। আবার এক-এগারোর অবৈধ সরকারের সময় যখন ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল, তখন বিমানবন্দরে আপনি ঘোষণা দিয়েছিলেন এই সেনা সমর্থিত অবৈধ সরকারের সমস্ত কার্যক্রম আপনি বৈধ করে দেবেন। আমাদের মেমোরি এখনো এত ‘শর্ট’ হয়নি। এজন্য আমরা বলি আপনি বরাবরই আঁতাত করে ক্ষমতায় এসেছেন, আপনারা বরাবরই ওই শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছেন যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান করে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, যেখানে জনগণ তাদের পছন্দমতো মানুষদের নির্বাচিত করবেন। পছন্দমতো পার্টি নির্বাচন করে সংসদ গঠন করবেন। এর বাইরে কোন কিছুই মেনে নিতে এ দেশের মানুষ প্রস্তুত নয় মানবে না।
তিনি বলেন, এখনও সময় আছে, এখনও বাঁচতে পারবেন, সময় আছে কিছুটা রক্ষা পেতে পারেন। এরপর আর পালাবার সময় পাবেন না। পরিষ্কার করে বলতে চাই, সমস্ত রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। দেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, যে দুর্বার গণআন্দোলন শুরু হবে তার মাধ্যমে এ ভয়াবহ সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ।