৯৯৯-এ ৪ বার ফোন দিয়েও মেলেনি পুলিশের সহযোগিতা

একজন বিধবার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখল করলেও পুলিশ প্রশাসনের কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। ৪ বার ৯৯৯ এ ফোন করেও কোন প্রতিকার তো পানইনি উল্টো জবরদখলকারীদের দিয়ে পাল্টা একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সদর থানায়। ভূমিদস্যু মোফাজ্জল সরকার এই জায়গার মালিক না হয়েও সন্ত্রাসী স্টাইলে সবজি ক্ষেতি ও ফলজবৃক্ষ নিধন করে মাঠ পুরোপুরি পরিষ্কার করে ফেলেছে তার সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বিধবা পরিবারটি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করছে। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৬টার সময়। পিতৃহারা পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে ভূমি দস্যু মোফাজ্জল সরকার ও সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে।

মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, পাঁচঘড়িয়াকান্দির ভূমিদস্যু মোফাজ্জল সরকার (৬০) পিতা মৃত আব্দুস সাত্তার সরকার এর নেতৃত্বে ১০-১৫জন সন্ত্রাসীদল সকাল সাড়ে ৬টার সময় কাচি, কোদাল, কুড়াল, খুন্তি নিয়ে সকল সবজি বাগানের সকল গাছ কেটে সাবার করে ফেলে। এখন সবজি বাগনটি শুধুই একটি মাঠে পরিণত করেছে। সৃজিত ও রক্ষিত আম, কাঠাল, লিচু কলাম কাটা ধরন্ত ১০০টি ফলজ গাছ, বেগুন, ধোন্দল, ঢেড়স, পুইশাক কেটে ফেলেছে ভূমিদস্যু মোফাজ্জল সরকার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। সিমেন্টের খুটি ও টিন দিয়ে তৈরী সীমানা বেড়াও লুটে নেয় এই বাহিনী। খুন, জখম ও প্রাণ নাশেরও হুমকি দেয় ভূমিদস্যু মোফাজ্জল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।

এডভোকেট সালমা জানান, ভূমিদস্যু মোফাজ্জল সরকার তার সন্ত্রাসী বাহিনী বিধবা মনোয়ারার কৃয়কৃত এই সম্পত্তির সবজি বাগান ও ফলজবৃক্ষ কেটে ফেলা ও সিমেন্টের খাম ও টিনের ভাউন্ডারীর তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয় আমাকে জায়গার মালিক বিধবা মনোয়ারা বেগম জানায়। পরবর্তীতে মনোয়ারাও ৯৯৯ এ ফোন দেন এবং এডভোটেক সালমা বেগমও ৯৯৯ এ ৬.৪৫ মি ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান, ৯৯৯ এর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার মনোয়ারা বেগমকে থানায় যেতে বলেন, সাথে সাথে থানায় যান কিন্তু ডিউটি অফিসার বলেছেন অফিসার ঘুমাচ্ছেন। পুলিশ যখন বিষয়টির গুরুত্ব দিচ্ছে না তখন পুনরায় ৭.০৫ মি ৯৯৯ এ ফোন দেয়া হয়। ৯৯৯ এর অফিসার পুলিশ যাচ্ছে বললেও কেউ না যাওয়ায় ৭.০৮ মি আবার ফোন দেয়া হয়।

১০.০৪ মি এসপিকে জানান তিনি, ১০.১৪ মি সদর থানা ওসিকে জানান তিনি। এত কিছু করার পরেও পুলিশ প্রশাসন রহস্যজনক কারণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দিয়ে পরের দিন ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং এসআই সজিবুল জানান, দুটি অভিযোগ পেয়েছেন থানায় উভয় পক্ষকেই দিন ধার্য্য করে কাগজপত্র নিয়ে বসে ফায়সালা করার প্রস্তাব দেয়।

এডভোকেট সালমা জানান, মনোয়ারা বেগম থানায় আগে অভিযোগ করেছে মোফাজ্জল সরকার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীতে জবর দখল করলো তাহলে তারা কিভাবে এবং কখন অভিযোগ দিলো? জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে থানায় শালিস বৈঠক করার বিষয়ে হাইকোর্টের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও থানায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিভাবে থানায় মিমাংসা হবে? তিনি বলেন, সদর থানার ওসিকেও এ বিষয়টি বলার পরে তিনি বলেন, আপনার কথায় কষ্ট পেলাম।

এ বিষয়ে মোফাজ্জলের সেলফোনে (০১৮১২৬৯৯৮৬৮) একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে এস.আই সজিবুল জানান, এই জমিতে কিছুই ছিল না। কোন ফসল ছিলনা গাছ গাছালিও ছিল না। একটা মাঠ ছাড়া কিছুই নেই। তবে দুটি অভিযোগের কপিই তার কাছে আছে। একটি দিন ধার্য্য করে থানায় উভয় পক্ষকে বসিয়ে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে কাগজপত্র দেখে সমাধান করা হবে।

বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ , ১ আষাড় ১৪২৮ ১৫ জিলকদ ১৪৪৩

