চট্টগ্রামে চন্দনাইশ এলাকায় ভোটকেন্দ্র দখল ও গোলাগুলির সময় মেধাবী ছাত্র হাবিবুল ইসলাম নিহতের দীর্ঘ ঘটনা তদন্ত শেষে জড়িত ৫ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হযেছে। তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিউল আলম জানান, কলেজছাত্র হাবিবুর উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে হাবিবুর ইসলাম (২০) চন্দনাইশ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। সাড়ে ১১টার দিকে আবার স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ দেখতে আসে।
দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় দুই কাউন্সিলর প্রাথীর সমর্থকদের মধ্যে কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলির আঘাতে হাবিবুর ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যান। এই ঘটনায় হাবিবুরের মা ছকিনা খাতুন বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রথমে থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা মামলাটি তদন্ত ভার নেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১১ জুন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আসামি আবদুর রহিম, মোরশেদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের আদালতে সোপর্দ করে।
এর আগে গত ৮ জুন শাখাওয়াত, কামরুল আজাদ সুমনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আসামি কামরুল আজাদ সুমন গত ৯ জুন হত্যাকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে ও অন্য আসামিদের নাম উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।
গত ১১ জুন রিমান্ডে থাকা আসামি শওকত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আসামি আজহার উদ্দিন গত ১২ জুন আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামি আবদুর রহিম ও মোরশেদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১২ জুন আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে হাবিবুর ইসলাম হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১৪ জিলকদ ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
চট্টগ্রামে চন্দনাইশ এলাকায় ভোটকেন্দ্র দখল ও গোলাগুলির সময় মেধাবী ছাত্র হাবিবুল ইসলাম নিহতের দীর্ঘ ঘটনা তদন্ত শেষে জড়িত ৫ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হযেছে। তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিউল আলম জানান, কলেজছাত্র হাবিবুর উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে হাবিবুর ইসলাম (২০) চন্দনাইশ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। সাড়ে ১১টার দিকে আবার স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ দেখতে আসে।
দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় দুই কাউন্সিলর প্রাথীর সমর্থকদের মধ্যে কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলির আঘাতে হাবিবুর ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যান। এই ঘটনায় হাবিবুরের মা ছকিনা খাতুন বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রথমে থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা মামলাটি তদন্ত ভার নেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১১ জুন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আসামি আবদুর রহিম, মোরশেদুল আলমকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের আদালতে সোপর্দ করে।
এর আগে গত ৮ জুন শাখাওয়াত, কামরুল আজাদ সুমনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আসামি কামরুল আজাদ সুমন গত ৯ জুন হত্যাকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে ও অন্য আসামিদের নাম উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।
গত ১১ জুন রিমান্ডে থাকা আসামি শওকত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আসামি আজহার উদ্দিন গত ১২ জুন আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামি আবদুর রহিম ও মোরশেদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১২ জুন আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে হাবিবুর ইসলাম হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।