যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত না করেই অব্যাহতি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌনহয়রানি, শারীরিক ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন এক নারীসহকর্মী। ওই নারীশিক্ষকের অভিযোগ, গত বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়।

অভিযোগের ১০ মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌননিপীড়ন নিরোধ কমিটি বলছে, ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা হওয়ায় অভিযোগটি তারা বিবেচনা করেননি। শারীরিক এবং মানসিক নিপীড়নের প্রমাণও পাওয়া যায়নি। কমিটির প্রধান অধ্যাপক মোসা. তাসলিমা খাতুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে কোন ঘটনা ঘটলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখতিয়ারবহির্ভূত। তারা এ বিষয়ে কিছু করতে পারেন না।

তবে এটা জানাতে ১০ মাস সময় লাগার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, গত বছরের আগস্টে এ অভিযোগ ওঠার পর ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এ বিষয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

গোলাম কুদ্দুস আরও বলেন, ওই নারী শিক্ষক এখন চাইলে আদালতের আশ্রয় নিতে পারবেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক বলেন, আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি ষড়যন্ত্রমূলক এবং মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। তদন্তেও অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তবে অভিযোগকারী নারী শিক্ষক বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল কমিটি। তাকে তিনবার কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছে। ডিসিপ্লিনের সব শিক্ষকের সাক্ষাৎকারও নিয়েছে।

কিন্তু ১০ মাস পর জানানো হচ্ছে, অভিযোগটি নাকি কমিটির বিবেচনার বিষয় নয়। শারীরিক নির্যাতন ও মানসিক নিপীড়নের ব্যাপারে তারা নাকি কোন প্রমাণ পায়নি। ওই নারী শিক্ষক আরও বলেন, নিপীড়নের প্রমাণস্বরূপ বিভিন্ন সময় ওই শিক্ষকের দেয়া খুদে বার্তা তদন্ত কমিটিকে দেয়া হয়েছিল। ঘটনার পর তিনি যে ক্ষমা চেয়েছিলেন, সে সম্পর্কিত কল রেকর্ডও দেয়া হয়েছিল। এরপরও নাকি তদন্ত কমিটি কোন প্রমাণ পায়নি।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২ , ২ আষাড় ১৪২৮ ১৬ জিলকদ ১৪৪৩

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত না করেই অব্যাহতি

জেলা বার্তা পরিবেশক, খুলনা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌনহয়রানি, শারীরিক ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন এক নারীসহকর্মী। ওই নারীশিক্ষকের অভিযোগ, গত বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়।

অভিযোগের ১০ মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌননিপীড়ন নিরোধ কমিটি বলছে, ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা হওয়ায় অভিযোগটি তারা বিবেচনা করেননি। শারীরিক এবং মানসিক নিপীড়নের প্রমাণও পাওয়া যায়নি। কমিটির প্রধান অধ্যাপক মোসা. তাসলিমা খাতুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে কোন ঘটনা ঘটলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখতিয়ারবহির্ভূত। তারা এ বিষয়ে কিছু করতে পারেন না।

তবে এটা জানাতে ১০ মাস সময় লাগার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, গত বছরের আগস্টে এ অভিযোগ ওঠার পর ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে এ বিষয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

গোলাম কুদ্দুস আরও বলেন, ওই নারী শিক্ষক এখন চাইলে আদালতের আশ্রয় নিতে পারবেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক বলেন, আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি ষড়যন্ত্রমূলক এবং মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। তদন্তেও অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তবে অভিযোগকারী নারী শিক্ষক বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল কমিটি। তাকে তিনবার কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছে। ডিসিপ্লিনের সব শিক্ষকের সাক্ষাৎকারও নিয়েছে।

কিন্তু ১০ মাস পর জানানো হচ্ছে, অভিযোগটি নাকি কমিটির বিবেচনার বিষয় নয়। শারীরিক নির্যাতন ও মানসিক নিপীড়নের ব্যাপারে তারা নাকি কোন প্রমাণ পায়নি। ওই নারী শিক্ষক আরও বলেন, নিপীড়নের প্রমাণস্বরূপ বিভিন্ন সময় ওই শিক্ষকের দেয়া খুদে বার্তা তদন্ত কমিটিকে দেয়া হয়েছিল। ঘটনার পর তিনি যে ক্ষমা চেয়েছিলেন, সে সম্পর্কিত কল রেকর্ডও দেয়া হয়েছিল। এরপরও নাকি তদন্ত কমিটি কোন প্রমাণ পায়নি।