সংবাদপত্রের অনলাইন ও সংবাদ পোর্টালে টক শো প্রচার করতে পারে না : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আইন অনুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্সন ও সংবাদ পোর্টালগুলো টক শো ও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করতে পারে না।

গতকাল সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে নীতিমালার গেজেটটি তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটকো) নেতারা আমাদের নজরে এনেছেন যে, কিছু পত্রিকার অনলাইন ভার্সন ও সংবাদ পোর্টাল অনলাইনে ‘টক শো’ এমন কি কেউ কেউ নিউজ বুলেটিনও প্রচার করছে যার কোন অনুমতি নেই। আমরা দেখেছি যে, অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের দুই, চার ও ছয় উপধারার বিধান অনুসারে তারা এ ধরনের কিছু প্রচার করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে সংবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপ দিলে আমি মনে করি সেটিতে নিয়মনীতির ব্যত্যয় হয় না, কিন্তু একেবারে টক শো কিংবা নিউজ বুলেটিন প্রচার করা নীতিমালা অনুমোদন করে না। আমরা কোন তদন্ত ছাড়াই পত্রপত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোর নিবন্ধন দিয়েছিলাম এই শর্তে যে, পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ পায় সেটিই অনলাইনে প্রকাশ পাবে, সেটিও ভিন্ন হওয়ার কথা নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটকো এ বিষয়ে তাদের উত্থাপিত মৌখিক আপত্তি লিখিত আকারে দিলে আমরা আইনের ধারা-উপধারা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের জানাবো।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সুস্থ করতে পারেন, সেটা আগে প্রমাণ করেছেন তারা। খালেদা জিয়া আগে অসুস্থ ছিলেন, অনেকদিন হাসপাতালে ছিলেন। তখন বিএনপি সকাল-বিকাল-সন্ধ্যায় সমাবেশ করে বলতো, তাকে বিদেশ না নিলে বাঁচবেন না, তার জীবন সংকটাপন্ন। এগুলো যখন তারা সমস্বরে বলছিলেন, তখনই খালেদা জিয়া দুই দফায় সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, এবার খালেদা জিয়ার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে রিং পরানো হয়েছে। আমরা আশা করি, দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি যাবেন তিনি। বিদেশ নেয়ার যে দাবি, এটা হচ্ছে রাজনৈতিক দাবি। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি থেকে এ দাবিগুলো করছেন বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়াকে বলির পাঠা বানোর যে অভিযোগ তারা করছেন, সেটা সঠিক নয়।

সোমবার, ১৩ জুন ২০২২ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১২ জিলকদ ১৪৪৩

সংবাদপত্রের অনলাইন ও সংবাদ পোর্টালে টক শো প্রচার করতে পারে না : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আইন অনুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্সন ও সংবাদ পোর্টালগুলো টক শো ও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করতে পারে না।

গতকাল সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে নীতিমালার গেজেটটি তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটকো) নেতারা আমাদের নজরে এনেছেন যে, কিছু পত্রিকার অনলাইন ভার্সন ও সংবাদ পোর্টাল অনলাইনে ‘টক শো’ এমন কি কেউ কেউ নিউজ বুলেটিনও প্রচার করছে যার কোন অনুমতি নেই। আমরা দেখেছি যে, অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের দুই, চার ও ছয় উপধারার বিধান অনুসারে তারা এ ধরনের কিছু প্রচার করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে সংবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপ দিলে আমি মনে করি সেটিতে নিয়মনীতির ব্যত্যয় হয় না, কিন্তু একেবারে টক শো কিংবা নিউজ বুলেটিন প্রচার করা নীতিমালা অনুমোদন করে না। আমরা কোন তদন্ত ছাড়াই পত্রপত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোর নিবন্ধন দিয়েছিলাম এই শর্তে যে, পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ পায় সেটিই অনলাইনে প্রকাশ পাবে, সেটিও ভিন্ন হওয়ার কথা নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটকো এ বিষয়ে তাদের উত্থাপিত মৌখিক আপত্তি লিখিত আকারে দিলে আমরা আইনের ধারা-উপধারা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের জানাবো।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সুস্থ করতে পারেন, সেটা আগে প্রমাণ করেছেন তারা। খালেদা জিয়া আগে অসুস্থ ছিলেন, অনেকদিন হাসপাতালে ছিলেন। তখন বিএনপি সকাল-বিকাল-সন্ধ্যায় সমাবেশ করে বলতো, তাকে বিদেশ না নিলে বাঁচবেন না, তার জীবন সংকটাপন্ন। এগুলো যখন তারা সমস্বরে বলছিলেন, তখনই খালেদা জিয়া দুই দফায় সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, এবার খালেদা জিয়ার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে রিং পরানো হয়েছে। আমরা আশা করি, দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি যাবেন তিনি। বিদেশ নেয়ার যে দাবি, এটা হচ্ছে রাজনৈতিক দাবি। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি থেকে এ দাবিগুলো করছেন বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়াকে বলির পাঠা বানোর যে অভিযোগ তারা করছেন, সেটা সঠিক নয়।