পুলিশের সঙ্গে সখ্য গড়ে সৈয়দপুরে ৩০ স্থানে মাদক ব্যবসা

সৈয়দপুর শহরে ৩০টিরও বেশি স্থানে মাদক কারবারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা জব্দ করলেও বন্ধ হচ্ছে না এর বেচাকেনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে সখ্যের কারণে প্রায় প্রতিদিন আটক, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দন্ড ও জরিমানা করেও থামছে না মাদকের ব্যবহার। অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জনবলের সংকটের দোহাই দিয়ে হাত গুটিয়ে বসে আছে।

জানা যায়, প্রতিদিন শহরের হাতিখানা কবরস্থান, রেললাইন এলাকা, রেলস্টেশন, রসুলপুর, গোলাহাট, মিস্ত্রিপাড়া, মুন্সিপাড়া জোড়াপুকুর, পুরাতন বাবুপাড়া, অফিসার্স কলোনি ডাকবাংলো-সংলগ্ন, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকাসহ বাস টার্মিনাল ও আদানী মোড়ে মাদকের বেচাকেনা হয়। এসবের মধ্যে শহরের ঘোড়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এলাকাটি এখন মাদকপল্লি নামে পরিচিত। কয়েকজন মাদক বিক্রেতা পুলিশের নাকের ডগায় এ এলাকায় গড়ে তুলেছেন।

নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ব্যক্তি জানান, মাদক বিক্রেতারা আগে বসবাস করতেন শহরের রেলস্টেশন-সংলগ্ন সাহেবপাড়া এলাকায়। মাদকের কারবারে জড়িত থাকায় সেখানকার লোকজন তাঁদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে এখন তাঁরা এ এলাকায় আস্তানা গড়েছেন।

হাতিখানা এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক এনামুল হক বলেন, পুলিশ যদি ঠিকভাবে তৎপর হয়, তাহলে সৈয়দপুর শহর সাত দিনের মধ্যে মাদকমুক্ত করা সম্ভব। সবাইকে সামাল দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা তাঁদের কারবার চালিয়ে আসছেন।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান বলেন, জুয়া ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের সখ্যতার অভিযোগ সত্য নয়। তবে পুলিশের কোনো সদস্যের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২ , ২ আষাড় ১৪২৮ ১৬ জিলকদ ১৪৪৩

পুলিশের সঙ্গে সখ্য গড়ে সৈয়দপুরে ৩০ স্থানে মাদক ব্যবসা

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

সৈয়দপুর শহরে ৩০টিরও বেশি স্থানে মাদক কারবারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা জব্দ করলেও বন্ধ হচ্ছে না এর বেচাকেনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে সখ্যের কারণে প্রায় প্রতিদিন আটক, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দন্ড ও জরিমানা করেও থামছে না মাদকের ব্যবহার। অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জনবলের সংকটের দোহাই দিয়ে হাত গুটিয়ে বসে আছে।

জানা যায়, প্রতিদিন শহরের হাতিখানা কবরস্থান, রেললাইন এলাকা, রেলস্টেশন, রসুলপুর, গোলাহাট, মিস্ত্রিপাড়া, মুন্সিপাড়া জোড়াপুকুর, পুরাতন বাবুপাড়া, অফিসার্স কলোনি ডাকবাংলো-সংলগ্ন, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকাসহ বাস টার্মিনাল ও আদানী মোড়ে মাদকের বেচাকেনা হয়। এসবের মধ্যে শহরের ঘোড়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এলাকাটি এখন মাদকপল্লি নামে পরিচিত। কয়েকজন মাদক বিক্রেতা পুলিশের নাকের ডগায় এ এলাকায় গড়ে তুলেছেন।

নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ব্যক্তি জানান, মাদক বিক্রেতারা আগে বসবাস করতেন শহরের রেলস্টেশন-সংলগ্ন সাহেবপাড়া এলাকায়। মাদকের কারবারে জড়িত থাকায় সেখানকার লোকজন তাঁদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে এখন তাঁরা এ এলাকায় আস্তানা গড়েছেন।

হাতিখানা এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক এনামুল হক বলেন, পুলিশ যদি ঠিকভাবে তৎপর হয়, তাহলে সৈয়দপুর শহর সাত দিনের মধ্যে মাদকমুক্ত করা সম্ভব। সবাইকে সামাল দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা তাঁদের কারবার চালিয়ে আসছেন।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান বলেন, জুয়া ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের সখ্যতার অভিযোগ সত্য নয়। তবে পুলিশের কোনো সদস্যের সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।