২০ জুন শেষ করার নির্দেশ
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আর মাত্র ১১ দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে সেতুর উদ্বোধনের প্রস্তুতির কাজ চলছে প্রকল্প এলাকায়। আগামী ২০ জুনের মধ্যে সেতুর সব প্রস্তুতি শেষ করা নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উদ্বোধনের আগে প্রকল্প এলাকায় এখনও ৮ ধরনের কাজ করা হচ্ছে বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।
ভায়াডাক্টসহ ৯ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার সেতুতে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট বাসানো হয়েছে। ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া, যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কে মার্কিং ও সংকেত দেয়া, সেতু দুই পাশে স্টিলের রেলিং স্থাপন, দুই পাড়ের সংযোগ সড়কে টোল প্লাজা স্থাপন, সেতুর কাজে ব্যবহারের জন্য ভায়াডাক্টের সঙ্গে সিঁড়ি নির্মাণ, সংযোগ সড়কের দুই পাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, উদ্বোধনী ফলক এবং দুই প্রান্তে ম্যুারাল নির্মাণসহ ৮ ধরনের কাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘প্রকল্প এলাকায় প্রায় সব কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের প্রস্তুতির কাজ করা হচ্ছে। এগুলো উদ্বোধনের আগেই শেষ হবে। তবে কিছু ছোট-খাটো কাজ উদ্বোধনের পরে চলবে। যেমন সিঁড়ি নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। এটি সেতুর সার্ভিসিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো ও সড়কের মার্কিংয়েরসহ অন্য কাজ উদ্বোধনের আগেই শেষ হবে বলে জানান তিনি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ ও জেনেরেটর বাতি জ্বালানো পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে সবগুলো বাতি এক সঙ্গে জ্বালানো হবে। সেতু চালু হলে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর এই বাতিগুলো জ্বালানো থাকবে। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনেরেটরের ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়া ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুর দুই পাশে সাড়ে ১২ কিলোমিটার রেলিং স্থাপন করা হচ্ছে তিন ফুট উঁচু দেয়ালের ওপর। সেতুর দুই প্রান্তে ভায়াডাক্টের ওপর আরও ছয় দশমিক এক কিলোমিটর রেলিং স্থাপন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে রেলিংয়ের দৈর্ঘ্য ১৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার। এখন পর্যন্ত সেতুর ৬০ শতাংশ স্টিলের রেলিং বসানো হয়েছে। পদ্মা সেতুর দুই পাশেই ৩ ফুটের উচ্চতায় কংক্রিটের দেয়াল দেয়া হয়েছে। এর ওপর এক ফুটের কিছু বেশি স্টিলের রেলিং বসানোর কাজ চলছে। এতে সেতুর রেলিংরে উচ্চতা হবে ৪ ফুটের একটু বেশি। রেলিং নির্মাণের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া সেতুতে যানবাহন চলাচলের পথনির্দেশনা ও সংকেত বসানোর কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। এ কাজও দুই-একদিনের মধ্যে শেষ হবে। পদ্মা সেতুর দুই পারের সংযোগ সড়কে টোলপ্লাজার যন্ত্রাংশ বসানো কাজ চলছে। উদ্বোধনের আগে শেষ হবে এর কাজ। টোলপ্লাজায় অটো ও ম্যানুয়েল দুইভাবে টোল আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।
এ বিষয়ে গত রোববার প্রকল্প এলাকায় সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় অটো ও ম্যানুয়েল দুইভাবে টোল আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। যাদের কার্ড থাকবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল দিতে পারবেন। ডেবিট কার্ড দিয়েও টোল দেয়া যাবে। একইসঙ্গে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল দিতে পারবে। ৬টি বুথ থাকবে ম্যানুয়ালে। আর একটি থাকবে স্বয়ংক্রিয় মেশিন। তবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে সবগুলো স্বয়ংক্রিয় মেশিন করা হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ জিলকদ ১৪৪৩
