‘পদ্মা সেতু জাদুঘর’ সংরক্ষিত থাকবে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত উপকরণ, যন্ত্রাংশ

পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে তৈরি করা হয়েছে ‘পদ্মা সেতু জাদুঘর’। মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১ এর এই জাদুঘরটি তৈরি করা হবে। জাদুঘরে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ছবি, ভিডিও ও নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত উপকরণ, যন্ত্রাংশ সংরক্ষণ করা হবে।

এছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যায়ের সবার সঙ্গে গ্রুপ ছবি তোলার ইচ্ছে পোষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ছবিও জাদুঘরে সংরক্ষণ থাকবে। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে নির্মাণ করা হবে জাদুঘর। সেসব ছবি ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যবহৃত উপকরণ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম। বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে অনেক কথা বলেছেন। তিনি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন সব শ্রমিকের সঙ্গে ছবি তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সাধারণ শ্রমিক থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীও বাদ পড়বেন না। গ্রুপ ছবি হিসেবে এগুলো মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকবে। ওই মিউজিয়ামে প্রকল্পে ব্যবহৃত উপকরণ, যন্ত্রাংশ এমনকি একটি কোদালও সংরক্ষিত থাকবে।’

আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ জনপদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে দেশের ৬৪ জেলায় উৎসবের আয়োজন চলছে। এই সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাসস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ছবি ও ভিডিও এবং ওই এলাকার জীববৈচিত্র্য জাদুঘরে সংরক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এই জাদুঘরটি মূলত সার্ভিস এরিয়া-১ এ এটা মাওয়া প্রান্তে নির্মাণ করব। জাদুঘরের নাম হবে ‘পদ্মা সেতু জাদুঘর। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে।’

বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ , ১ আষাড় ১৪২৮ ১৫ জিলকদ ১৪৪৩

‘পদ্মা সেতু জাদুঘর’ সংরক্ষিত থাকবে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত উপকরণ, যন্ত্রাংশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে তৈরি করা হয়েছে ‘পদ্মা সেতু জাদুঘর’। মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১ এর এই জাদুঘরটি তৈরি করা হবে। জাদুঘরে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ছবি, ভিডিও ও নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত উপকরণ, যন্ত্রাংশ সংরক্ষণ করা হবে।

এছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যায়ের সবার সঙ্গে গ্রুপ ছবি তোলার ইচ্ছে পোষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ছবিও জাদুঘরে সংরক্ষণ থাকবে। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে নির্মাণ করা হবে জাদুঘর। সেসব ছবি ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যবহৃত উপকরণ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম। বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে অনেক কথা বলেছেন। তিনি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন সব শ্রমিকের সঙ্গে ছবি তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সাধারণ শ্রমিক থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীও বাদ পড়বেন না। গ্রুপ ছবি হিসেবে এগুলো মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকবে। ওই মিউজিয়ামে প্রকল্পে ব্যবহৃত উপকরণ, যন্ত্রাংশ এমনকি একটি কোদালও সংরক্ষিত থাকবে।’

আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ জনপদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে দেশের ৬৪ জেলায় উৎসবের আয়োজন চলছে। এই সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাসস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ছবি ও ভিডিও এবং ওই এলাকার জীববৈচিত্র্য জাদুঘরে সংরক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এই জাদুঘরটি মূলত সার্ভিস এরিয়া-১ এ এটা মাওয়া প্রান্তে নির্মাণ করব। জাদুঘরের নাম হবে ‘পদ্মা সেতু জাদুঘর। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে।’