দেশের অন্যতম খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা বলে পরিচিত রংপুরে চালের দাম এখনও কমেনি বরং ভরা মৌসুমে বিভিন্ন জাতের চাল ৪ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে মজুদদার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অঘোষিতভাবে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। একইভাবে রংপুর নগরীতে অনুমোদনহীন অর্ধশতাধিক ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার, রাতারাতি তাদের কাছ থেকে আবেদন নিয়ে অভিযান বন্ধ রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিষয়টি সম্পর্কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আর স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে স্বীকার করলেও লোকবলের অভাবের কথা বলে পাশ কাটিয়ে যাবার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ চালের মোকাম রংপুর সিটি বাজার ও মাহিগজ্ঞ মোকামে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে মোটা ৪০ টাকার চাল কেজিপ্রতি ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি স্বর্ণা চাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন কেজিপ্রতি ৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চাল ৬০ টাকা কেজির চাল কেজিপ্রতি ৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিআর ২৮ চাল ৫৪ টাকা কেজি দরের চাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আড়তদাররা বলছেন দিনাজপুর, নওগাঁসহ অটোমেটিক রাইস মিলের বড় বড় মিলাররা হাজার হাজার বস্তা চাল গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় চালের দাম বেড়েছে। অথচ তারা বড় বড় মিলারদের দায়ী করলেও সিটি বাজার ও মাহিগজ্ঞ মোকামে ব্যবসায়ীদের গুদামে হাজার হাজার বস্তা চাল অবৈধভাবে মজুদ রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন দেশের অন্যতম চালের পাইকারী মোকাম রংপুর নগরীর মাহিগজ্ঞ ও নগরীর বড় চালের আড়ত সিটি বাজার ঘুরে চালের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ১৫ দিন আগে যে চালের দাম ছিল তা রাতারাতি কেন কেজিপ্রতি ৬ থেকে ১০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেল এর কোন সুনির্দৃষ্ট উত্তর কোন আড়তদারই দিতে পারেননি।
এদিকে সরকারের নির্দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ চালের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাহিগজ্ঞে ২/৩টি ব্যবসায়ীর গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে এরপর নগরীর সিটি বাজারে একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করার পর তাদের অভিযান গত এক সপ্তাহ ধরে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এদিকে অভিযানের খবরে চালের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা একটু নড়ে চড়ে বসে অনেকেই তাদের গুদামে রক্ষিত চাল অনত্র সরিয়ে ফেলে। ফলে এখনও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রাখায় চালের দাম কমছে না বলে ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন তাদের কয়েকজন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিতে বাইরে অবস্থান করায় জনবল সংকটের কারণে অভিযান আপাতত একটু কমেছে। অন্যদিকে ভোক্তা অধিকার রংপুরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আপাতত কয়েকদিন ধরে অভিযান বন্ধ রয়েছে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হয় তবে আবারো সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
অভিযান বন্ধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। অন্যদিকে রংপুর নগরীতে দেশের অন্যতম বৃহৎ চিকিৎসাকেন্দ্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ঘিরে নগরীতে গড়ে উঠেছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার যার সংখ্যা দেড় শতাধিক। এর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বাকিদের কোন অনুমোদন নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সব অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে ২৮ মে থেকে অভিযান শুরু করার আদেশ দেয়।
কিন্তু রংপুর জেলা সিভিল সার্জেনের কার্যালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ অমান্য করে তারা অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিকদের কাছে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে অন্তত ৪০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে রাতারাতি আবেদনপত্র নিয়ে সেসব অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানে অভিযান বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে নামকরা বেশ কয়েকটি ডায়গনস্টিক সেন্টারও রয়েছে।
গত ১৫ দিনে রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় ৪/৫টি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায়। কিছু জরিমানা করে। তবে কোন ডায়গনস্টিক সেন্টার সিল গালা করেনি। মাত্র দুটি ক্লিনিক বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
এ ব্যাপারে রংপুর জেলা ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানিয়েছেন রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা রাতারাতি আবেদনপত্র নিয়ে ওই সব অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিষ্কার ঘোষণা ছিল অনুমোদনহীন কোন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না সব সিল গালা করে বন্ধ করে দিতে হবে। শুধু আবেদন করলেই হবে না অনুমোদন থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শামীম আহাম্মেদের সঙ্গে এর আগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হবে। নামকরা ডায়গনস্টিক সেন্টার অনুমোদনহীনভাবে ব্যবসা করছে তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজ দেখতে হবে।
এই কাগজ দেখে বলার জন্য তাকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করননি। গতকাল কয়েকবার তার ফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অবশেষে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. একেএম জাকেরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ পর্যন্ত ৪-৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, কয়েকটি করা হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান যে সব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ , ১ আষাড় ১৪২৮ ১৫ জিলকদ ১৪৪৩