২০ জুন শেষ করার নির্দেশ
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আর মাত্র ১১ দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে সেতুর উদ্বোধনের প্রস্তুতির কাজ চলছে প্রকল্প এলাকায়। আগামী ২০ জুনের মধ্যে সেতুর সব প্রস্তুতি শেষ করা নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উদ্বোধনের আগে প্রকল্প এলাকায় এখনও ৮ ধরনের কাজ করা হচ্ছে বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।
ভায়াডাক্টসহ ৯ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার সেতুতে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট বাসানো হয়েছে। ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া, যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কে মার্কিং ও সংকেত দেয়া, সেতু দুই পাশে স্টিলের রেলিং স্থাপন, দুই পাড়ের সংযোগ সড়কে টোল প্লাজা স্থাপন, সেতুর কাজে ব্যবহারের জন্য ভায়াডাক্টের সঙ্গে সিঁড়ি নির্মাণ, সংযোগ সড়কের দুই পাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, উদ্বোধনী ফলক এবং দুই প্রান্তে ম্যুারাল নির্মাণসহ ৮ ধরনের কাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘প্রকল্প এলাকায় প্রায় সব কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের প্রস্তুতির কাজ করা হচ্ছে। এগুলো উদ্বোধনের আগেই শেষ হবে। তবে কিছু ছোট-খাটো কাজ উদ্বোধনের পরে চলবে। যেমন সিঁড়ি নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। এটি সেতুর সার্ভিসিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো ও সড়কের মার্কিংয়েরসহ অন্য কাজ উদ্বোধনের আগেই শেষ হবে বলে জানান তিনি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ ও জেনেরেটর বাতি জ্বালানো পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে সবগুলো বাতি এক সঙ্গে জ্বালানো হবে। সেতু চালু হলে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর এই বাতিগুলো জ্বালানো থাকবে। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনেরেটরের ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়া ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুর দুই পাশে সাড়ে ১২ কিলোমিটার রেলিং স্থাপন করা হচ্ছে তিন ফুট উঁচু দেয়ালের ওপর। সেতুর দুই প্রান্তে ভায়াডাক্টের ওপর আরও ছয় দশমিক এক কিলোমিটর রেলিং স্থাপন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে রেলিংয়ের দৈর্ঘ্য ১৮ দশমিক ৬ কিলোমিটার। এখন পর্যন্ত সেতুর ৬০ শতাংশ স্টিলের রেলিং বসানো হয়েছে। পদ্মা সেতুর দুই পাশেই ৩ ফুটের উচ্চতায় কংক্রিটের দেয়াল দেয়া হয়েছে। এর ওপর এক ফুটের কিছু বেশি স্টিলের রেলিং বসানোর কাজ চলছে। এতে সেতুর রেলিংরে উচ্চতা হবে ৪ ফুটের একটু বেশি। রেলিং নির্মাণের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া সেতুতে যানবাহন চলাচলের পথনির্দেশনা ও সংকেত বসানোর কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। এ কাজও দুই-একদিনের মধ্যে শেষ হবে। পদ্মা সেতুর দুই পারের সংযোগ সড়কে টোলপ্লাজার যন্ত্রাংশ বসানো কাজ চলছে। উদ্বোধনের আগে শেষ হবে এর কাজ। টোলপ্লাজায় অটো ও ম্যানুয়েল দুইভাবে টোল আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।
এ বিষয়ে গত রোববার প্রকল্প এলাকায় সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় অটো ও ম্যানুয়েল দুইভাবে টোল আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। যাদের কার্ড থাকবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল দিতে পারবেন। ডেবিট কার্ড দিয়েও টোল দেয়া যাবে। একইসঙ্গে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল দিতে পারবে। ৬টি বুথ থাকবে ম্যানুয়ালে। আর একটি থাকবে স্বয়ংক্রিয় মেশিন। তবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে সবগুলো স্বয়ংক্রিয় মেশিন করা হবে বলে জানান তিনি।