চালু হলো জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) অ্যাপ

দেশের উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতসমূহের বিচারিক সেবা ও তথ্য প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে বিদ্যমান সেবাসমূহকে ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর এবং বিচারক ও বিচার সহায়ক কর্মচারীদের তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালু হয়েছে অনলাইন কজলিস্ট, জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং এবং মাইকোর্ট অ্যাপ। এটুআইয়ের কারিগরি সহযোগিতায় আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ কর্তৃক রাজধানীর একটি হোটেলে গত ১১ জুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসাবে এই অনলাইন সেবাসমূহের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী অনলাইন বিচারিক সেবাসমূহের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চলতি অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগ এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খাতে আমরা প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আজকে তিনটি ডিজিটাল সেবা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এই যাত্রা শুরু হলো। সারাদেশের বিচারিক ব্যবস্থাটাকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর করে স্বল্প সময়ে ও খরচে মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিচারক ও আইনজীবীদের কাজকে সহজ করতে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এটুআই, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, সুপ্রীমকোর্ট এবং আইন ও বিচার বিভাগ একত্রে গত কয়েক বছরে এই প্রকল্পের নতুন একটি মডেল তৈরি করেছে। প্রযুক্তিনির্ভর এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই হাজার কোটরুমকে ডিজিটাইজড করা হবে। এছাড়া ১৪টি কেন্দ্রীয় জেল এবং জেলা পর্যায়ে ৬৪টি ট্রায়ালরুমকে যুক্ত করা হবে। বিচারিক ব্যবস্থার সকল তথ্যকে নিরাপদ একটা সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগের জন্য আমাদের নিজস্ব বৈঠক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে। আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সকলের জন্য বিচারিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বিচারিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে আজ অনলাইন কজলিস্ট (মামলার কার্যতালিকা), জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এছাড়াও আইন ও বিচার বিভাগ বর্তমানে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে কার্যকর এবং দায়বদ্ধ বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, কোন নির্দিষ্ট কার্যদিবসে আদালতে বিচারাধীন মামলার তালিকা জনগণ কিংবা বিচার সংশ্লিষ্ট যেকেউ causelist.judiciary.org.bd ওয়েবসাইট ও আমার আদালত (মাইকোর্ট) মোবাইল অ্যাপ ভিজিট করে মামলার সর্বশেষ তথ্যাদি পাবেন। ওয়েবসাইটে প্রথমে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, পরে জেলা এবং সর্বশেষ সংশ্লিষ্ট আদালতের নাম সিলেক্ট করে বিচারপ্রার্থীরা তাদের মামলার সর্বশেষ আদেশ, পরবর্তী তারিখ এবং মামলার অবস্থা জানতে পারবেন। গুগল প্লে-স্টোর থেকে আমার আদালত (মাইকোর্ট) সার্চ করে যেকেউ এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ জিলকদ ১৪৪৩

চালু হলো জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) অ্যাপ

image

দেশের উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতসমূহের বিচারিক সেবা ও তথ্য প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে বিদ্যমান সেবাসমূহকে ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর এবং বিচারক ও বিচার সহায়ক কর্মচারীদের তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চালু হয়েছে অনলাইন কজলিস্ট, জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং এবং মাইকোর্ট অ্যাপ। এটুআইয়ের কারিগরি সহযোগিতায় আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ কর্তৃক রাজধানীর একটি হোটেলে গত ১১ জুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসাবে এই অনলাইন সেবাসমূহের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী অনলাইন বিচারিক সেবাসমূহের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চলতি অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগ এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খাতে আমরা প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আজকে তিনটি ডিজিটাল সেবা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এই যাত্রা শুরু হলো। সারাদেশের বিচারিক ব্যবস্থাটাকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর করে স্বল্প সময়ে ও খরচে মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিচারক ও আইনজীবীদের কাজকে সহজ করতে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এটুআই, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, সুপ্রীমকোর্ট এবং আইন ও বিচার বিভাগ একত্রে গত কয়েক বছরে এই প্রকল্পের নতুন একটি মডেল তৈরি করেছে। প্রযুক্তিনির্ভর এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই হাজার কোটরুমকে ডিজিটাইজড করা হবে। এছাড়া ১৪টি কেন্দ্রীয় জেল এবং জেলা পর্যায়ে ৬৪টি ট্রায়ালরুমকে যুক্ত করা হবে। বিচারিক ব্যবস্থার সকল তথ্যকে নিরাপদ একটা সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগের জন্য আমাদের নিজস্ব বৈঠক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে। আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সকলের জন্য বিচারিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বিচারিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে আজ অনলাইন কজলিস্ট (মামলার কার্যতালিকা), জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এছাড়াও আইন ও বিচার বিভাগ বর্তমানে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে কার্যকর এবং দায়বদ্ধ বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, কোন নির্দিষ্ট কার্যদিবসে আদালতে বিচারাধীন মামলার তালিকা জনগণ কিংবা বিচার সংশ্লিষ্ট যেকেউ causelist.judiciary.org.bd ওয়েবসাইট ও আমার আদালত (মাইকোর্ট) মোবাইল অ্যাপ ভিজিট করে মামলার সর্বশেষ তথ্যাদি পাবেন। ওয়েবসাইটে প্রথমে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, পরে জেলা এবং সর্বশেষ সংশ্লিষ্ট আদালতের নাম সিলেক্ট করে বিচারপ্রার্থীরা তাদের মামলার সর্বশেষ আদেশ, পরবর্তী তারিখ এবং মামলার অবস্থা জানতে পারবেন। গুগল প্লে-স্টোর থেকে আমার আদালত (মাইকোর্ট) সার্চ করে যেকেউ এই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।