জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার

প্রতিমন্ত্রী বললেন, দাম সমন্বয়ের কথা

সরকার আবারও জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। গতকাল রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেভাবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বাড়ছে সেটা খুব অস্বাভাবিক। আমাদের চিন্তা করতে হবে এই অবস্থা কতদিন চলবে। বিপিসি প্রতিদিন শতকোটি টাকা লোকসান গুনছে।’

জ্বালানির মূল্য সমন্বয় নিয়ে কাজ চলছে, তবে এখনও কিছু নির্ধারিত হয়নি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী বিপু। তিনি বলেন, ‘দাম পরিবর্তন করবো কি না কোথায় সমন্বয় করবো বা আদৌ করবো কি না এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করছি।’

গত ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এ মাসের শুরুতেই গ্যাসের দাম প্রায় ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এদিকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতিও চলছে। এদিকে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেন। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগামী অর্থবছরে জ্বালানি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, সার ও বিদ্যুৎ খাতে সরকারের যে ঘাটতি হবে, তা আমরা মূল্য বাড়িয়ে শতভাগ চাপিয়ে দেব না।’

এদিকে গতকাল বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই) আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘লোকসানের দায় কে নেবে? আমাদের গ্রাহকরা আছেন, যারা জ্বালানি পরিবহন করেন তাদের ওপর কোন চাপ পড়ুক তাও আমরা চাই না। আমরা চাই সমন্বয় করতে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) প্রতিদিন শতকোটি টাকা লোকসান গুনছে। আমরা আসলে কত এই লোকসান করবো?’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট করে। বাড়লে বাড়ায়, কমলে কমায়। আমার এই মুহূর্তে সেদিকে যাব কি না সেটা চিন্তার বিষয়। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে ভারতের সঙ্গে এখন আমাদের তেলের দামের অর্ধেক পার্থক্য তৈরি হয়ে গেছে। সে তুলনায় এখনও আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় আছি। আমরা কতটা বাড়াব সে জায়গাটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। যাত্রীদের ওপর কী ইফেক্ট হবে, পরিবহনে কী ইফেক্ট পড়বে সব আমাদের ভাবতে হচ্ছে।’

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ বলছে, এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম অনেক কম। জানা গেছে, ভারতে এখন ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায় (ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ৯২ টাকা ধরে)। একইভাবে পাকিস্তানে ৯৪ টাকা, নেপালে ১১৩ টাকা। ডিজেলের দাম সবচেয়ে বেশি এখন হংকংয়ে, প্রতি লিটার ২০৫ দশমিক ৫২ টাকা।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বিপু বলেন, সরকার চায় দক্ষিণাঞ্চলে মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করতে। পায়রা বন্দর শুধু একটা বন্দর নয়, পায়রা কেন্দ্র করে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। ওই অঞ্চলের চেহারা বদলে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের জন্য সারাদেশে কানেকটিভিটি দরকার। সারাদেশে কানেকটিভিটি করতে কাজ করে যাচ্ছি। পদ্মা সেতু দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ভোলার গ্যাস কীভাবে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী নেয়া যায় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, বিপিএমআই রেক্টর মো. মহসিন চৌধুরী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক সদস্য প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম।

গ্যাসের বর্তমান মজুদ ৯.৩০ টিসিএফ : সংসদে প্রতিমন্ত্রী

২০২২ সালের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী দেশে গ্যাসের মজুদ রয়েছে ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। গতকাল জাতীয় সংসদে নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুদের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। শুরু থেকে গত ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন গ্যাস উত্তোলনের পরে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মজুদের পরিমাণ ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।

সরকারি দলের সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রে দৈনিক গড়ে দুই হাজার ৩০৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে আটটি গ্রাহক শ্রেণীর অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী দৈনিক চাহিদা ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উৎপাদন কম হওয়ায় দৈনিক প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সরকারি দলের সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমানে উৎপাদনরত ২০টি গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস কূপের সংখ্যা ১০৭টি। সর্বশেষ আবিষ্কৃত জকিগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদ ৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ঘনফুট।’

বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ , ১ আষাড় ১৪২৮ ১৫ জিলকদ ১৪৪৩

