পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বানচালে ‘ষড়যন্ত্র’ হচ্ছে : শেখ হাসিনা

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো, পারাবত ট্রেনসহ দেশে সাম্প্রতিক বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি মহল পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বন্ধের ‘ষড়যন্ত্র’ করছে। এ বিষয়ে তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ এবং আইশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত অনান্য বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো এত বড় একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেতু নির্মাণের কাজ আমরা সম্পন্ন করেছি। কিন্তু যারা সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল তাদের একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। যার কিছু কিছু তথ্যও আমরা পেয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি, এমন একটা ঘটনা ঘটানো হবে যাতে ২৫ তারিখে আমরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে না পারি। বিরোধিতাকারীরা কী করবে তা কিন্তু আমরা জানি না।’

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নিয়ে হওয়া ‘অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের’ কথা তুলে ধরে এর পেছনে মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্ররোচনায় বিশ্ব ব্যাংক আমাদের টাকাটা (পদ্মা সেতু নির্মাণে তহবিল) বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি তখন ঘোষণা দিয়েছিলাম পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করব। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা কিন্তু সেটা করে ফেলেছি।’

সীতাকুণ্ডের ডিপো ছাড়াও পরাবত এক্সপ্রেস ট্রেন এবং পদ্মায় ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত বিক্ষিপ্ত কয়েকটা জায়গায় একসঙ্গে আগুন ধরে কীভাবে? আর রেলের আগুনটা এটা কিন্তু আমরা একটা ভিডিও পেয়েছি নিচের দিক থেকে, রেলের চাকার কাছ থেকে আগুন জ্বলছে। এটা কী করে হয়? এই সমস্ত জিনিসগুলো রহস্যজনক।’

সেজন্য সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ‘স্থাপনাগুলোর’ দিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নজর রাখার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং আনসার ও ভিডিপির প্রধানদের উদ্দেশ করে সরকারপ্রধান বলেন ‘আমাদের সবাইকে কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। সমস্ত বিষয়টাই একটু রহস্যজনক। এজন্য সবাইকে বলবো একটু সতর্ক থাকতে হবে এবং আমাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দিকেও সবাইকে নজর দিতে হবে। সেগুলোর নিরাপত্তা দিতে হবে।’

সরকারের নেয়া মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে হাইটেক পার্ক, ইনকিউভেটরের নিরাপত্তা জোরদারের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া পাবনার রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সংশ্লিষ্টদের তৎপর হতে নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমাদের বাহিনীর প্রধানরা যারা আছেন, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনী আছে এখানে, অন্যান্য বাহিনী আছেন। আমাদের এই ব্যাপারে আরও উদ্যোগ নিতে হবে যে কীভাবে আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা বিধান করতে পারি।’

প্রযুক্তি ব্যবহারে অপকর্ম বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,? ‘প্রযুক্তি আমাদের উন্নয়নের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। আবার যারা বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদেরও কিন্তু সুযোগ করে দেয়। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি যেমন আর্থসামাজিক উন্নয়নের সুযোগ এনে দেয়, তেমনি এই প্রযুক্তিই ধ্বংসাত্মক কাজের ধরনটা বদলে দেয়। সবকিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।’ সেভাবেই এসএসএফের উন্নয়ন ঘটানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা আমাদের এসএসএফকে যতটুকু পারি যথেষ্ট শক্তিশালী করেছি, অন্যান্য বাহিনীগুলোর জন্য আমরা করে দিতে চাচ্ছি।’

বাংলাদেশে যেসব বিদেশি অতিথিরা আসেন তারা এসএসএফ-এর ভূয়ষী প্রশংসা করেন এবং তিনি নিজেও তাদের পারদর্শিতায় গর্ববোধ করেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটাই সব সময় মাথায় রাখতে হবে পেশাগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি চারিত্রিক দৃঢ়তা, সততা শৃঙ্খলা সবকিছু মেনেই চলতে হবে এবং আমাদের এসএসএফ সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।

শেখ হাসিনা বলেন, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগ আমরা শুরু করি। পুলিশে নারী সদস্য নিয়োগ জাতির পিতাই শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ভৌগোিলক সীমারেখায় আমরা হয়তো ছোট, কিন্তু জনসংখ্যায় বড়। আমরা বড় হয়ে চলব, বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে চলব। আমরা দেশটাকে সেভাবে গড়ে তুলতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন দেশ হিসেবে আমরা যে মর্যাদা পেয়েছি সেই মর্যাদা নিয়ে আমরা যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারি। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা পেয়েছি তা নিয়েই যেন সামনে এগিয়ে যেতে পারি এবং দেশি-বিদেশি কোন শক্তিই যেন এই অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে না পারে। তিনি বলেন, জাতির পিতার করে দেয়া পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়,’ এই নীতি নিয়েই বাংলাদেশ আগামীতেও সামনে এগিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২ , ২ আষাড় ১৪২৮ ১৬ জিলকদ ১৪৪৩

