নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় পুলিশের এসআইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত এসআই মিজানুর রহমান জাবেদ (৩৬) সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামালপুর গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম জেলার আরআরএফে সংযুক্ত রয়েছেন।
গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের ফরাজি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে সুধারাম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে হালিশহর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে সুধারাম থানার বিনোদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় ফাতেমা আক্তার কলির। তারা স্বামী-স্ত্রী এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রামের হালিশহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তার স্বামী বদ মেজাজি হওয়ায় কারণে-অকারণে স্ত্রীকে মারধর করত। এছাড়া তার স্বামীর সঙ্গে তার বন্ধু বাদশার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি তার পিতাকে জানান।
পরে ২৫ মার্চ সকালের দিকে চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগের ৮নং রোড়ের হক সাহেবের বাসায় এসআই স্বামীর প্ররোচনায় ফাতেমা আক্তার কলি (২৫) আত্মহত্যা করে। নিহত কলির নানা আবদুল হক মেম্বার জানান, হাসপাতালের মর্গে থেকে লাশ আনতে গিয়ে দেখি নিহত কলির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় ২৭ মার্চ সকালে নিহতের বাবা আহছান উল্যাহ বাদী হয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও সহায়তার দায়ে স্বামী ও তার বন্ধুসহ ৫ জনকে আসামি করে চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩০।
বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ , ১ আষাড় ১৪২৮ ১৫ জিলকদ ১৪৪৩
প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় পুলিশের এসআইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত এসআই মিজানুর রহমান জাবেদ (৩৬) সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামালপুর গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম জেলার আরআরএফে সংযুক্ত রয়েছেন।
গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের ফরাজি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে সুধারাম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে হালিশহর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে সুধারাম থানার বিনোদপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় ফাতেমা আক্তার কলির। তারা স্বামী-স্ত্রী এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রামের হালিশহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তার স্বামী বদ মেজাজি হওয়ায় কারণে-অকারণে স্ত্রীকে মারধর করত। এছাড়া তার স্বামীর সঙ্গে তার বন্ধু বাদশার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি তার পিতাকে জানান।
পরে ২৫ মার্চ সকালের দিকে চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগের ৮নং রোড়ের হক সাহেবের বাসায় এসআই স্বামীর প্ররোচনায় ফাতেমা আক্তার কলি (২৫) আত্মহত্যা করে। নিহত কলির নানা আবদুল হক মেম্বার জানান, হাসপাতালের মর্গে থেকে লাশ আনতে গিয়ে দেখি নিহত কলির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় ২৭ মার্চ সকালে নিহতের বাবা আহছান উল্যাহ বাদী হয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও সহায়তার দায়ে স্বামী ও তার বন্ধুসহ ৫ জনকে আসামি করে চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩০।