পর পর চারদিন শেয়ারবাজারে পতন

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনা করা হয় গত বৃহস্পতিবার। বাজেট উপস্থাপনার আগের দিন উত্থান হয়েছিল শেয়ারবাজারে। কিন্তু বাজেট উপস্থাপনের দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত টানা চার কার্যদিবস পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এই পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৩ পয়েন্ট হারিয়েছে।

টানা পতনের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচকের সঙ্গে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দরও কমেছে। শেয়ার বিক্রির চাপের কারণে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে আগের কার্যদিবস থেকে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০.৫৯ পয়েন্ট বা ০.৪৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬১.৩৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৭.১৫ পয়েন্ট বা ০.৫১ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬.০৬ পয়েন্ট বা ০.৬৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৮৭.৬৭ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩০০.৯১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৮৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৭৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৭৯৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৯টির বা ২৩.২৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২৩৬টির বা ৬১.৭৮ শতাংশের এবং ৫৭টির বা ১৪.৯২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৭৮.৮৩ পয়েন্ট বা ০.৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭১০.৯৪ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ১৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির দর। গতকাল সিএসইতে ৫৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে ৪৫টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৭৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৯৪৪টি শেয়ার ১০৪ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৭৯ কোটি ১১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৫ কোটি ৮ লাখ ৬১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে রেনেটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার টাকার ওরিয়ন ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে লাফার্জ হোলসিমের।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৯টির বা ২৩.২৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।

আগের কার্যদিবস শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৪.১০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪৮.৫০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৪০ টাকা বা ৯.৯৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে শাইনপুকুর সিরামিকের ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

এদিন ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৯.৭১ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের ৯.৬৭ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ৯.৫৮ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ৯.৪৮ শতাংশ, জেএমআই হসপিটালের ৯.০৬ শতাংশ, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৮.৭৬ শতাংশ, এস আলমের ৮.৬৮ শতাংশ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ৬.৩০ শতাংশ এবং এইচআর টেক্সটাইলের শেয়ার দর ৫.৪০ শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৩৬টির বা ৬১.৭৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।

বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ , ১ আষাড় ১৪২৮ ১৫ জিলকদ ১৪৪৩

পর পর চারদিন শেয়ারবাজারে পতন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনা করা হয় গত বৃহস্পতিবার। বাজেট উপস্থাপনার আগের দিন উত্থান হয়েছিল শেয়ারবাজারে। কিন্তু বাজেট উপস্থাপনের দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত টানা চার কার্যদিবস পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এই পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৩ পয়েন্ট হারিয়েছে।

টানা পতনের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচকের সঙ্গে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দরও কমেছে। শেয়ার বিক্রির চাপের কারণে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে আগের কার্যদিবস থেকে।

গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০.৫৯ পয়েন্ট বা ০.৪৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬১.৩৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৭.১৫ পয়েন্ট বা ০.৫১ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬.০৬ পয়েন্ট বা ০.৬৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৮৭.৬৭ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩০০.৯১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৮৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৭৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৭৯৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৯টির বা ২৩.২৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২৩৬টির বা ৬১.৭৮ শতাংশের এবং ৫৭টির বা ১৪.৯২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৭৮.৮৩ পয়েন্ট বা ০.৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭১০.৯৪ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ১৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির দর। গতকাল সিএসইতে ৫৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে ৪৫টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৭৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৯৪৪টি শেয়ার ১০৪ বার হাত বদলের মাধ্যমে ৭৯ কোটি ১১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৫ কোটি ৮ লাখ ৬১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে রেনেটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার টাকার ওরিয়ন ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে লাফার্জ হোলসিমের।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৯টির বা ২৩.২৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।

আগের কার্যদিবস শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৪.১০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪৮.৫০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৪০ টাকা বা ৯.৯৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে শাইনপুকুর সিরামিকের ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

এদিন ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৯.৭১ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের ৯.৬৭ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ৯.৫৮ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ৯.৪৮ শতাংশ, জেএমআই হসপিটালের ৯.০৬ শতাংশ, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৮.৭৬ শতাংশ, এস আলমের ৮.৬৮ শতাংশ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ৬.৩০ শতাংশ এবং এইচআর টেক্সটাইলের শেয়ার দর ৫.৪০ শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৩৬টির বা ৬১.৭৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।