নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে সাড়ে ৮ লাখ শিক্ষককে

এক মাসেই সাড়ে আট লাখ শিক্ষককে নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরে সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রাথমিকের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। ডিসেম্বরে এক মাসেই সারাদেশের ৪৬৪ উপজেলার সব শিক্ষক পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ পাবেন।

নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়নের জন্য সবকটি শিক্ষা বোর্ড এবং মাউশি, ডিপিইসহ সব অধিদপ্তরকে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের’ (এনসিটিবি) পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশির অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রাম’ (এসইডিপি) বা মাউশির নিজস্ব তহবিল থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণের অর্থের যোগান দেয়া হচ্ছে। আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) একটি প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যয় বহন করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় আট লাখের বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ করা হবে।’

কখন ও কীভাবে প্রশিক্ষণ শুরু হবে জানতে চাইলে মাউশি পরিচালক বলেন, ‘এসব বিষয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’ এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষক প্রশিক্ষণের তোড়জোড় চললেও নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর ভিত্তি করে ‘বই’ লেখার কাজ এখনও শেষ হয়নি। এর ফলে যথাসময়ে যথাযথভাবে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট এক লাখ ৯ হাজার ৭৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সম স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছ। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৮ হাজার ৯৫০টি কিন্ডারগার্টেন, ১৩ হাজার ২৬৫টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এবং এক হাজার ৮৯৯টি উচ্চবিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

একমাসে ৪৬৪ উপজেলায় প্রশিক্ষণ

শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম সংবাদকে বলেছেন, ‘প্রথমে জেলা পর্যায়ে কোর ট্রেইনার (প্রধান বা প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষক) তৈরি করা হচ্ছে। এরপর উপজেলা পর্যায়ে মাস্টার ট্রেইনার (শিক্ষক প্রশিক্ষক) তৈরি করা হবে। এই মাস্টার ট্রেইনাররাই উপজেলা পর্যায়ে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবেন।’

প্রশিক্ষণের জন্য কোন শিক্ষককেই ঢাকায় কিংবা জেলা সদরে আসতে হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অক্টোবর থেকেই কোর ট্রেইনার ও মাস্টার ট্রেইনার তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। আর ডিসেম্বরে ১৫ দিনের মধ্যেই সব শিক্ষকের প্রশিক্ষণ শেষ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’

নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর মাত্র পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের জন্য যথেষ্ট কি না জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগে যেকোন বিষয়ে শিক্ষকদের তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। আমরা দু’দিন বাড়িয়েছি। এর বেশি সময় প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষকদের ছুটি দিতে চান না প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা বা এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষেই প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যাবে। এতে শিক্ষকদের বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না।’

প্রাথমিকে ১৫শ’ মাস্টার ট্রেইনার

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারাদেশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রাথমিক শিক্ষক নতুন বা পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের ওপর প্রশিক্ষণ পাবে। তাদের প্রশিক্ষণও ডিসেম্বরে হচ্ছে। এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণদানের জন্য উপজেলাওয়ারি ‘মাস্টার ট্রেইনারের’ তালিকা প্রণয়ন করছে। এই মাস্টার ট্রেইনারদের মাধ্যমেই সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ডিপিই।

এ ব্যাপারে এনসিটিবি চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী আগস্টে ৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। এরপর অক্টোবরে ১৫শ’ মাস্টার ট্রেনারের তালিকা তৈরি করব। এই মাস্টার ট্রেইনারদের মাধ্যমেই উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবে ডিপিই। এই প্রশিক্ষণও ডিসেম্বরে হবে।’

মাধ্যমিক স্তরের ৬২টি স্কুলে শুধুমাত্র ‘৬ষ্ঠ শ্রেণীতে’ নতুন শিক্ষাক্রমে পাইলটিং বা পরীক্ষামূলক ক্লাস শুরু হয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি। একই সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক পাঠদান শুরুর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় প্রাথমিকের ‘ট্রাই আউট’ বা পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন পিছিয়ে গেছে।

পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন শেষে ২০২৩ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণীতেও নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান হবে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণী, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে।

সর্বশেষ ২০১২ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনা হয়। এর আগে ১৯৯৫ ও ১৯৭৬ সালে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। সরকার ২০১০ সালে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’ প্রণয়ন করে।

আরও খবর
অটিজম ও বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম ঠেকাতে জিনগত ত্রুটি নির্ণয়ে পরীক্ষা চলছে
ডাকাত দল মাস্টার বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৩০ জেলায়
সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
রোহিঙ্গা সমস্যা আমাদের একক প্রচেষ্টায় স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়
নির্বাচনের সময় ঢাকা থেকে মন্ত্রী-এমপিদের চলে যেতে হবে, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা, পুলিশের এসআই গ্রেপ্তার
আপনি তো ফরিদপুরে ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মূল হোতা
জুরাইনের ঘটনায় যেই অপরাধ করুক, বিচার হবে আপিল বিভাগ
দুর্ধর্ষ আসামি রাসেল, জেল থেকে জামিনে বের হয়ে বন্ধুকে খুন
রাজধানীতে পৃথক স্থান থেকে নারীসহ ৩ জনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি হত্যার মূল হোতাসহ ২ জন গ্রেপ্তার

বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ , ১ আষাড় ১৪২৮ ১৫ জিলকদ ১৪৪৩

নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে সাড়ে ৮ লাখ শিক্ষককে

রাকিব উদ্দিন

এক মাসেই সাড়ে আট লাখ শিক্ষককে নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরে সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রাথমিকের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। ডিসেম্বরে এক মাসেই সারাদেশের ৪৬৪ উপজেলার সব শিক্ষক পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ পাবেন।

নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়নের জন্য সবকটি শিক্ষা বোর্ড এবং মাউশি, ডিপিইসহ সব অধিদপ্তরকে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের’ (এনসিটিবি) পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশির অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রাম’ (এসইডিপি) বা মাউশির নিজস্ব তহবিল থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণের অর্থের যোগান দেয়া হচ্ছে। আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) একটি প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যয় বহন করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় আট লাখের বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ করা হবে।’

কখন ও কীভাবে প্রশিক্ষণ শুরু হবে জানতে চাইলে মাউশি পরিচালক বলেন, ‘এসব বিষয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’ এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষক প্রশিক্ষণের তোড়জোড় চললেও নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর ভিত্তি করে ‘বই’ লেখার কাজ এখনও শেষ হয়নি। এর ফলে যথাসময়ে যথাযথভাবে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট এক লাখ ৯ হাজার ৭৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সম স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছ। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৮ হাজার ৯৫০টি কিন্ডারগার্টেন, ১৩ হাজার ২৬৫টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এবং এক হাজার ৮৯৯টি উচ্চবিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

একমাসে ৪৬৪ উপজেলায় প্রশিক্ষণ

শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম সংবাদকে বলেছেন, ‘প্রথমে জেলা পর্যায়ে কোর ট্রেইনার (প্রধান বা প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষক) তৈরি করা হচ্ছে। এরপর উপজেলা পর্যায়ে মাস্টার ট্রেইনার (শিক্ষক প্রশিক্ষক) তৈরি করা হবে। এই মাস্টার ট্রেইনাররাই উপজেলা পর্যায়ে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবেন।’

প্রশিক্ষণের জন্য কোন শিক্ষককেই ঢাকায় কিংবা জেলা সদরে আসতে হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অক্টোবর থেকেই কোর ট্রেইনার ও মাস্টার ট্রেইনার তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। আর ডিসেম্বরে ১৫ দিনের মধ্যেই সব শিক্ষকের প্রশিক্ষণ শেষ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’

নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর মাত্র পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ শিক্ষকদের জন্য যথেষ্ট কি না জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগে যেকোন বিষয়ে শিক্ষকদের তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। আমরা দু’দিন বাড়িয়েছি। এর বেশি সময় প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষকদের ছুটি দিতে চান না প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা বা এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষেই প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যাবে। এতে শিক্ষকদের বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না।’

প্রাথমিকে ১৫শ’ মাস্টার ট্রেইনার

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারাদেশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রাথমিক শিক্ষক নতুন বা পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের ওপর প্রশিক্ষণ পাবে। তাদের প্রশিক্ষণও ডিসেম্বরে হচ্ছে। এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণদানের জন্য উপজেলাওয়ারি ‘মাস্টার ট্রেইনারের’ তালিকা প্রণয়ন করছে। এই মাস্টার ট্রেইনারদের মাধ্যমেই সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ডিপিই।

এ ব্যাপারে এনসিটিবি চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী আগস্টে ৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। এরপর অক্টোবরে ১৫শ’ মাস্টার ট্রেনারের তালিকা তৈরি করব। এই মাস্টার ট্রেইনারদের মাধ্যমেই উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবে ডিপিই। এই প্রশিক্ষণও ডিসেম্বরে হবে।’

মাধ্যমিক স্তরের ৬২টি স্কুলে শুধুমাত্র ‘৬ষ্ঠ শ্রেণীতে’ নতুন শিক্ষাক্রমে পাইলটিং বা পরীক্ষামূলক ক্লাস শুরু হয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি। একই সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক পাঠদান শুরুর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় প্রাথমিকের ‘ট্রাই আউট’ বা পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন পিছিয়ে গেছে।

পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন শেষে ২০২৩ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণীতেও নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান হবে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণী, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে।

সর্বশেষ ২০১২ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনা হয়। এর আগে ১৯৯৫ ও ১৯৭৬ সালে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। সরকার ২০১০ সালে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’ প্রণয়ন করে।