কিশোরগঞ্জে মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন বয়কট

কিশোরগঞ্জে অবৈধ ভোটার তালিকা, অবৈধ সাধারণ সভাসহ পাতানো নির্বাচনের অভিযোগ এনে আসন্ন মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন বয়কট করে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়নের ১৪ বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এবিএম সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা। আগামী ১৮ জুন শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। গত সোমবার দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নেতারা কয়েকজন প্রার্থীর কাছে ইউনিয়নের ৬১ লাখ ৭১ হাজার ৮শ’ টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, গঠনতন্ত্রের বিধান মতে খেলাপী ঋণ নিয়ে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। এছাড়া ৩ হাজার ৪শ’ ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৩৬০ জন অবৈধ। গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৪ অনুসারে কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত মোটর মালিকদের অধীনে কর্মরত ১৮ বছর বা তদুর্ধ বয়সের যে কোন শ্রমিক সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ৫৫ (ক) ফরমে আবেদন করতে হবে। কিন্তু এই ফরম পূরণ না করে সিএনজি, মোটরসাইকেলের লাইসেন্সধারী এবং পান দোকানদারদেরও সদস্য এবং ভোটার করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছে ২৪ এর ‘খ’ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ইউনিয়ন থেকে ঋণ গ্রহিতা কোন কর্মকর্তা বা সদস্য ঋণ পরিশোধ না করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। অথচ সভাপতি পদপ্রার্থী বর্তমান সভাপতি কায়সার আহম্মেদ কাইয়ুমের কাছে ঋণ পাওনা রয়েছে ১৩ লাখ ৭২ হাজার ১২০ টাকা। কার্যকরী সভাপতি পদপ্রার্থী বর্তমান কার্যকরী সভাপতি আবুল কালামের কাছে ঋণ পাওনা রয়েছে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৭শ’ টাকা। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামের কাছে ঋণ পাওনা রয়েছে ১৭ লাখ ৪ হাজার ৫৯০ টাকা। এরকম ১০ জন প্রার্থীর কাছে মোট ৬১ লাখ ৭১ হাজার ৮শ’ টাকা অপরিশোধিত ঋণ রয়েছে। এসব কারণে বর্তমান কমিটিরই কেউ কেউ নির্বাচন করছেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে আসন্ন নির্বাচন প্রতিহত করার কর্মসূচী নেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান কমিটির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রচার সম্পাদক দীন ইসলাম ছাড়াও আলী আকবর, হারিছ মিয়া ও আকরামুল হকসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতা।

এদিকে আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী বর্তমান সভাপতি কায়সার আহম্মেদ কাইয়ুমকে ঋণ খেলাপির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, তারা সবাই সমুদয় ঋণ পরিশোধ করেছেন। এ বিষয়ে অডিট হয়েছে।

সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেই শ্রম দপ্তর থেকে নির্বাচনের অনুমতি দিয়েছে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ভুয়া ভোটারের অভিযোগ খ-ন করে তিনি বলেন, যারা ভোটার হয়েছেন, তারা বৈধভাবেই ভোটার হয়েছেন।

বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ , ১ আষাড় ১৪২৮ ১৫ জিলকদ ১৪৪৩

কিশোরগঞ্জে মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন বয়কট

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে অবৈধ ভোটার তালিকা, অবৈধ সাধারণ সভাসহ পাতানো নির্বাচনের অভিযোগ এনে আসন্ন মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন বয়কট করে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়নের ১৪ বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এবিএম সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা। আগামী ১৮ জুন শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। গত সোমবার দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নেতারা কয়েকজন প্রার্থীর কাছে ইউনিয়নের ৬১ লাখ ৭১ হাজার ৮শ’ টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, গঠনতন্ত্রের বিধান মতে খেলাপী ঋণ নিয়ে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। এছাড়া ৩ হাজার ৪শ’ ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৩৬০ জন অবৈধ। গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৪ অনুসারে কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত মোটর মালিকদের অধীনে কর্মরত ১৮ বছর বা তদুর্ধ বয়সের যে কোন শ্রমিক সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ৫৫ (ক) ফরমে আবেদন করতে হবে। কিন্তু এই ফরম পূরণ না করে সিএনজি, মোটরসাইকেলের লাইসেন্সধারী এবং পান দোকানদারদেরও সদস্য এবং ভোটার করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছে ২৪ এর ‘খ’ ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ইউনিয়ন থেকে ঋণ গ্রহিতা কোন কর্মকর্তা বা সদস্য ঋণ পরিশোধ না করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। অথচ সভাপতি পদপ্রার্থী বর্তমান সভাপতি কায়সার আহম্মেদ কাইয়ুমের কাছে ঋণ পাওনা রয়েছে ১৩ লাখ ৭২ হাজার ১২০ টাকা। কার্যকরী সভাপতি পদপ্রার্থী বর্তমান কার্যকরী সভাপতি আবুল কালামের কাছে ঋণ পাওনা রয়েছে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৭শ’ টাকা। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামের কাছে ঋণ পাওনা রয়েছে ১৭ লাখ ৪ হাজার ৫৯০ টাকা। এরকম ১০ জন প্রার্থীর কাছে মোট ৬১ লাখ ৭১ হাজার ৮শ’ টাকা অপরিশোধিত ঋণ রয়েছে। এসব কারণে বর্তমান কমিটিরই কেউ কেউ নির্বাচন করছেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে আসন্ন নির্বাচন প্রতিহত করার কর্মসূচী নেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান কমিটির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রচার সম্পাদক দীন ইসলাম ছাড়াও আলী আকবর, হারিছ মিয়া ও আকরামুল হকসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতা।

এদিকে আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী বর্তমান সভাপতি কায়সার আহম্মেদ কাইয়ুমকে ঋণ খেলাপির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, তারা সবাই সমুদয় ঋণ পরিশোধ করেছেন। এ বিষয়ে অডিট হয়েছে।

সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেই শ্রম দপ্তর থেকে নির্বাচনের অনুমতি দিয়েছে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ভুয়া ভোটারের অভিযোগ খ-ন করে তিনি বলেন, যারা ভোটার হয়েছেন, তারা বৈধভাবেই ভোটার হয়েছেন।