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
দেশের অন্যতম খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা বলে পরিচিত রংপুরে চালের দাম এখনও কমেনি বরং ভরা মৌসুমে বিভিন্ন জাতের চাল ৪ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে মজুদদার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অঘোষিতভাবে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। একইভাবে রংপুর নগরীতে অনুমোদনহীন অর্ধশতাধিক ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার, রাতারাতি তাদের কাছ থেকে আবেদন নিয়ে অভিযান বন্ধ রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিষয়টি সম্পর্কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আর স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে স্বীকার করলেও লোকবলের অভাবের কথা বলে পাশ কাটিয়ে যাবার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ চালের মোকাম রংপুর সিটি বাজার ও মাহিগজ্ঞ মোকামে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে মোটা ৪০ টাকার চাল কেজিপ্রতি ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি স্বর্ণা চাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন কেজিপ্রতি ৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চাল ৬০ টাকা কেজির চাল কেজিপ্রতি ৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিআর ২৮ চাল ৫৪ টাকা কেজি দরের চাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আড়তদাররা বলছেন দিনাজপুর, নওগাঁসহ অটোমেটিক রাইস মিলের বড় বড় মিলাররা হাজার হাজার বস্তা চাল গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় চালের দাম বেড়েছে। অথচ তারা বড় বড় মিলারদের দায়ী করলেও সিটি বাজার ও মাহিগজ্ঞ মোকামে ব্যবসায়ীদের গুদামে হাজার হাজার বস্তা চাল অবৈধভাবে মজুদ রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন দেশের অন্যতম চালের পাইকারী মোকাম রংপুর নগরীর মাহিগজ্ঞ ও নগরীর বড় চালের আড়ত সিটি বাজার ঘুরে চালের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ১৫ দিন আগে যে চালের দাম ছিল তা রাতারাতি কেন কেজিপ্রতি ৬ থেকে ১০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেল এর কোন সুনির্দৃষ্ট উত্তর কোন আড়তদারই দিতে পারেননি।
এদিকে সরকারের নির্দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ চালের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাহিগজ্ঞে ২/৩টি ব্যবসায়ীর গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে এরপর নগরীর সিটি বাজারে একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করার পর তাদের অভিযান গত এক সপ্তাহ ধরে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এদিকে অভিযানের খবরে চালের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা একটু নড়ে চড়ে বসে অনেকেই তাদের গুদামে রক্ষিত চাল অনত্র সরিয়ে ফেলে। ফলে এখনও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রাখায় চালের দাম কমছে না বলে ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন তাদের কয়েকজন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিতে বাইরে অবস্থান করায় জনবল সংকটের কারণে অভিযান আপাতত একটু কমেছে। অন্যদিকে ভোক্তা অধিকার রংপুরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আপাতত কয়েকদিন ধরে অভিযান বন্ধ রয়েছে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হয় তবে আবারো সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
অভিযান বন্ধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। অন্যদিকে রংপুর নগরীতে দেশের অন্যতম বৃহৎ চিকিৎসাকেন্দ্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ঘিরে নগরীতে গড়ে উঠেছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার যার সংখ্যা দেড় শতাধিক। এর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বাকিদের কোন অনুমোদন নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সব অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে ২৮ মে থেকে অভিযান শুরু করার আদেশ দেয়।
কিন্তু রংপুর জেলা সিভিল সার্জেনের কার্যালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ অমান্য করে তারা অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিকদের কাছে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে অন্তত ৪০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে রাতারাতি আবেদনপত্র নিয়ে সেসব অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানে অভিযান বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে নামকরা বেশ কয়েকটি ডায়গনস্টিক সেন্টারও রয়েছে।
গত ১৫ দিনে রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় ৪/৫টি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায়। কিছু জরিমানা করে। তবে কোন ডায়গনস্টিক সেন্টার সিল গালা করেনি। মাত্র দুটি ক্লিনিক বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
এ ব্যাপারে রংপুর জেলা ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানিয়েছেন রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা রাতারাতি আবেদনপত্র নিয়ে ওই সব অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিষ্কার ঘোষণা ছিল অনুমোদনহীন কোন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না সব সিল গালা করে বন্ধ করে দিতে হবে। শুধু আবেদন করলেই হবে না অনুমোদন থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শামীম আহাম্মেদের সঙ্গে এর আগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হবে। নামকরা ডায়গনস্টিক সেন্টার অনুমোদনহীনভাবে ব্যবসা করছে তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজ দেখতে হবে।
এই কাগজ দেখে বলার জন্য তাকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করননি। গতকাল কয়েকবার তার ফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অবশেষে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. একেএম জাকেরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ পর্যন্ত ৪-৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, কয়েকটি করা হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান যে সব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।