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার

প্রতিমন্ত্রী বললেন, দাম সমন্বয়ের কথা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরকার আবারও জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। গতকাল রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেভাবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বাড়ছে সেটা খুব অস্বাভাবিক। আমাদের চিন্তা করতে হবে এই অবস্থা কতদিন চলবে। বিপিসি প্রতিদিন শতকোটি টাকা লোকসান গুনছে।’

জ্বালানির মূল্য সমন্বয় নিয়ে কাজ চলছে, তবে এখনও কিছু নির্ধারিত হয়নি বলে জানান প্রতিমন্ত্রী বিপু। তিনি বলেন, ‘দাম পরিবর্তন করবো কি না কোথায় সমন্বয় করবো বা আদৌ করবো কি না এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করছি।’

গত ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এ মাসের শুরুতেই গ্যাসের দাম প্রায় ২৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এদিকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতিও চলছে। এদিকে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেন। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগামী অর্থবছরে জ্বালানি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, সার ও বিদ্যুৎ খাতে সরকারের যে ঘাটতি হবে, তা আমরা মূল্য বাড়িয়ে শতভাগ চাপিয়ে দেব না।’

এদিকে গতকাল বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই) আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘লোকসানের দায় কে নেবে? আমাদের গ্রাহকরা আছেন, যারা জ্বালানি পরিবহন করেন তাদের ওপর কোন চাপ পড়ুক তাও আমরা চাই না। আমরা চাই সমন্বয় করতে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) প্রতিদিন শতকোটি টাকা লোকসান গুনছে। আমরা আসলে কত এই লোকসান করবো?’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট করে। বাড়লে বাড়ায়, কমলে কমায়। আমার এই মুহূর্তে সেদিকে যাব কি না সেটা চিন্তার বিষয়। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে ভারতের সঙ্গে এখন আমাদের তেলের দামের অর্ধেক পার্থক্য তৈরি হয়ে গেছে। সে তুলনায় এখনও আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় আছি। আমরা কতটা বাড়াব সে জায়গাটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। যাত্রীদের ওপর কী ইফেক্ট হবে, পরিবহনে কী ইফেক্ট পড়বে সব আমাদের ভাবতে হচ্ছে।’

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ বলছে, এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম অনেক কম। জানা গেছে, ভারতে এখন ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায় (ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ৯২ টাকা ধরে)। একইভাবে পাকিস্তানে ৯৪ টাকা, নেপালে ১১৩ টাকা। ডিজেলের দাম সবচেয়ে বেশি এখন হংকংয়ে, প্রতি লিটার ২০৫ দশমিক ৫২ টাকা।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বিপু বলেন, সরকার চায় দক্ষিণাঞ্চলে মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করতে। পায়রা বন্দর শুধু একটা বন্দর নয়, পায়রা কেন্দ্র করে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। ওই অঞ্চলের চেহারা বদলে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের জন্য সারাদেশে কানেকটিভিটি দরকার। সারাদেশে কানেকটিভিটি করতে কাজ করে যাচ্ছি। পদ্মা সেতু দিয়ে গ্যাস সঞ্চালন লাইন নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ভোলার গ্যাস কীভাবে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী নেয়া যায় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, বিপিএমআই রেক্টর মো. মহসিন চৌধুরী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক সদস্য প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম।

গ্যাসের বর্তমান মজুদ ৯.৩০ টিসিএফ : সংসদে প্রতিমন্ত্রী

২০২২ সালের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী দেশে গ্যাসের মজুদ রয়েছে ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। গতকাল জাতীয় সংসদে নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুদের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। শুরু থেকে গত ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন গ্যাস উত্তোলনের পরে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মজুদের পরিমাণ ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।

সরকারি দলের সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রে দৈনিক গড়ে দুই হাজার ৩০৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে আটটি গ্রাহক শ্রেণীর অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী দৈনিক চাহিদা ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উৎপাদন কম হওয়ায় দৈনিক প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সরকারি দলের সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমানে উৎপাদনরত ২০টি গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস কূপের সংখ্যা ১০৭টি। সর্বশেষ আবিষ্কৃত জকিগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদ ৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ঘনফুট।’