গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে আকষ্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২৩ গ্রামের ১৫হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে জমির ধান,পাট ,তিলক্ষেত ও শাকসবজি । এ ছাড়া রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষ। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা ও ভেলা।
গতকাল সোমবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,রাজিবপুর উপজেলার তিন ইউনিয়নের ২৩ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রাজীবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ, কোদালকাটি ইউনিয়নের শিকারপুর, চরনেওয়াজী, কির্তনটারী, নাওশালা, বড়বের, গোয়ালপাড়া, ভেলামারী, শংকরমাধপুর, পাখিউড়া, চরসাজাই, আনন্দবাজার, পাইকান্টারী, মন্ডলপাড়া, ও রাজীবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের মদনেরচর, ফাটকপাড়া, মুন্সিপাড়া, করাতিপিাড়া, দশঘরিয়াপাড়া, ধলাগাছা, বালিয়ামারী, নয়াপাড়া, মিয়াপাড়া, বাউলপাড়া এবং যাদুরচর ইউনিয়নের পুরাতন যাদুরচর, কাশিয়াবাড়ী, লালকুড়া, বিক্রিবিল, চর লাঠিয়ালডাঙ্গা, শ্রীফলগাতি, খেওয়ারচর, বকবান্দা, আলগারচর, পাহাড়তলী, পুরাতন যাদুরচর ও চর লালকুড়া, খেওয়ারচর ও পাহাড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪টিতে পানি উঠেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের ধান,পাটের ফসলি জমিসহ শাকসবিজর বাগান।
রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সবুজবাগ গ্রামের কৃষক খাইরুল আলম বলেন, দুই বিঘা জমিতে তিল আবাদ করেছিলাম এর মধ্যে আধা বিঘা জমির তিল কাটতে পারি নাই, টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসলের জমি তলিয়ে গেছে।
কাশিয়াবাড়ি গ্রামের কৃষক আকবর আলী বলেন, এবার আড়াই বিঘা জমিতে ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে দেড় বিঘা জমির ধান কাটতে পারলেও ভারত থেকে হঠাৎ পাহাড়ি ঢল এসে তাঁর এক বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। এতে তাঁর ২১হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরন মো. ইলিয়াস জানান, তার এলাকায় অবস্থিত বালিয়ামারী বর্ডার হাটের পুরোটাই পানি উঠেছে। ভারতের কালো ও ধরনী নদী থেকে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ঢলের পানি দ্রুত গতিতে বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেষা জিনজিরাম নদীতে পতিত হয়ে আকস্মিক বন্যার সুষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, বন্যার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে। বরাদ্দ পেলে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রাজিবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, টানা বর্ষণে পাহাড়ী ঢল ও ব্রহ্মপুত্র নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ জিলকদ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম)
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে আকষ্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২৩ গ্রামের ১৫হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে জমির ধান,পাট ,তিলক্ষেত ও শাকসবজি । এ ছাড়া রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষ। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা ও ভেলা।
গতকাল সোমবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,রাজিবপুর উপজেলার তিন ইউনিয়নের ২৩ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রাজীবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ, কোদালকাটি ইউনিয়নের শিকারপুর, চরনেওয়াজী, কির্তনটারী, নাওশালা, বড়বের, গোয়ালপাড়া, ভেলামারী, শংকরমাধপুর, পাখিউড়া, চরসাজাই, আনন্দবাজার, পাইকান্টারী, মন্ডলপাড়া, ও রাজীবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের মদনেরচর, ফাটকপাড়া, মুন্সিপাড়া, করাতিপিাড়া, দশঘরিয়াপাড়া, ধলাগাছা, বালিয়ামারী, নয়াপাড়া, মিয়াপাড়া, বাউলপাড়া এবং যাদুরচর ইউনিয়নের পুরাতন যাদুরচর, কাশিয়াবাড়ী, লালকুড়া, বিক্রিবিল, চর লাঠিয়ালডাঙ্গা, শ্রীফলগাতি, খেওয়ারচর, বকবান্দা, আলগারচর, পাহাড়তলী, পুরাতন যাদুরচর ও চর লালকুড়া, খেওয়ারচর ও পাহাড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪টিতে পানি উঠেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের ধান,পাটের ফসলি জমিসহ শাকসবিজর বাগান।
রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সবুজবাগ গ্রামের কৃষক খাইরুল আলম বলেন, দুই বিঘা জমিতে তিল আবাদ করেছিলাম এর মধ্যে আধা বিঘা জমির তিল কাটতে পারি নাই, টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসলের জমি তলিয়ে গেছে।
কাশিয়াবাড়ি গ্রামের কৃষক আকবর আলী বলেন, এবার আড়াই বিঘা জমিতে ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে দেড় বিঘা জমির ধান কাটতে পারলেও ভারত থেকে হঠাৎ পাহাড়ি ঢল এসে তাঁর এক বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। এতে তাঁর ২১হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরন মো. ইলিয়াস জানান, তার এলাকায় অবস্থিত বালিয়ামারী বর্ডার হাটের পুরোটাই পানি উঠেছে। ভারতের কালো ও ধরনী নদী থেকে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ঢলের পানি দ্রুত গতিতে বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেষা জিনজিরাম নদীতে পতিত হয়ে আকস্মিক বন্যার সুষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, বন্যার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে। বরাদ্দ পেলে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রাজিবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, টানা বর্ষণে পাহাড়ী ঢল ও ব্রহ্মপুত্র নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।