৪ লাখ টাকার সবজি খেত দখল

৯৯৯-এ ৪ বার ফোন দিয়েও মেলেনি পুলিশের সহযোগিতা

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

একজন বিধবার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখল করলেও পুলিশ প্রশাসনের কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। ৪ বার ৯৯৯ এ ফোন করেও কোন প্রতিকার তো পানইনি উল্টো জবরদখলকারীদের দিয়ে পাল্টা একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সদর থানায়। ভূমিদস্যু মোফাজ্জল সরকার এই জায়গার মালিক না হয়েও সন্ত্রাসী স্টাইলে সবজি ক্ষেতি ও ফলজবৃক্ষ নিধন করে মাঠ পুরোপুরি পরিষ্কার করে ফেলেছে তার সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বিধবা পরিবারটি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করছে। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৬টার সময়। পিতৃহারা পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে ভূমি দস্যু মোফাজ্জল সরকার ও সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে।

মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, পাঁচঘড়িয়াকান্দির ভূমিদস্যু মোফাজ্জল সরকার (৬০) পিতা মৃত আব্দুস সাত্তার সরকার এর নেতৃত্বে ১০-১৫জন সন্ত্রাসীদল সকাল সাড়ে ৬টার সময় কাচি, কোদাল, কুড়াল, খুন্তি নিয়ে সকল সবজি বাগানের সকল গাছ কেটে সাবার করে ফেলে। এখন সবজি বাগনটি শুধুই একটি মাঠে পরিণত করেছে। সৃজিত ও রক্ষিত আম, কাঠাল, লিচু কলাম কাটা ধরন্ত ১০০টি ফলজ গাছ, বেগুন, ধোন্দল, ঢেড়স, পুইশাক কেটে ফেলেছে ভূমিদস্যু মোফাজ্জল সরকার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। সিমেন্টের খুটি ও টিন দিয়ে তৈরী সীমানা বেড়াও লুটে নেয় এই বাহিনী। খুন, জখম ও প্রাণ নাশেরও হুমকি দেয় ভূমিদস্যু মোফাজ্জল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।

এডভোকেট সালমা জানান, ভূমিদস্যু মোফাজ্জল সরকার তার সন্ত্রাসী বাহিনী বিধবা মনোয়ারার কৃয়কৃত এই সম্পত্তির সবজি বাগান ও ফলজবৃক্ষ কেটে ফেলা ও সিমেন্টের খাম ও টিনের ভাউন্ডারীর তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয় আমাকে জায়গার মালিক বিধবা মনোয়ারা বেগম জানায়। পরবর্তীতে মনোয়ারাও ৯৯৯ এ ফোন দেন এবং এডভোটেক সালমা বেগমও ৯৯৯ এ ৬.৪৫ মি ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান, ৯৯৯ এর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার মনোয়ারা বেগমকে থানায় যেতে বলেন, সাথে সাথে থানায় যান কিন্তু ডিউটি অফিসার বলেছেন অফিসার ঘুমাচ্ছেন। পুলিশ যখন বিষয়টির গুরুত্ব দিচ্ছে না তখন পুনরায় ৭.০৫ মি ৯৯৯ এ ফোন দেয়া হয়। ৯৯৯ এর অফিসার পুলিশ যাচ্ছে বললেও কেউ না যাওয়ায় ৭.০৮ মি আবার ফোন দেয়া হয়।

১০.০৪ মি এসপিকে জানান তিনি, ১০.১৪ মি সদর থানা ওসিকে জানান তিনি। এত কিছু করার পরেও পুলিশ প্রশাসন রহস্যজনক কারণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দিয়ে পরের দিন ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং এসআই সজিবুল জানান, দুটি অভিযোগ পেয়েছেন থানায় উভয় পক্ষকেই দিন ধার্য্য করে কাগজপত্র নিয়ে বসে ফায়সালা করার প্রস্তাব দেয়।

এডভোকেট সালমা জানান, মনোয়ারা বেগম থানায় আগে অভিযোগ করেছে মোফাজ্জল সরকার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীতে জবর দখল করলো তাহলে তারা কিভাবে এবং কখন অভিযোগ দিলো? জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে থানায় শালিস বৈঠক করার বিষয়ে হাইকোর্টের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও থানায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিভাবে থানায় মিমাংসা হবে? তিনি বলেন, সদর থানার ওসিকেও এ বিষয়টি বলার পরে তিনি বলেন, আপনার কথায় কষ্ট পেলাম।

এ বিষয়ে মোফাজ্জলের সেলফোনে (০১৮১২৬৯৯৮৬৮) একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে এস.আই সজিবুল জানান, এই জমিতে কিছুই ছিল না। কোন ফসল ছিলনা গাছ গাছালিও ছিল না। একটা মাঠ ছাড়া কিছুই নেই। তবে দুটি অভিযোগের কপিই তার কাছে আছে। একটি দিন ধার্য্য করে থানায় উভয় পক্ষকে বসিয়ে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে কাগজপত্র দেখে সমাধান করা হবে।