‘ভ্যাট বৃদ্ধি ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির অন্তরায়’

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেছেন, ‘বাজেটে কিছু বিষয়ে আশার দিক থাকলেও কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই ভ্যাট বৃদ্ধি ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির অন্তরায় হবে বলে মনে করি।’ গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), আইএসপিএবি, বাক্কো, ই-ক্যাব ও ব্যাসিস এ ৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলন তিনি একথা বলেন।

ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার আরও বলেন, ‘ল্যাপটপ ও কম্পিউটার আমদানিতে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করার আবেদন করছি। ল্যাপটপ এখন বিলাসী পণ্য নয় বরং এটি প্রয়োজনীয় পণ্য। এছাড়া প্রিন্টার আমদানিতে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে এর ফলে আগামী অর্থ বছরে প্রিন্টার, কার্টিজ ও টোনারের দাম বাড়বে। তাই রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে আইসিটি খাতকে সুদৃঢ় করতে অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহার করা এখন সময়ের দাবি।’

আইএসপিএবির সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘গত ৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে প্রধানমন্ত্রী আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সব সেবাকে আইটিইএস সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে বাস্তবায়ন না করায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উপরন্তু এনবিআর ১০ শতাংশ ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে। এই ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম বাড়বে। এছাড়া অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল আমদানি ও ইন্টারনেট পণ্যতে ভ্যাট বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ভ্যাট ০ শতাংশ করা আমাদের দাবির বিষয়টি বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রী ও এনবিআর চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ‘ই-কমার্স খাতে ভ্যাট ৫ শতাংশ হ্রাস করায় এনবিআরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ই-কমার্স সব আইটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাই বাংলাদেশে ই-কমার্সকে প্রসারিত করতে ইন্টারনেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর আহ্বান করছি।’

বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল আউটসোর্সিংয়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট কমানোর কিন্তু তা করা হয়নি। আউটসোর্সিংয়ে ভ্যাট আরোপের ফলে বাংলাদেশে আউটসোর্সিং খাত বড় হচ্ছে না। আইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ২৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয় যার ফলে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে না তাই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমান ভ্যাট করার দাবি জানাচ্ছি আইটি প্রতিষ্ঠানের।’

সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ৫টি সংগঠনের মহাসচিব, পরিচালক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ , ১ আষাড় ১৪২৮ ১৫ জিলকদ ১৪৪৩

‘ভ্যাট বৃদ্ধি ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির অন্তরায়’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেছেন, ‘বাজেটে কিছু বিষয়ে আশার দিক থাকলেও কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই ভ্যাট বৃদ্ধি ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির অন্তরায় হবে বলে মনে করি।’ গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), আইএসপিএবি, বাক্কো, ই-ক্যাব ও ব্যাসিস এ ৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলন তিনি একথা বলেন।

ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার আরও বলেন, ‘ল্যাপটপ ও কম্পিউটার আমদানিতে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করার আবেদন করছি। ল্যাপটপ এখন বিলাসী পণ্য নয় বরং এটি প্রয়োজনীয় পণ্য। এছাড়া প্রিন্টার আমদানিতে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে এর ফলে আগামী অর্থ বছরে প্রিন্টার, কার্টিজ ও টোনারের দাম বাড়বে। তাই রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে আইসিটি খাতকে সুদৃঢ় করতে অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহার করা এখন সময়ের দাবি।’

আইএসপিএবির সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘গত ৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে প্রধানমন্ত্রী আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সব সেবাকে আইটিইএস সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে বাস্তবায়ন না করায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উপরন্তু এনবিআর ১০ শতাংশ ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে। এই ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম বাড়বে। এছাড়া অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল আমদানি ও ইন্টারনেট পণ্যতে ভ্যাট বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ভ্যাট ০ শতাংশ করা আমাদের দাবির বিষয়টি বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রী ও এনবিআর চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ‘ই-কমার্স খাতে ভ্যাট ৫ শতাংশ হ্রাস করায় এনবিআরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ই-কমার্স সব আইটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাই বাংলাদেশে ই-কমার্সকে প্রসারিত করতে ইন্টারনেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর আহ্বান করছি।’

বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল আউটসোর্সিংয়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট কমানোর কিন্তু তা করা হয়নি। আউটসোর্সিংয়ে ভ্যাট আরোপের ফলে বাংলাদেশে আউটসোর্সিং খাত বড় হচ্ছে না। আইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ২৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয় যার ফলে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে না তাই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমান ভ্যাট করার দাবি জানাচ্ছি আইটি প্রতিষ্ঠানের।’

সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ৫টি সংগঠনের মহাসচিব, পরিচালক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।