পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক আবু জাফর প্রদীপ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আপন ভাই সোহাগ হাওলাদারকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে কলাপাড়া থানার ওসি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত শনিবার ঢাকার উত্তরা থেকে কলাপাড়া থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সে একাই এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে সোহাগ জানিয়েছে। তবে গণমাধ্যমের সামনে আসামি সোহাগকে হাজির না করে তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
গত ৫ জুন রাত ১টার পর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুর থেকে পুলিশ সাংবাদিক প্রদীপের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ধারালো চাকু দিয়ে পেটের ডান পাশে ও ডান হাতে আঘাত করে হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয়। পুলিশ ওই রাতেই রক্তমাখা চাকুটি উদ্ধার করে। ওই রাত থেকেই পলাতক ছিল সোহাগ।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসীম জানান, গত ৫ জুন আমতলী বাজার থেকে ৮০ টাকা দিয়ে একটি চাকু ক্রয় করে বাড়িতে আসে। রাত ৮টার দিকে প্রদীপকে বাড়ি থেকে ডেকে বাড়ির সামনে বসে কথা বলে। জমি নিয়ে পূর্ববিরোধ থাকায় তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সোহাগের কোমরে থাকা চাকু দিয়ে প্রদীপকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার রাতে সোহাগ প্রথমে বরিশাল গিয়ে একদিন অবস্থান করে। এরপর চাঁদপুর, কুমিল্লা হয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে।
উল্লেখ গত ৫ জুন রাতে প্রদীপ হত্যার পরদিন নিহতের স্ত্রী জিনিয়া আক্তার সেজ ভাসুর সোহাগ হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। আবু জাফর প্রদীপ দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার কলাপাড়া প্রতিনিধি ছাড়াও কলাপাড়া সাংবাদিক ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ জিলকদ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, কলাপাড়া
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক আবু জাফর প্রদীপ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আপন ভাই সোহাগ হাওলাদারকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে কলাপাড়া থানার ওসি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত শনিবার ঢাকার উত্তরা থেকে কলাপাড়া থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সে একাই এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে সোহাগ জানিয়েছে। তবে গণমাধ্যমের সামনে আসামি সোহাগকে হাজির না করে তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
গত ৫ জুন রাত ১টার পর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুর থেকে পুলিশ সাংবাদিক প্রদীপের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ধারালো চাকু দিয়ে পেটের ডান পাশে ও ডান হাতে আঘাত করে হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয়। পুলিশ ওই রাতেই রক্তমাখা চাকুটি উদ্ধার করে। ওই রাত থেকেই পলাতক ছিল সোহাগ।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসীম জানান, গত ৫ জুন আমতলী বাজার থেকে ৮০ টাকা দিয়ে একটি চাকু ক্রয় করে বাড়িতে আসে। রাত ৮টার দিকে প্রদীপকে বাড়ি থেকে ডেকে বাড়ির সামনে বসে কথা বলে। জমি নিয়ে পূর্ববিরোধ থাকায় তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সোহাগের কোমরে থাকা চাকু দিয়ে প্রদীপকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার রাতে সোহাগ প্রথমে বরিশাল গিয়ে একদিন অবস্থান করে। এরপর চাঁদপুর, কুমিল্লা হয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে।
উল্লেখ গত ৫ জুন রাতে প্রদীপ হত্যার পরদিন নিহতের স্ত্রী জিনিয়া আক্তার সেজ ভাসুর সোহাগ হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। আবু জাফর প্রদীপ দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার কলাপাড়া প্রতিনিধি ছাড়াও কলাপাড়া সাংবাদিক ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।