ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের তথ্য চেয়েছে মাউশি

এমপিওবঞ্চিত ‘ডিগ্রি তৃতীয়’ শিক্ষকদের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তিন কর্মদিবসের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তথ্য দিতে সংস্থার ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশে এই তথ্য চাওয়া হয়েছে।

২০১৬ সাল পর্যন্ত কলেজে বিধিমোতাবেক নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন সংক্রান্ত তথ্য, ২০১৯ সালের পর এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের তথ্য এবং ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হওয়া ৫২টি ডিগ্রি কলেজে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আবেদন সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে।

১২ জুন এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে আঞ্চলিক পরিচালকদের কাছে আলাদা আলাদা চিঠি পাঠানো হয় মাউশি থেকে। বর্তমানে ডিগ্রি স্তরের কলেজে প্রতি বিষয়ে দুইজন শিক্ষক এমপিও (মান্থলি পে অর্ডার বা বেতনের সরকারি অংশ) পাচ্ছেন। এখন বিষয় প্রতি তিনজন শিক্ষক এমপিও পেতে পারেন।

মাউশি পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএর (শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) সুপারিশ ছাড়া কোন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে জারি করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের শর্ত মোতাবেক ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিয়োগকৃত তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আবেদন সম্পর্কে তথ্য পাঠাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সে অনুযায়ী ১৫ জুনের মধ্যে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিয়োগকৃত তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আবেদন সম্পর্কে তথ্য মাউশিতে পাঠাতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকদের। এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত ছকে প্রতিষ্ঠানের নাম, শিক্ষকের নাম, বিষয়, প্রাপ্যতা ছিল কী-না, নিয়োগের সিদ্ধান্তের তারিখ, বাছাই কমিটি গঠন ও বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখ, পরীক্ষার তারিখ, কমিটির নম্বরপত্র ও গভর্নিং বডির অনুমোদনের তারিখ উল্লেখ করে মাউশিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

পৃথক এক চিঠিতে আঞ্চলিক পরিচালকদের কাছে ২০১৯ সালের পর এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ তথ্য ও ১৫ জুনের মধ্যে মাউশিতে পাঠাতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত ছকে জেলা ও উপজেলার নাম, কলেজের নাম, ইআইআইএন নম্বর, কলেজের ইনডেক্স নম্বর, তৃতীয় শিক্ষকদের নাম ও পদবি, নিবন্ধন নম্বর, অধিভুক্তি প্রাপ্তির তারিখ ও স্মারক নম্বর, এনটিআরসিএর সুপারিশের তারিখ, কলেজের যোগদানের তারিখ, এনটিআরসিএর সুপারিশের ধরণ (এমপিও বা নন-এমপি) এবং ওই বিষয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সংখ্যা উল্লেখ করে মাউশিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

আঞ্চলিক পরিচালকদের কাছে পাঠানো অন্য এক চিঠিতে ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হওয়া ৫২টি কলেজের তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে মাউশি। এসব কলেজে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

এই ৫২টি কলেজে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য নির্ধারিত ছকে অন্তর্ভুক্ত করে অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। ছকে প্রতিষ্ঠানের নাম, শিক্ষকের নাম, বিষয়, প্রাপ্যতা ছিল কী-না, নিয়োগের সিদ্ধান্ত ও বাছাই কমিটি গঠনের তারিখ, বিজ্ঞপ্তি প্রচার ও পরীক্ষার তারিখ, কমিটির নম্বরপত্র ও গভর্নিং বডির অনুমোদনের তারিখ উল্লেখ করে মাউশিতে পাঠাতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক কার্যালয়গুলিকে।

আরও খবর
বাজেটেও ‘ম্রিয়মাণ’ মধ্যবিত্তের স্বপ্ন
১৭ হাজার ৫২৪ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট পাস
বিএম ডিপোর মালিক পক্ষকে বাঁচাতে মরিয়া পুলিশ : স্কপ
প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি ভয়ংকর অপরাধ, জামিনের প্রশ্নই উঠে না : হাইকোর্ট
জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যেন জাদুর কাঠির সম্পর্ক রয়েছে : সুজন
সাংবাদিক প্রদীপ হত্যা, মূল অভিযুক্ত সোহাগ ঢাকায় গ্রেপ্তার
চিকিৎসককে অব্যাহতি, দুই নার্সকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন
সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ-বিহারি সংঘর্ষ, গুলি
ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলিতে কলেজছাত্র নিহত : ৫ জন গ্রেপ্তার
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশের হাড়গোড় উদ্ধার
কৃত্রিম পায়ে শিশু জান্নাত আবার হাঁটার স্বপ্ন দেখছে

মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ জিলকদ ১৪৪৩

ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের তথ্য চেয়েছে মাউশি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

এমপিওবঞ্চিত ‘ডিগ্রি তৃতীয়’ শিক্ষকদের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তিন কর্মদিবসের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তথ্য দিতে সংস্থার ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশে এই তথ্য চাওয়া হয়েছে।

২০১৬ সাল পর্যন্ত কলেজে বিধিমোতাবেক নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন সংক্রান্ত তথ্য, ২০১৯ সালের পর এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের তথ্য এবং ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হওয়া ৫২টি ডিগ্রি কলেজে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আবেদন সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে।

১২ জুন এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে আঞ্চলিক পরিচালকদের কাছে আলাদা আলাদা চিঠি পাঠানো হয় মাউশি থেকে। বর্তমানে ডিগ্রি স্তরের কলেজে প্রতি বিষয়ে দুইজন শিক্ষক এমপিও (মান্থলি পে অর্ডার বা বেতনের সরকারি অংশ) পাচ্ছেন। এখন বিষয় প্রতি তিনজন শিক্ষক এমপিও পেতে পারেন।

মাউশি পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএর (শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) সুপারিশ ছাড়া কোন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে জারি করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের শর্ত মোতাবেক ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিয়োগকৃত তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আবেদন সম্পর্কে তথ্য পাঠাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সে অনুযায়ী ১৫ জুনের মধ্যে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিয়োগকৃত তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির আবেদন সম্পর্কে তথ্য মাউশিতে পাঠাতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকদের। এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত ছকে প্রতিষ্ঠানের নাম, শিক্ষকের নাম, বিষয়, প্রাপ্যতা ছিল কী-না, নিয়োগের সিদ্ধান্তের তারিখ, বাছাই কমিটি গঠন ও বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখ, পরীক্ষার তারিখ, কমিটির নম্বরপত্র ও গভর্নিং বডির অনুমোদনের তারিখ উল্লেখ করে মাউশিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

পৃথক এক চিঠিতে আঞ্চলিক পরিচালকদের কাছে ২০১৯ সালের পর এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এ তথ্য ও ১৫ জুনের মধ্যে মাউশিতে পাঠাতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত ছকে জেলা ও উপজেলার নাম, কলেজের নাম, ইআইআইএন নম্বর, কলেজের ইনডেক্স নম্বর, তৃতীয় শিক্ষকদের নাম ও পদবি, নিবন্ধন নম্বর, অধিভুক্তি প্রাপ্তির তারিখ ও স্মারক নম্বর, এনটিআরসিএর সুপারিশের তারিখ, কলেজের যোগদানের তারিখ, এনটিআরসিএর সুপারিশের ধরণ (এমপিও বা নন-এমপি) এবং ওই বিষয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সংখ্যা উল্লেখ করে মাউশিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

আঞ্চলিক পরিচালকদের কাছে পাঠানো অন্য এক চিঠিতে ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হওয়া ৫২টি কলেজের তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে মাউশি। এসব কলেজে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

এই ৫২টি কলেজে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য নির্ধারিত ছকে অন্তর্ভুক্ত করে অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। ছকে প্রতিষ্ঠানের নাম, শিক্ষকের নাম, বিষয়, প্রাপ্যতা ছিল কী-না, নিয়োগের সিদ্ধান্ত ও বাছাই কমিটি গঠনের তারিখ, বিজ্ঞপ্তি প্রচার ও পরীক্ষার তারিখ, কমিটির নম্বরপত্র ও গভর্নিং বডির অনুমোদনের তারিখ উল্লেখ করে মাউশিতে পাঠাতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক কার্যালয়গুলিকে।