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বানচালে ‘ষড়যন্ত্র’ হচ্ছে : শেখ হাসিনা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো, পারাবত ট্রেনসহ দেশে সাম্প্রতিক বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি মহল পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বন্ধের ‘ষড়যন্ত্র’ করছে। এ বিষয়ে তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ এবং আইশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত অনান্য বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো এত বড় একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেতু নির্মাণের কাজ আমরা সম্পন্ন করেছি। কিন্তু যারা সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল তাদের একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। যার কিছু কিছু তথ্যও আমরা পেয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি, এমন একটা ঘটনা ঘটানো হবে যাতে ২৫ তারিখে আমরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে না পারি। বিরোধিতাকারীরা কী করবে তা কিন্তু আমরা জানি না।’

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নিয়ে হওয়া ‘অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের’ কথা তুলে ধরে এর পেছনে মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্ররোচনায় বিশ্ব ব্যাংক আমাদের টাকাটা (পদ্মা সেতু নির্মাণে তহবিল) বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি তখন ঘোষণা দিয়েছিলাম পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করব। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা কিন্তু সেটা করে ফেলেছি।’

সীতাকুণ্ডের ডিপো ছাড়াও পরাবত এক্সপ্রেস ট্রেন এবং পদ্মায় ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত বিক্ষিপ্ত কয়েকটা জায়গায় একসঙ্গে আগুন ধরে কীভাবে? আর রেলের আগুনটা এটা কিন্তু আমরা একটা ভিডিও পেয়েছি নিচের দিক থেকে, রেলের চাকার কাছ থেকে আগুন জ্বলছে। এটা কী করে হয়? এই সমস্ত জিনিসগুলো রহস্যজনক।’

সেজন্য সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ‘স্থাপনাগুলোর’ দিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নজর রাখার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং আনসার ও ভিডিপির প্রধানদের উদ্দেশ করে সরকারপ্রধান বলেন ‘আমাদের সবাইকে কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। সমস্ত বিষয়টাই একটু রহস্যজনক। এজন্য সবাইকে বলবো একটু সতর্ক থাকতে হবে এবং আমাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দিকেও সবাইকে নজর দিতে হবে। সেগুলোর নিরাপত্তা দিতে হবে।’

সরকারের নেয়া মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে হাইটেক পার্ক, ইনকিউভেটরের নিরাপত্তা জোরদারের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া পাবনার রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সংশ্লিষ্টদের তৎপর হতে নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমাদের বাহিনীর প্রধানরা যারা আছেন, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনী আছে এখানে, অন্যান্য বাহিনী আছেন। আমাদের এই ব্যাপারে আরও উদ্যোগ নিতে হবে যে কীভাবে আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা বিধান করতে পারি।’

প্রযুক্তি ব্যবহারে অপকর্ম বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,? ‘প্রযুক্তি আমাদের উন্নয়নের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। আবার যারা বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদেরও কিন্তু সুযোগ করে দেয়। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি যেমন আর্থসামাজিক উন্নয়নের সুযোগ এনে দেয়, তেমনি এই প্রযুক্তিই ধ্বংসাত্মক কাজের ধরনটা বদলে দেয়। সবকিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।’ সেভাবেই এসএসএফের উন্নয়ন ঘটানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা আমাদের এসএসএফকে যতটুকু পারি যথেষ্ট শক্তিশালী করেছি, অন্যান্য বাহিনীগুলোর জন্য আমরা করে দিতে চাচ্ছি।’

বাংলাদেশে যেসব বিদেশি অতিথিরা আসেন তারা এসএসএফ-এর ভূয়ষী প্রশংসা করেন এবং তিনি নিজেও তাদের পারদর্শিতায় গর্ববোধ করেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটাই সব সময় মাথায় রাখতে হবে পেশাগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি চারিত্রিক দৃঢ়তা, সততা শৃঙ্খলা সবকিছু মেনেই চলতে হবে এবং আমাদের এসএসএফ সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।

শেখ হাসিনা বলেন, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগ আমরা শুরু করি। পুলিশে নারী সদস্য নিয়োগ জাতির পিতাই শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ভৌগোিলক সীমারেখায় আমরা হয়তো ছোট, কিন্তু জনসংখ্যায় বড়। আমরা বড় হয়ে চলব, বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে চলব। আমরা দেশটাকে সেভাবে গড়ে তুলতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন দেশ হিসেবে আমরা যে মর্যাদা পেয়েছি সেই মর্যাদা নিয়ে আমরা যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারি। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা পেয়েছি তা নিয়েই যেন সামনে এগিয়ে যেতে পারি এবং দেশি-বিদেশি কোন শক্তিই যেন এই অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে না পারে। তিনি বলেন, জাতির পিতার করে দেয়া পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়,’ এই নীতি নিয়েই বাংলাদেশ আগামীতেও সামনে এগিয়ে যাবে।