নর্দমা আর কর্দমাক্ত রাস্তা দুর্ভোগে হাজারো গ্রামবাসী

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১ নম্বর গাজীপুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামে রাস্তা নর্দমা আর কাঁদামাক্ত হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীর। জানা যায়, এই গ্রামের প্রধানতম রাস্তায়ই কাঁচা। দীর্ঘ দিনেও রাস্তাটি উন্নয়ন করা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদামাক্ত একাকার হয়ে যায় মাটির রাস্তা। এ কারণে ভোগান্তিতে রয়েছে ওই গ্রামের হাজারো মানুষ।

পাকারাস্তা না থাকায় জন বসতির শুরু থেকে অদ্যবধি মাটির রাস্তায় চলাচল করছেন তারা। বর্ষায় তা একেবারেই চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে।

কাঁচা রাস্তা পাকা করে চলাচল যোগ্য করে তোলার প্রত্যাশা স্থানীয়দের। সিএনজি চালক শুকুর আলী বলেন, শুকনো মৌসুমে কাঁচা রাস্তায় যাতায়াত করা যায় । অনেক কষ্টে ভা ঙ্গাচুরা রাস্তায় যাতায়াত করে এলাকার মানুষ। বর্ষা শুরু হলে যাতায়াত সমস্যা শুরু হয়। সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁদামাক্ত একাকার হয়ে যাতায়াত অযোগ্য হয়ে পরে রাস্তাগুলো। স্থানীয় হুমায়ুন কবির বলেন, দীর্ঘ দিনেও রাস্তা উন্নয়ন বা সংস্কার করা হয়নি। বৃষ্টি হলেই রাস্তার দূরাবস্থা হয়ে পড়ে। রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে মানুষ চলাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই গ্রামের মানুষদের। রাস্তার বেহাল দশার কারণে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চরম কষ্টে প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। এ যেন ভোগান্তির শেষ নেই! রাস্তাটি উন্নয়ন বা সংস্কার হলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ চলাচলের পথ সুগম হবে। ১ নম্বর গাজীপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্মল দেব বলেন, রাস্তার কাজে আবেদন জমা দেয়া আছে। বরাদ্দ এলেই রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা হবে।

বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ , ১ আষাড় ১৪২৮ ১৫ জিলকদ ১৪৪৩

নর্দমা আর কর্দমাক্ত রাস্তা দুর্ভোগে হাজারো গ্রামবাসী

প্রতিনিধি, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ)

image

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : আলীনগর গ্রামের কাঁচা রাস্তায় বৃষ্টির পানিতে কাদা -সংবাদ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১ নম্বর গাজীপুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামে রাস্তা নর্দমা আর কাঁদামাক্ত হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীর। জানা যায়, এই গ্রামের প্রধানতম রাস্তায়ই কাঁচা। দীর্ঘ দিনেও রাস্তাটি উন্নয়ন করা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদামাক্ত একাকার হয়ে যায় মাটির রাস্তা। এ কারণে ভোগান্তিতে রয়েছে ওই গ্রামের হাজারো মানুষ।

পাকারাস্তা না থাকায় জন বসতির শুরু থেকে অদ্যবধি মাটির রাস্তায় চলাচল করছেন তারা। বর্ষায় তা একেবারেই চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে।

কাঁচা রাস্তা পাকা করে চলাচল যোগ্য করে তোলার প্রত্যাশা স্থানীয়দের। সিএনজি চালক শুকুর আলী বলেন, শুকনো মৌসুমে কাঁচা রাস্তায় যাতায়াত করা যায় । অনেক কষ্টে ভা ঙ্গাচুরা রাস্তায় যাতায়াত করে এলাকার মানুষ। বর্ষা শুরু হলে যাতায়াত সমস্যা শুরু হয়। সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁদামাক্ত একাকার হয়ে যাতায়াত অযোগ্য হয়ে পরে রাস্তাগুলো। স্থানীয় হুমায়ুন কবির বলেন, দীর্ঘ দিনেও রাস্তা উন্নয়ন বা সংস্কার করা হয়নি। বৃষ্টি হলেই রাস্তার দূরাবস্থা হয়ে পড়ে। রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে মানুষ চলাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই গ্রামের মানুষদের। রাস্তার বেহাল দশার কারণে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চরম কষ্টে প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। এ যেন ভোগান্তির শেষ নেই! রাস্তাটি উন্নয়ন বা সংস্কার হলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ চলাচলের পথ সুগম হবে। ১ নম্বর গাজীপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্মল দেব বলেন, রাস্তার কাজে আবেদন জমা দেয়া আছে। বরাদ্দ এলেই রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা হবে।