গুরুদাসপুরে প্রস্তুত চাহিদার চেয়ে অর্ধলক্ষ উদ্বৃত্ত কোরবানির পশু

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য ৮৫ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করছেন খামারিরা। উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার ৬৫২ টি। চাহিদার চেয়ে সাড়ে ৪৮ হাজার উদ্বৃত্ত্ব পশু বাইরে বিক্রি করতে পারবেন খামারিরা।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহের জরিপে উপজেলায় ২ হাজার ৩৫৬ জন খামারি ৮৪ হাজার ১০০ কোরবানির পশুর মধ্যে গরু ২৮ হাজার ২৪৯ টি, মহিষ ৬৮৭, ছাগল ৫০ হাজার ৬১০ ও ৫ হাজার ৫৪৬ টি ভেড়া সামনের ঈদুল আযহার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করছেন। এসব পশুর বাজারমূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

উপজেলার খুবজিপুর এলাকার খামারি তানজির রহমান তনু বলেন, তিনি আসন্ন কোরবানির জন্যে ১৬টি গরু প্রস্তুত করছেন। বাজারে চাউলের চেয়ে গবাদি পশুর খাদ্যের দাম বেশী। এছাড়া লেবারসহ অন্যান্য খামার ব্যবস্থাপনার খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। বর্তমানে গরুর বাজারমূল্য মোটামুটি, আশা করছি আরও বাড়বে। তবে বাজারমূল্য কমে গেলে লোকসান গুনতে হবে।

উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কোরবানির দিন এগিয়ে আসার সাথে সাথে বানিজ্যিক খামার ও পশুর সংখ্যাও বাড়বে। বাজারে সব ধরনের গো খাদ্যের দাম বেড়েছে।

তাই কৃষক ও খামারিদের গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর ওপড় জোড় দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির পশুর দামও বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।

বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ , ১ আষাড় ১৪২৮ ১৫ জিলকদ ১৪৪৩

গুরুদাসপুরে প্রস্তুত চাহিদার চেয়ে অর্ধলক্ষ উদ্বৃত্ত কোরবানির পশু

প্রতিনিধি, গুরুদাসপুর (নাটোর)

image

গুরুদাসপুর (নাটোর) : খামারে কোরবানির গরু -সংবাদ

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য ৮৫ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করছেন খামারিরা। উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার ৬৫২ টি। চাহিদার চেয়ে সাড়ে ৪৮ হাজার উদ্বৃত্ত্ব পশু বাইরে বিক্রি করতে পারবেন খামারিরা।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহের জরিপে উপজেলায় ২ হাজার ৩৫৬ জন খামারি ৮৪ হাজার ১০০ কোরবানির পশুর মধ্যে গরু ২৮ হাজার ২৪৯ টি, মহিষ ৬৮৭, ছাগল ৫০ হাজার ৬১০ ও ৫ হাজার ৫৪৬ টি ভেড়া সামনের ঈদুল আযহার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করছেন। এসব পশুর বাজারমূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

উপজেলার খুবজিপুর এলাকার খামারি তানজির রহমান তনু বলেন, তিনি আসন্ন কোরবানির জন্যে ১৬টি গরু প্রস্তুত করছেন। বাজারে চাউলের চেয়ে গবাদি পশুর খাদ্যের দাম বেশী। এছাড়া লেবারসহ অন্যান্য খামার ব্যবস্থাপনার খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। বর্তমানে গরুর বাজারমূল্য মোটামুটি, আশা করছি আরও বাড়বে। তবে বাজারমূল্য কমে গেলে লোকসান গুনতে হবে।

উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কোরবানির দিন এগিয়ে আসার সাথে সাথে বানিজ্যিক খামার ও পশুর সংখ্যাও বাড়বে। বাজারে সব ধরনের গো খাদ্যের দাম বেড়েছে।

তাই কৃষক ও খামারিদের গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর ওপড় জোড় দিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির পশুর দামও বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।