পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের গতকাল ২০৭টি ল্যাম্পপোস্টে একসঙ্গে বাতি জ্বালানো হয়েছে। এ নিয়ে সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টের মধ্যে অর্ধেক বাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা কাজ শেষ হয়েছে। আজ জাজিরা প্রান্তের বাতিগুলো জ্বালানো হবে। এরপর আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে সবগুলো বাতি একসঙ্গে জ্বালানো হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানায়।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে এই প্রথম মাওয়া প্রান্তের ২০৭টি ল্যাম্পপোস্টে পরীক্ষামূলকভাবে বাতি জ্বালানো হয়েছে। আজ জাজিরা প্রান্তের বাতিগুলো বিদ্যুৎসংযোগের মাধ্যমে জ্বালানো হবে। এরপর সম্পূর্ণ সেতুর বাতিগুলো একসঙ্গে জ্বালানো হবে। সম্পূর্ণ সেতুর বাতি একসঙ্গে জ্বালাতে আর ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে।’
এর আগে ৪ জুন বিকেলে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়। ওই দিন সেতুর ১৪ থেকে ১৯ নম্বর পিয়ারের মাঝামাঝিতে ২৪টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। এরপর ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে সেতুর সবক’টি বাতি জ্বালানো হয়। তখন সেতুতে জেনারেটরের মাধ্যমে বাতি জ্বালানো হয়েছিল।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয় গত ১৮ এপ্রিল।
এর আগে ২৪ মে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪২ নম্বর পিয়ারে সেতুর সাবস্টেশনে বিদ্যুৎসংযোগ দেয়া হয়। শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে ৮০ কিলোওয়াট ও মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে দেয়া আরও ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুতে সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হবে বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।
মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ জিলকদ ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের গতকাল ২০৭টি ল্যাম্পপোস্টে একসঙ্গে বাতি জ্বালানো হয়েছে। এ নিয়ে সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টের মধ্যে অর্ধেক বাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা কাজ শেষ হয়েছে। আজ জাজিরা প্রান্তের বাতিগুলো জ্বালানো হবে। এরপর আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে সবগুলো বাতি একসঙ্গে জ্বালানো হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানায়।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে এই প্রথম মাওয়া প্রান্তের ২০৭টি ল্যাম্পপোস্টে পরীক্ষামূলকভাবে বাতি জ্বালানো হয়েছে। আজ জাজিরা প্রান্তের বাতিগুলো বিদ্যুৎসংযোগের মাধ্যমে জ্বালানো হবে। এরপর সম্পূর্ণ সেতুর বাতিগুলো একসঙ্গে জ্বালানো হবে। সম্পূর্ণ সেতুর বাতি একসঙ্গে জ্বালাতে আর ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে।’
এর আগে ৪ জুন বিকেলে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়। ওই দিন সেতুর ১৪ থেকে ১৯ নম্বর পিয়ারের মাঝামাঝিতে ২৪টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। এরপর ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে সেতুর সবক’টি বাতি জ্বালানো হয়। তখন সেতুতে জেনারেটরের মাধ্যমে বাতি জ্বালানো হয়েছিল।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয় গত ১৮ এপ্রিল।
এর আগে ২৪ মে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪২ নম্বর পিয়ারে সেতুর সাবস্টেশনে বিদ্যুৎসংযোগ দেয়া হয়। শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে ৮০ কিলোওয়াট ও মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে দেয়া আরও ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুতে সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হবে বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।